১৪ জানুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ৪:০৫

শীতে বিপর্যস্ত জীবন, ২ জনের মৃত্যু

 

সারা দিনের কুয়াশায় বিপর্যস্ত মানুষ, প্রচণ্ড শীতে জুবুথুবু অবস্থা। হাঁড় কাঁপানো শীতে নাটোরের বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দেশের অধিকাংশ স্থানে সূর্যের দেখা মিলেনি। ফলে দিনের বেলা তাপমাত্রার উন্নতি হয়নি বলে মানুষের মধ্যে শীতের তীব্র অনুভূতি ছিল। আজো সারা দেশে থাকতে পারে কুয়াশা। ফলে আজ সারাদিনই সূর্যের দেখা নাও মিলতে পারে। তদুপরি রংপুর বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ ও কুষ্টিয়া জেলায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবার উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এসব কারণে সারাদেশেই বিরাজ করছে প্রচণ্ড শীত।
অন্য দিকে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত শেষ হয়ে গেলেও পরের এক সপ্তাহ সারা দেশ আবারো কুয়াশার চাদরে ঢেকে যেতে পারে। তখন আবার বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে শীতজনিত কিছু রোগ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও সর্দি-কাশি অন্যতম। যাদের ক্রনিক হাঁপানি রোগ রয়েছে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই শীতে যতটুকু পারা যায় নিজেকের উষ্ণতার মধ্যে রাখা দরকার। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধ ও যাদের হাঁপানি রয়েছে তাদের সবকিছু গরম গরম খেতে হবে। ঠাণ্ডা পানিও পান করা উচিৎ না। গোসল করতে হলে গরম পানি ব্যবহার করলে ভালো থাকবেন তারা।

শীতের কারণে ঢাকার খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী ছিন্নমূল মানুষেরা রাতে আরামে ঘুমাতে পারে না। ফলে একটু উষ্ণতার জন্য এরা সারারাত নানা কিছু দিয়ে আগুন জ্বেলে রাতটি কাটিয়ে দেয়। তাছাড়া বস্তিবাসীদেরও কষ্টের শেষ থাকে না। কারণ তারা যে ধরনের ঘরে বাস করে সেখানে রাতের বেলা প্রচণ্ড বেগে ঠাণ্ডা বায়ু ঢুকে যায়। ঢাকার রাস্তায় মানুষ না ঘুমিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটাচ্ছে এই দৃশ্য নিত্যদিনের।

কেন এত শীত? এই প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, মূলত চারটি কারণে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। এর একটি হলো সারা দেশ ঢেকে আছে কুয়াশার চাদরে। কুয়াশার কারণে দিনের বেলা সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দেশে গড় নিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও উচ্চ তাপমাত্রা যতটুকু উঠার কথা ছিল সেখানে উঠছে না। উচ্চ তাপমাত্রা ও নিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেলে শীতের তীব্রতা বাড়ে। এই পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে শীত বাড়ে কিন্তু এই পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে আসলে তীব্র শীত পড়ে থাকে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এসেছে। ঢাকায় গতকাল উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে ঢাকায় গতকাল শনিবার সারা দিনই ব্যাপক শীত ছিল।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, অন্য দিকে সারাদিন সূর্যের আলো না থাকলে যে ভূপৃষ্ঠ গরম হয় না, এই ব্যাপারটা সবাই বোঝে। শীতের অনুভূতি বেশি থাকার আরেকটি কারণ হলো কুয়াশার সাথে চলছে বাতাসের ঝাপটা। দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সারাদিনই ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে গেছে। বাতাসের কারণেও শীতের মাত্রা বেড়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছিল আর্দ্রতা। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলেও শীতের মাত্রা বাড়ে।

বাংলাদেশে শীতের মাত্রার বাড়ার আরেকটি কারণ উপমহাদেশের উচ্চচাপ বলয় এবার পশ্চিমবঙ্গ পাড় হয়ে বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছেছে। উচ্চচাপ বলয় এই বর্ধিতাংশ যখন কোনো স্থানের আকাশে থাকে সেখানে উপর থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বায়ু নিচে নেমে আসে। উচ্চচাপ বলয় থাকার কারণে বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের সবটিতে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অঞ্চলগুলোতে ওপর থেকে তীব্র শীতল বায়ু নেমে এসে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশসহ আশপাশের এলাকার আকাশের ওপর দিয়ে তীব্র শীতল জেট বায়ু প্রবাহিত হয়ে থাকে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু শীতকালে এই জেটবায়ু কিছুটা স্থান পরিবর্তন করে বাংলাদেশের আকাশের কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে এবং অনেক সময় ৩০ হাজার ফুটের নিচে নেমে পড়ে। ফলে এ অবস্থায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ নেমে আসে।

আজ রোববার সারা দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত তাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। কুয়াশার কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাতভর আশ্রয়হীন, সকালে মিলল লাশ
বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা জানান, হাড় কাঁপানো শীতে একটু আশ্রয়ের আশায় সন্ধ্যায় ভাতিজার বাড়িতে এসেছিলেন নিঃসন্তান বৃদ্ধ। কিন্তু ভাতিজারা কেউ বাড়িতে আশ্রয় দেননি। সারা রাত বাড়ির আঙ্গিনায় পৌষের শীতে কাঁপলেও দয়া হয়নি কারো। সকালে বাড়িসংলগ্ন বড়াল নদীতে মিলেছে আশ্রয়হীন ওই বৃদ্ধের লাশ। শনিবার নাটোরের বড়াইগ্রামের পারবাগডোব গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃত বৃদ্ধ মগরব আলী (৮০) ওই গ্রামের মৃত আইজুদ্দিন মোল্লার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা নদীতে তার ভাসমান লাশ দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার পরনে শুধু লুঙ্গি ছিল। তবে তিনি কিভাবে নদীতে গেলেন সে রহস্য উদঘাটন হয়নি।

বড়াইগ্রাম ইউপি সদস্য ওয়ারছেল আলী জানান, একসময় জায়গাজমি থাকলেও পরবর্তী সময়ে সহায়সম্বলহীন ও নিঃসন্তান মগরব আলী উপজেলার পারকোলে ঘরজামাই থাকতেন। প্রায় ১৫ বছর আগে স্ত্রী মারা গেলে তার আশ্রয় মেলে বৃদ্ধাশ্রমে। কয়েকদিন আগে বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ তাকে আবার শ্বশুরবাড়িতে রেখে যায়। কিন্তু তারাও তাকে নিতে রাজি হননি। গত সপ্তাহে তিনিসহ কয়েকজন লোক মগরব আলীকে বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার জন্য ভাতিজা গুলজার হোসেনকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা রাতে থাকতে দিলেও সকালে আবার বের করে দেন। এ সময় মনের কষ্টে তিনি রাস্তায় গাড়ির নিচে পড়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আবার শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। শুক্রবার বিকেলে আবারো শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ভাতিজা গুলজারের বাড়ির গেটের সামনে ফেলে রেখে যান। কিন্তু ভাতিজাসহ তার সন্তানরা কেউই তাকে ঘরে তুলে নেননি। এতে বাধ্য হয়ে তিনি সারা রাত বাড়ির গেটের সামনেই পড়েছিলেন। এ সময় তিনি প্রচণ্ড শীতে কাতরালেও ভাতিজারা তাকে আশ্রয় দেননি। পরে সকালে বাড়ির সামনের নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে গুলজার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাতে বাড়িতে ছিলেন না দাবি করে জানান, যখন তাকে বাড়িতে রেখে যায়, তখন আমরা অন্যত্র একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম। রাতে আমি বাড়িতে এসে তাকে দেখলেও হাসপাতালে আমার পুত্রবধূর সন্তান হওয়ায় সেখানে চলে গিয়েছিলাম। এ সময় গেট তালাবদ্ধ করে একজন বৃদ্ধ মানুষকে শীতের মধ্যে বাড়ির বাইরে ফেলে রেখে কিভাবে চলে গেলেন জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপৃমত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী সমরেয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লালপুরে রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতা জানান, নাটোরের লালপুরে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। তীব্র শীতে তার মৃত্যু হতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি হারুনুজ্জামান রুমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকালে আব্দুলপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে পাতলা চাদর মুড়ে শুয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। ডাকাডাকির পর তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার লালপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দিনভর কনকনে ঠাণ্ডার সাথে বাতাস যুক্ত হলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়ে। তীব্র শীতের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।

আব্দুলপুর স্টেশনের দোকানি হাসমত আলী বলেন, ওই ব্যক্তি আব্দুলপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে চাদর পেঁচিয়ে প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি জায়গায় ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকাল হলে নড়াচড়া না করায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। সাড়া না পেয়ে তার শরীরের চাদর সরালে মৃত অবস্থায় তাকে দেখতে পাওয়া যায়।

পঞ্চগড়ে পাঁচ দিনেও সূর্যের আলোর দেখা নেই
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত পাঁচ দিনে কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। দিন-রাত বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার ছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি। ঘন সাদা কুয়াশা আর কনকনে শীতে পুরো জেলার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছে জনপদের মানুষ। পুরো আকাশ মেঘে ঢেকে থাকায় গত পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এ কারণে কমছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি অবস্থান করার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা আরো জানান, এ অবস্থা চলতে পারে আরো দুই-তিন দিন। এরপর মেঘ কেটে আকাশ পরিষ্কার হলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে পারে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/806250