২০ জানুয়ারি ২০২৪, শনিবার, ১:১৩

ঢাকার চারপাশে অবৈধ ইটভাটায় রাজধানীর বায়ু দূষণ বিপজ্জনক 

প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর আশপাশের ইটভাটাগুলোতে শীত মৌসুমের প্রথম থেকেই ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে। ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীর বাতাসে। তাই ঢাকার বাতাস নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে খোদ হাইকোর্ট। রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ঢাকার আশপাশের গড়ে উঠা কয়েকশ’ ইটভাটা। গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানাযায়, বায়ুদূষণের তালিকায় বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। আইকিউএয়ারের সূচকে ঢাকার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ৩১১। এর অর্থ দাঁড়ায় এখানকার বায়ু দুর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।

রাজধানী ঢাকার চারপাশের অধিকাংশ ইটেরভাটা অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র যেমন নেই, তেমনি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিও গ্রহণ করেনি। এসব ইটভাটা মারাত্মক বায়ুদূষণের বড় উৎস। ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এতে ভাটার আশপাশের এলাকা, নদী, শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ জনপদের জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে কৃষি জমি ও কৃষি উৎপাদন ক্ষতিরমুখে পড়ছে তেমনি, বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম। 

এদিকে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে আয়োজিত এক সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ দূষণকারী ও অবৈধ ইটভাটা শনাক্তকরণ ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার জন্য ব্রিক ক্লিন ট্রেকার ব্যবহার করবে সরকার। এর ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অত্যন্ত ক্ষতিকর ইটভাটা শনাক্ত করে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সহজ হবে। ফলে ইটভাটা সৃষ্ট বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব হবে।  মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আইটি ও রিমোর্ট সেন্সিং প্রযুক্তি নির্ভর ব্রিক ক্লিন ট্রেকার তৈরি করা হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই ট্রেকারের সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার ও সফল হবে।

এছাড়াও ঢাকার বাতাস নিয়ে শঙ্কা প্রকাশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দেশের নদীগুলো দূষিত, বাতাস দূষিত। ঢাকার অবস্থা আরো খারাপ। আমরা শঙ্কিত! পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ বন্ধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সুতরাং এই দপ্তরটির আদৌ কি প্রয়োজন আছে?’ গত বৃহস্পতিবার ইটভাটাসংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিতে অধিদপ্তরের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে এ প্রশ্ন রাখেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জনস্বার্থে রিট আবেদন করা হয়। সম্প্রতি ‘বিক্রি হচ্ছে ইটভাটার ছাড়পত্র, বাড়ছে পরিবেশদূষণ’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন ছাপে একটি জাতীয় দৈনিক। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ফের সম্পূরক আবেদন করে নির্দেশনা চাওয়া হয় এইচআরপিবির পক্ষে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ইটভাটার কালো ধোঁয়ার সঙ্গে কার্বন, সালফার ও নাইট্রোজেন নির্গত হয়। যা বাতাসের সঙ্গে মিশে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সালফার-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড তৈরি করে। রাসায়নিক ওই যৌগগুলোর কারণে ইটভাটা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষ সর্দি, কাশি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ নানা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার সঙ্গে বিভিন্ন যৌগ বাতাসের সঙ্গে মিশে তা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখতে কালো পাউডারের মতো। এই পাউডার মূলত নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে ঢুকে ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। এছাড়া ওই পাউডার ফসলি জমির উপর পড়লে জমির উর্বরতা কমে যায়। টিনের চালেও পড়ে আস্তে আস্তে টিন ফুটো করে দেয়।

সূত্রে জানাযায়, নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু, শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ। এ জেলার চারপাশ দিয়ে নিরবধি বয়ে চলেছে নদ-নদীগুলো। কিন্তু নদীমাতৃক এ শহর ও শহরতলী আজ বিপন্ন। গত কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের আশপাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ ইটভাটা। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই কয়লা ও কাঠ পুড়িয়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চলছে ইট তৈরির কার্যক্রম। ইটভাটার চিমনি দিয়ে বের হওয়া কালো ধোঁয়ার কারণে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নানা সংকট। কালো ধোঁয়ার প্রভাব পড়ছে জনজীবনসহ গাছ ও কৃষিতে। নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী জেলায় মোট ইটভাটা রয়েছে ৩৩৪টি। এর মধ্যে সরকারি নির্দেশনা মেনে জিকজ্যাক পদ্ধতিতে গড়ে উঠেছে ২৬৮টি। জিকজ্যাক পদ্ধতির মধ্যে এখনও আসেনি এমন ৬৬টি ইটভাটা চলছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে ১২০ ফুট চিমনির ইটভাটা। এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর ৫৩টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকার উপরে। 

নরওয়েভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনআইএলইউর সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণায় ঢাকা শহরের বায়ুর গুণগত মানের এই চিত্র উঠে এসেছে। রাজধানী ঘিরে থাকা তুরাগ, বসিলা, মিরপুর ব্রিজ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, আশুলিয়া, আমিনবাজার, মিরপুর বেড়িবাঁধ, বালু নদীর আশপাশ, ফতুল্লা, শ্যামপুর, পাগলা ও বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ঢাকায় প্রবেশ করছে। কম উচ্চতার চিমনিতে ইট পোড়ানো হচ্ছে। বেশিরভাগ ইটাভাটাতেই অবৈধ ড্রাম চিমনি বসানো। ঢাকায় এখন উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ইট তৈরিতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিসাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের তাগিদ দিলেও আমলে নিচ্ছেন না ইটভাটার মালিকরা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণার ফলাফল জানিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর দিক কী কী, তা জানতে চাইলে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যাঁরা ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত, তাঁদের এ রোগ বেড়ে যেতে পারে। ফুসফুসে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি, চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। হাঁপানি রোগ দেখা দিতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট) প্রকল্পের গবেষণা দেখা যায়, ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা প্রায় ৬২ শতাংশ দায়ী। এ ছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলার মাধ্যমে ১৭ শতাংশ, যানবাহনের কারণে ৯ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর ফলে ৭ শতাংশ ও বিবিধ কারণে ৫ শতাংশ বায়ু দূষিত হচ্ছে। গবেষণার ফলাফলে পরিবেশ অধিদপ্তর ইট তৈরির অদক্ষ পদ্ধতি ব্যবহার না করে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিসাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর দূষণ শীত মৌসুমে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকা জেলায় সাড়ে ৫০০ ইটভাটা রয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকেরই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ইটভাটার দূষণে রাজধানীবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বায়ুদূষণ নিয়ে ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা বেশি আছে এমন শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। শুধু ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য বছরে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা গত ১০ বছরে ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, শীতের এই সময়টায় বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকায় বায়ুদূষণ পরিস্থিতি রীতিমতো আতঙ্কজনক পর্যায়ে রয়েছে। এখানে সহনীয় মাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষতিকর বস্তুকণা বাতাসে বিরাজ করছে। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ ১০০ পিপিএম পার হলেই বিপজ্জনক মাত্রায় বলে ধরা হয়। গতকাল শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় এর পরিমাণ ছিল ৩১১ পিপিএম। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বাতাস ছিল বিপজ্জনক পর্যায়ে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সূত্রে জানা গেছে, অনেক ইটভাটায় উচ্চ মাত্রার সালফার যুক্ত কয়লা ব্যবহার করা হয়। সালফারের পরিমাণ যাচাই না করে এসব ইটভাটায় কয়লা ব্যবহার করতে দেওয়ায় বায়ু দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক ভাটায় টায়ার ও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। এতেও অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে। ইটের রঙ সুন্দর দেখাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার হয়। এতে ইটভাটা এলাকার টিনের ঘরে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। ধান, অন্যান্য সবজি ও গাছের ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে ঠা-াজনিত রোগ, শ্বাসনালির ক্ষতসহ নানা ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের। ইটভাটায় বছরে ২৫ লাখ টন কয়লা ও ২২ লাখ টন জ্বালানি কাঠ পোড়ানো হয়। শীত মৌসুমে ঢাকার চারপাশে ইটভাটার দূষণে ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার টন গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়। এর প্রভাব ঢাকার বায়ুর ওপর পড়ছে। ইটভাটা থেকে দূষণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতা মো. আবু বক্কর। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকার আশপাশে ১ হাজারের কিছু বেশি ইটভাটা রয়েছে। তিনি বলেন, ইটের ভাটাগুলোতে চিমনির সঙ্গে একধরনের পানির ঝরনা ব্যবহার করলে এই দূষণ অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সেটি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে অনেকে এতে আগ্রহী হচ্ছেন না। দূষণের পাশাপাশি কৃষিজমিও নষ্ট হচ্ছে ইটভাটার কারণে।

https://www.dailysangram.info/post/546548