২৮ জানুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ১১:৪১

সমুদ্র সম্পদ আহরণে পিছিয়ে বাংলাদেশ

সমুদ্র সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির একদশক পেরিয়ে গেলেও সমুদ্র সম্পদ আহরণে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা তাদের সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত করছে। তেল ও গ্যাসসহ মূল্যবান খনিজসম্পদ তুলছে তারা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ এখনও পরিকল্পনার মধ্যেই আটকে আছে। সমুদ্রসীমার ৮০ ভাগ এলাকার নীল জলরাশির তলদেশে কী বিশাল সম্পদ লুকিয়ে আছে, তা এখনও পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা তাদের সমুদ্র সম্পদের ব্যবহার শুরু করেছে। মিয়ানমার তাদের গ্যাস ব্লকগুলোতে অনুসন্ধান চালিয়ে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। থালিন-এক' নামক ব্লকে প্রায় পাঁচ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। ওই ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে মিয়ানমার। সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারত। বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় অংশের কৃষ্ণা-গোদাভারী বেসিন এলাকায় ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি, গুজরাট এস্টেট পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বেসরকারি গ্রুপ রিলায়েন্স কোম্পানির অনুসন্ধানে প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদের আশা করছে ভারত। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল ওশেনোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউট(নোয়ামি), বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) সূত্রে এই সব তথ্য জানা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩২ বর্গকিলোমিটার। এই সমুদ্রসীমা অগাধ প্রাকৃতিক সম্পদের ভা-ার, যা আমাদের দেশের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাতে সক্ষম। কিন্তু বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ এখন পর্যন্ত প্রায় অনাবিষ্কৃত ও অব্যবহৃত। সমুদ্রসম্পদ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।

সমুদ্র সম্পদ আহরণে বিশ^ এগিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে: পৃথিবীর জনসংখ্যা দিন দিন যেভাবে বেড়েই চলেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটির মত। ভাবুন একবার! এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান দেয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে! তাই সমুদ্র নির্ভর এই বিকল্প অর্থনীতির গুরুত্ব বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সমুদ্র নানাভাবেই অবদান রেখে চলেছে। প্রাপ্ত তথ্যে বলা হচ্ছে, বিশ্বের ৪৩০ কোটিরও বেশি মানুষের ১৫ ভাগ প্রোটিনের জোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু। পৃথিবীর ৩০ ভাগ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ হচ্ছে সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অর্থনীতির সিংহভাগ সমুদনির্ভর। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যে, যা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা গেলে সমুদ্র থেকে আহরিত সম্পদের মূল্যমান জাতীয় বাজেটের দশগুণ হবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া সমুদ্রসম্পদ থেকে বর্তমানে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে থাকে। ২০২৫ সালে এ খাত থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সে দেশের সরকার। এছাড়াও চীন, জাপান, ফিলিপাইনসহ বেশকিছু দেশ ২০ থেকে ৩০ বছর আগেই সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির দিকে মনোনিবেশ করেছে। অন্যদিকে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মকা- হচ্ছে সমুদ্রকে ঘিরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ হয় বাংলাদেশের। আন্তর্জাতিক শালিসি আদালতে ২০১৪ সালের ৮ জুলাই এক রায়ে বাংলাদেশ নতুন প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পেয়েছে, যা আরেকটি বাংলাদেশের সমান। এর ফলে নিজস্ব সমুদ্রসীমার বাইরে মহিসোপানে এক বিরাট এলাকার ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই এলাকায় মৎস্য আহরণ ও সমুদ্রের তলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এ রায়ের ফলে বাংলাদেশ ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহিসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। তবে মাত্র ১৫ হাজার ৭০০ বর্গ কিলোমিটার থেকে মাছ আহরণ করতে পারে জেলেরা। সক্ষমতা না থাকায় এখনো ১ লাখ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা থেকে মাছ আহরণ সম্ভব হয়নি। আধুনিক ফিশিং ট্রলার ও দক্ষ জনবল না থাকায় গভীর সমুদ্র এলাকা থেকে মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। সামুদ্রিক মাছ দেশের বাইরে রপ্তানি করে ও সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করে তা দেশের বাজারে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে বিক্রি করে অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখা হচ্ছে। এখানেই ব্লু ইকোনোমির ধারণা আরও জোরদার হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কর্মকা- সংঘটিত হচ্ছে সমুদ্র ঘিরে। বিশ্বের ৪৩০ কোটি মানুষের ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ প্রোটিনের জোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ ও উদ্ভিদ। ৩০ ভাগ জ্বালানি তেল ও গ্যাস আসছে সাগর থেকেই। এই বিশাল সমুদ্রে বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট ছাড়াও ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চল ঘিরে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। সমুদ্র সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে দেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে। এছাড়া মাতারবাড়ী বন্দর চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, আঞ্চলিক দেশগুলোও এর সুবিধা পাবে। আমাদের সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র ঘিরে উদ্যোগ সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে। একই সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশও এ থেকে সুবিধা নিতে পারবে।
কি আছে আমাদের বঙ্গোপসাগরে? বাংলাদেশের স্থলভাগে যে পরিমাণ সম্পদ বিদ্যমান তার সঙ্গে তুলনা করে বলা যায়, এই সম্পদের প্রায় সমপরিমাণ (৮১ শতাংশ) সম্পদ সমুদ্র তলদেশে আছে। বাংলাদেশ যে অঞ্চলের মালিকানা পেয়েছে, সেখানে অন্তত চারটি ক্ষেত্রে কার্যক্রম চালানো হলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ কোটি মার্কিন ডলার উপার্জন করা সম্ভব। এই ক্ষেত্র চারটি হলো তেল-গ্যাস উত্তোলন, মৎস্য সম্পদ আহরণ, বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও পর্যটন। বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছসহ ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি এবং বিভিন্ন প্রকার অর্থনৈতিক ও জৈব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ আছে। ২০১৭-১৮ সালে দেশে উৎপাদিত মোট ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার মাছের মধ্যে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনই এসেছে সমুদ্র থেকে।

এদিকে ‘সেভ আওয়ার সি’ র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছর ৮ মিলিয়ন টন মাছ ধরা পড়ে। এর মধ্যে ০.৭০ মিলিয়ন টন মাছ বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা আহরণ করে। নানা প্রজাতির মূল্যবান মাছ ছাড়াও সমুদ্রসীমায় নানা ধরনের প্রবাল, গুল্মজাতীয় প্রাণী, ৩৫ প্রজাতির চিংড়ি, তিন প্রজাতির লবস্টার, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৩০০ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক পাওয়া যায়। উপকূলীয় অঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জেলের জীবিকার যোগান আসে এই সমুদ্র থেকেই।

সেভ আওয়ার সি’র মহাসচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা দেশের মূল ভূ-খ-ের প্রায় সমান। অথচ দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের মাত্র ১৫.৪২% ভাগ অবদান সামুদ্রিক মাছের। এ সমুদ্র এলাকায় বছরে ৮০ লাখ টন মাছ ধরার সুযোগ আছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার(এসডিজি) ১৪ নম্বর ধারায় টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি পূরণের লক্ষ্যে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়ের একদশক পেরিয়ে গেলেও কার্যত এখন পর্যন্ত তেমন কোন সবধরণের সমুদ্র সম্পদ আহরণে ও সমুদ্র অর্থনৈতিক কার্যক্রমই শুরু হয়নি পুরোদমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাণিসম্পদ ছাড়াও ১৩টি জায়গায় আছে মূল্যবান বালু, ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম। এগুলোতে মিশে আছে ইলমেনাইট, গার্নেট, সিলিমেনাইট, জিরকন, রুটাইল ও ম্যাগনেটাইটের মতো মূল্যবান ধাতব উপাদান। তাছাড়া সিমেন্ট বানানোর উপযোগী প্রচুর ক্লে রয়েছে বাংলাদেশের সমুদ্র তলদেশে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে বিরোধের নিষ্পত্তির বছর দুয়েকের মাথায় শুধু গ্যাসের মজুত আবিষ্কারই না, বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে তাদের ব্লক থেকে গ্যাস তোলাও শুরু করে দেয় মিয়ানমার। সেই গ্যাস নিজেদের কাজে ব্যবহার করার পাশাপাশি চীনে রপ্তানিও করছে এখন তারা। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন উপকূলীয় দেশ ও দ্বীপের সরকারগুলো অর্থনীতির এক নতুন ফ্রন্ট হিসেবে সমুদ্রের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। এবং সমুদ্র অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে দেশের প্রবৃদ্ধির নীতি গ্রহণ করছে।

বাংলাদেশ কেন পারছে না তাহলে? এর একটা কারণ-সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে তথ্য-উপাত্তের বড় অভাব রয়েছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য একসাথে করে বিশ্বব্যাংক একটি হিসাব করে বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্লু ইকোনমির অবদান (বা গ্রস ভ্যালু এডেড) ছিল ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা মোট অর্থনীতির মাত্র ৩ শতাংশ। কোন খাত সমুদ্র অর্থনীতিতে কতটা ভূমিকা রেখেছে, তারও একটি হিসাব করা হয়েছে- পর্যটন ২৫ ভাগ, সমুদ্র থেকে মাছ ধরা এবং অ্যাকুয়াকালচার ২২ ভাগ ও তেল-গ্যাস সম্পদ ১৯ ভাগ। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে হিসাবটি করা হয়েছে। তবে ২০১৩ সালের শেষের দিকে সমুদ্রে বাংলাদেশের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গু থেকে গ্যাস তোলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সমুদ্র অর্থনীতিতে তেল-গ্যাস খাতের ভূমিকা এখন শূন্য। সমুদ্র সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পর ২৬টি নতুন ব্লকে বিন্যাস করে এর মধ্যে ১১টি অগভীর ও ১৫টি গভীর সমুদ্রের ব্লক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপর বহু সময় চলে গেছে, কিন্তু কোন অগ্রগতি দেখা যায় নি। ২০১৯ সালের সর্বশেষ তথ্যে বলা হচ্ছে, মাত্র ৪টি ব্লকে অনুসন্ধানের জন্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু একটি কূপও বাংলাদেশ খনন করতে পারেনি। বাকি ২২টি ব্লক স্থবির পড়ে রয়েছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে উৎপাদন ও ভাগাভাগি চুক্তির আগে মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভে হবে কি হবে না সেই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই আমরা এখনো আটকে আছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী ল্যান্ড-লকড দেশ যেমন, নেপাল আর ভুটানের যখন সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দরকার হবে তখন তাদেরকে পোর্ট সুবিধা দিতে পারে বাংলাদেশ, যা ব্লু ইকোনমির অন্যতম অংশ। বাংলাদেশ তার ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।

https://www.dailysangram.info/post/547317