৯ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ৬:৫২

জনসংখ্যা অভিবাসন ও একটি ইসলামী দৃষ্টিকোণ

-ড. মো. নূরুল আমিন

জনসংখ্যা সংক্রান্ত জাতিসংঘের পরিসংখ্যানকে বিশ্লেষণ করলে নিম্নোক্ত অবস্থা দাঁড়ায় :

এই জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে (১) ১১ জন ইউরোপে (২) ৫ জন উত্তর আমেরিকায় (৩) ৯ জন দক্ষিণ আমেরিকায় (৪) ১৫ জন আফ্রিকায় (৫) ৬০ জন এশিয়ায় বসবাস করেন। এদের মধ্যে ৪৯ জন পল্লী এলাকায় এবং ৫১ জন শহর এলাকায় থাকেন। আবার বিশ্ব জনসংখ্যার শতকরা ১২ জন চীনা ভাষায়, ৫ জন স্পেনীশ ভাষায়, ৫ জন ইংরেজী ভাষায়, ৩ জন আরবী ভাষায়, ৩ জন হিন্দি ভাষায়, ৩ জন বাংলা ভাষায়, ৩ জন পর্তুগীজ ভাষায়, ২ জন রুশ ভাষায়, ২ জন জাপানী ভাষায় কথা বলেন। অন্যান্য ৬২ জন তাদের নিজ নিজ ভাষা ব্যবহার করেন।

আবার এদের ৭৭ জনের নিজস্ব গৃহ আছে, ২৩ জন গৃহহীন, ২১ জন অতিরিক্ত পুষ্টি পান, ৬৩ জন কোন মতে দু’বেলা খেতে পারেন এবং ১৫ জন অপুষ্টিতে ভোগেন। একজনের অবস্থা এমন যে এক বেলা খেলে আরেক বেলার নিশ্চয়তা নেই। শতকরা ৪৮ জনের দৈনিক জীবনযাত্রার ব্যয় ২ ডলারের নীচে। ৮৭ জন নিরাপদ খাবার পানি পান, ১৩ জনকে দূষিত পানির উপর নির্ভর করতে হয়। ৭৫ ভাগ লোক মোবাইল ব্যবহার করেন, ২৫ জনের মোবাইল নেই। ৩০ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন; ৭০ জন অনলাইনে যেতে পারেন না, ৭ জন বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন, ৯৩ জন কলেজ পর্যন্ত যেতে পারেননি। ৮৩ জন লিখতে ও পড়তে পারেন, ১৭ জন নিরক্ষর। আবার ৩৩ জন খৃস্টান ও ২২ জন মুসলমান, ১৪ জন হিন্দু, ৭ জন বৌদ্ধ, ১২ জন অন্য ধর্মাবলম্বী, ১২ জনের কোনও ধর্ম বিশ্বাস নেই, ২৬ শতাংশ লোক ১৪ বছর বয়সের আগেই মারা যান, ৬৬ শতাংশ লোক ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। আর ৮ শতাংশ লোক মাত্র ৬৫ বছরের বেশি বাঁচেন। এই ৮ জনই এখন বিভিন্ন দেশের সমস্যা হয়ে পড়েছেন। তাদের অবসর সুবিধা ও স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য খেদমতের জন্য যে উপার্জনক্ষম লোক দরকার জনসংখ্যা হ্রাসের ফলে তার অভাব দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় জন্মহার বৃদ্ধিসহ অভিবাসন গ্রহণই উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশের সামনে প্রধান বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জনসংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধির কয়েকটি দিক: জনমিতির বিশ্ব পরিস্থিতিতে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশে যুবক-তরুণের সংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আফ্রিকার সাব সাহারান অঞ্চলের নাইজেরিয়া, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও তানজানিয়াসহ ৩০টি দেশের জনসংখ্যা এই শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। এতে করে এই দেশগুলোর জনসংখ্যা ১.৮ বিলিয়ন বা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশে উন্নীত হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে নাইজেরিয়ার জনসংখ্যা হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা। বিশে^র অন্যতম স্বল্পোন্নত দেশ নাইজারের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আরো অনেক বেশি। এই দেশটিতে মহিলাদের মাথাপিছু সন্তান ধারণের হার ৭ জন। তার বর্তমান জনসংখ্যা ২১ মিলিয়ন যার অর্ধেকেরই বয়স ১৫ বছরের নীচে। শতাব্দির মধ্যভাগে এই সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৬৮ মিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির দ্রুত হার এবং জন্ম হার হ্রাসের এই বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যে সামঞ্জস্য আনার একটি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সমস্যাগ্রস্ত দেশগুলো নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী তার সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশ এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। উন্নত দেশগুলো তাদের জনসংখ্যাকে একদিকে আগের পর্যায়ে নেয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে কোন কোন প্রভাবশালী দেশ অভিবাসী গ্রহণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট প্রযুক্তি ব্যবহার করেও সমস্যার সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু জনসংখ্যাকে আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তাদের মেয়েদের মাতৃত্বমুখী করা এবং মহিলা প্রতি সন্তান ধারণের হার বৃদ্ধি করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ মেয়ে মা হতে চান না। মাতৃ¯েœহকে তারা অর্থ দিয়ে পরিমাপ করেন এবং স্বামীদের প্রতি ঈর্ষা করেন। পিতৃত্ব এবং মাতৃত্বের দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেড়ানো যুগলরা বিয়ে পদ্ধতির পরিবর্তে লিভ টুগেদার পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছে। আবার এক শ্রেণীর মহিলা অন্যের সন্তান পেটে ধারণ করে পয়সা উপার্জন করেন। এদেরকে Surrogated Mother বলা হয়। যৌনাচার, ব্যভিচার, মাতৃত্ব ও নারীত্বের অবমাননা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর বৈশিষ্ট্য হয়ে পড়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমাবদ্ধতা: অর্থনীতি ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence জাতীয় নিরাপত্তা, রাজনীতি ও সংস্কৃতির উপরও বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পূর্ব নির্ধারিত কোনও ভবিষ্যত নেই। এর যে ভবিষ্যতটি সহজে বলা যায় সেটা হচ্ছে প্রযুক্তিগত ও নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভরশীলতা মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ও সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে দিতে পারে তেমনি অটোমেশনের ফলে কর্মচ্যুত জনশক্তি উৎপাদনশীলতার নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিরও কারণ হতে পারে। এর কারিগরি সম্ভাব্যতা অনিশ্চিত। উৎপাদনের ক্ষেত্রে গতিশীলতা না থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। বিংশ শতাব্দির শেষ দশক ও একবিংশ শতাব্দির প্রথম দশক বাদ দিলে এর আগের ৫০ বছরে মার্কিন অর্থনীতির উৎপাদনশীলতার প্রবৃদ্ধি হার ছিল খুবই কম। বলাবাহুল্য ইনপুটস এর প্রতিটি ইউনিট থেকে পর্যাপ্ত আউটপুট আসলেই wealth of nation বৃদ্ধি পায় বা তা নির্ণিত হয়। এ থেকে মানুষ জীবনমান, দারিদ্র্যবিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সংরক্ষণ, খাদ্য নিরাপত্তা, বাজেটের ঘাটতি পূরণ প্রভৃতি সামাল দেয়াও সহজ হয়। মানুষ এতদিন তার মেধা ও প্রতিভা দিয়েই তা করে এসেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর তা ছেড়ে দিলে মেধার চর্চাও বিশাল বাধাগ্রস্ত হবে। সিলিকন ভ্যালীর সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রযুক্তি যেমন- থ্রি ডি প্রিন্টার্স, স্বচালিত গাড়ি, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, অটোমেটেড গ্রোসারী প্রভৃতির সাফল্যের হার পশ্চিমা বিশ্বকে হতাশ করেছে এবং Dearon Acemoglu এবং সাইমন জনসনসহ বিশেষজ্ঞরা Rebalancup AI’ শিরোনামে তাদের নতুন গবেষণায় মানুষের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আরো শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করেছেন। এর সহজ অর্থ যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে প্রাচ্য পাশ্চাত্যের জনসংকটে ভোগা দেশগুলোর কিছু কিছু নীতি নির্ধারক যতই Immigration-এর পরিবর্তে Automationএর কথা বলুন না কেন শেষ পর্যন্ত Immigration নির্ভর তাদের হতেই হবে। মেয়েদের তারা মা বানানোর যে চেষ্টা করছেন তা সফল হতে যথেষ্ট সময় লাগবে।

নির্বাচিত কয়েকটি দেশের আয়তন ও ব্যবহার্য ভূমি

এখন বিশ্বের আয়তন কয়েকটি নির্বাচিত মহাদেশ ও দেশের কৃষি জমির পরিমাণ ও ব্যবহার সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী সারা দুনিয়ার আয়তন হচ্ছে ৫১০০৭২০০০ বর্গ কিলোমিটার বা ১৯৬৯৪০০০০ বর্গমাইল। এর মধ্যে জমির পরিমাণ ১৪৮৯৪০০০০ বর্গ কিলোমিটার বা ৫৭,৫০৬,০০০ বর্গমাইল। অবশিষ্ট ৩৬১১৩২০০০ বর্গ কিলোমিটার বা ১৩৯৪৩৪০০০ বর্গমাইল হচ্ছে পানি যা মোট আয়তনের ৭০.৮ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন হচ্ছে ৯৮৩৩৫১৭ বর্গ কিলোমিটার। এর স্থল ভাগের পরিমাণ ৯১৪৭৫৯৩ বর্গকিলোমিটার। অবশিষ্ট ৬৮৫৯২৪ বর্গ কিলোমিটার পানি যা মোট আয়তনের ৭ শতাংশ।

রাশিয়ার আয়তন হচ্ছে ১৭০৯৮২৪৬ বর্গকিলোমিটার, স্থলভাগ ১৬৩৭৮৪১০ বর্গ কিলোমিটার জলভাগ ৭১৯৮৩৬ বর্গকিলোমিটার (৪.২%), কানাডার আয়তন ৯৯,৮৪,৬৭০ বর্গকিলোমিটার, এর মধ্যে স্থলভাগ হচ্ছে ৯০,৯৩,৫০৭ বর্গ কিলোমিটার এবং জলভাগ ৮,৯১,১৬৩ বর্গ কিলোমিটার অর্থ্যাৎ মোট ভূখন্ডের ৪.৯ শতাংশ। চীন মূল ভূখন্ডের আয়তন ৯৫৯৬৯৬০ বর্গ কিলোমিটার, তাদের স্থল ভাগের পরিমাণ ৯৩,২৬,৪১০ বর্গ কিলোমিটার এবং জল ভাগের পরিমাণ ২৭০,৫৫০ বর্গ কিমি. অর্থ্যাৎ মোট আয়তনের ২.৮ শতাংশ। অষ্ট্রেলিয়ার আয়তন ৭৭,৪১,২২০ বর্গ কিমি. স্থলভাগ ৭৬৮২৩০০ বর্গ কিমি. এবং জলভাগ ৫৮৯২০ বর্গ কিমি. বা মোট ভূখন্ডের ০.৮ শতাংশ।

সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে আর না গিয়ে যে বিষয়টির প্রতি আমি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই তা হচ্ছে ক্রমবর্ধনশীল পরিবর্তন। আগে আমরা জানতাম পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ জল একভাগ স্থল। বর্তমানে জলভাগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রের সম্প্রসারণ মেরু অঞ্চল ও বৃহৎ পর্বত চূড়ার হিমবাহ গলার ফলে এটা হতে পারে। এর সাথে সাথে সারা দুনিয়ায় পানের যোগ্য ও সেচ যোগ্য ভূউপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা কমার ফলে ব্যবহারের প্রতিযোগিতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বনভূমি হ্রাস পেয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ও ঘটছে। চাষ যোগ্য জমিও কমছে। এই চতুর্মুখী বিপর্যয়ের মধ্যে দেখা দিয়েছে জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যা। মানবজাতিকে যারা ধারণ করেন সেই মায়েরা এখন মাতৃত্ব গ্রহণ করতে রাজী নন। শিল্প কারখানা চালু রেখে ভোগ্যপণ্য ও মূলধন পণ্যের উৎপাদন অব্যাহত রাখা কৃষিকাজ প্রভৃতির জন্য মানুষ দরকার। মানুষের অভাব পূরণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence) ও রোবট প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রযুক্তির বিরূপ  প্রক্রিয়াগুলোর উপরও কথাবার্তা হচ্ছে এবং জনশক্তির আন্তঃবিনিময় তথা অভিবাসনকে অন্যতম সমাধান হিসাবে বিশেষজ্ঞরা গণ্য করছেন। এক্ষেত্রে ইউরোপ আমেরিকা কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সাব সাহারান আফ্রিকা প্রভৃতি দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় (জাপান ছাড়া) অনেক কম হওয়ার জনসংখ্যা পুনর্বন্টন, জীবিকার সংস্থান, ভূমি সম্পদের সদ্ব্যবহার প্রভৃতিক সামনে রেখে শিক্ষিত অশিক্ষিত দক্ষ অদক্ষ শ্রমশক্তি রফতানির পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মুসলিম দেশগুলো বিশেষ করে সক্রিয় ইসলামী আন্দোলনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।

আরবের তপ্ত মরুতে ইসলামের আগমন ঘটেছিল। রাসূল (স:) এর আমল খোলাফায়ে রাশেদীনের আমল এবং তৎপরবর্তীকালে ব্যবসায় বাণিজ্য, কর্মসংস্থান এবং পাশাপাশি দ্বীনী দাওয়াত নিয়ে সাহাবায়ে কেরাম ও তাদের পরবর্তী মর্দে মুজাহিদরা এশিয়া ইউরোপসহ সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিলেন। তাদেরই দাওয়াতি কাজ, চারিত্রিক মাধুর্য, প্রত্যেকটি দেশ মহাদেশে কোটি কোটি মানুষকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হিসেবে জনশক্তি রফতানির প্রাক্কালে এ বিষয়টি আমাদের ভালোভাবে ভেবে দেখতে হবে।

যারা যাবেন তাদের ইমান আকিদা, আচার-আচরণ ও সংঘাতসংকুল পরিবেশে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের উপযোগী জ্ঞানে তারা যদি সমৃদ্ধ না হন তাহলে তারা নিজেরা যেমন গড্ডলিকা প্রবাহের শিকার হবেন, তেমনি তাদের ভবিষ্যৎ বংশধররাও ইহুদী-খৃষ্টান অথবা নাস্তিকে পরিণত হয়ে যেতে পারেন। ইসলামের চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান ইমান-আকিদা সংরক্ষণ এবং দাওয়াতি কৌশল প্রভৃতির উপর টার্গেটভুক্ত ব্যক্তিদের সিলেবাস অনুযায়ী পড়ালেখা ছাড়াও ন্যূনতম ছয় মাসের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। তাদের পেশাগত ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সুদান বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে সক্রিয় ইসলামী আন্দোলনগুলোর কর্মকান্ড ও অধ্যয়ন করার কিছুটা সুযোগ আমার হয়েছে। তারা যদি যৌথভাবে চেষ্টা করেন তা হলে দ্বীনের একটা বিরাট খেদমত হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।

 

https://www.dailysangram.info/post/545503