২০ জানুয়ারি ২০২৪, শনিবার, ১:১২

৭৪ হাজারের বেশি আসন খালি

এবারের কোটা ১,২৭,১৯৮ জন

চলতি মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব নিবন্ধনের তৃতীয় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সাড়া মেলেনি হজ্বযাত্রীদের। নিবন্ধনে চরম হাতাশা দেখা দিয়েছে। নিবন্ধনের তৃতীয় দফার সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। এতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১৭৩ জন।  চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্ব করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ¦ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ২৫ জনের।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজ্বের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধিত হজ্বযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব।  তবে আর সময় বাড়ছে না বলে জানান তিনি।  

গত বছরের ১৫ই নবেম্বর থেকে এবারের হজ্ব নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ্ব নিবন্ধনের সময় ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

হজ্বের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গত বছর নিবন্ধনে কাক্সিক্ষত সাড়া না মেলায় ৮ বার সময় বাড়ানো হয়। এরপরও শেষ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি কোটা ফেরত যায়। এখনও বাকি কোটার ৭৪ হাজার ২৫ জনের নিবন্ধন।  

হজ্ব প্যাকেজের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় সাধারণ হজ্বযাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ কারণে নিবন্ধনে সাড়া মিলছে না বলে মনে করছেন অনেকে। 

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দু’টি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’টি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগ্রহী হজ¦যাত্রীরা শুরুতে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন এবং প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে প্রাথমিক নিবন্ধন করার পর ২৯শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ই জুন পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠিত হতে পারে।

https://www.dailysangram.info/post/546569