৬ জানুয়ারি ২০২৪, শনিবার, ১১:৫৪

সবজির দাম চড়া

 

শীতের পুরো মওসুম চলছে। বাজারে ভরপুর সবজি। তবু দাম কমছে না। সবজির চড়া দামের কারণে স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের বাজারে। গত তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। অন্যদিকে রমজানকে সামনে রেখে আগেভাগেই বাড়তে শুরু করেছে ছোলাসহ বিভিন্ন পদের ডালের দাম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, বাজারে হরেক রকমের সবজিতে ভরপুর। পাড়া-মহল্লায় ফেরি করে ভ্যানেও পাওয়া যাচ্ছে তরতাজা নানান ধরনের সবজি। তবে দাম কমছে না। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দর ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অন্যবছর এ সময়ে যা ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যায়। মটরশুঁটির কেজি ১৫০-১৮০ টাকা। এছাড়া লাউয়ের পিস আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। অন্যান্য সবজির মধ্যে গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা আর মুলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকা প্রতি আঁটি ২০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা, খিঁড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে নতুন আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে নতুন পেঁয়াজের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিশা শাকের আটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নবেম্বরের মাঝামাঝি ও ডিসেম্বরের শুরুতে কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দামের ক্ষেত্রে।

রমজান আসতে এখনো দেরি দুই মাসের বেশি। তবে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ছোলার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডালজাতীয় খাদ্য পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। একই সঙ্গে ছোলার ডাল, মুগডাল, অ্যাংকরসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগডালের কেজি দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। একই সঙ্গে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।

ডাল ব্যবসায়ীদের দাবি, ছোলাসহ আমদানি করা নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ ডলারের দর বৃদ্ধি।

তবে ক্রেতারা বলছেন, রমজানে দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীরা নানান প্রশ্নের মুখে পড়বেন। সেজন্য দু-এক মাস আগেই বাড়ানো শুরু করছেন।

বাজারে গত সপ্তাহ থেকে ব্রয়লার মুরগির দরও কিছুটা বাড়তি। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। সোনালী মুরগি ৩২০-৩৪০ টাকা। আর ডিমের দর গত সপ্তাহের তুলনায় ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে।

প্রচুর সরবরাহ থাকলেও কমেনি আলুর দাম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এছাড়াও রসুন ২৪০-২৬০ টাকা, আদা ২৪০-২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-গোশতের বাজারে। মাছের বাজারে তেলাপিয়া মাছের দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। পাঙ্গাশ ১৮০-২২০ টাকা। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ।

https://www.dailysangram.info/post/545284