২ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:২৫

জন্ম-মৃত্যু হারের বৈষম্য ও জনসংখ্যা হ্রাসজনিত সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে

-ড. মো. নূরুল আমিন

 

দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নীতিনির্ধারকরা দিশা হারিয়ে অনেক সময় অনেক কথা বলে ফেলেন ও অনেক কাজ করে ফেলেন, যা তাদের অবস্থা ও অবস্থানের সাথে খাপ খায় না। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও খ্যাতনামা পার্লামেন্টারিয়ান মরহুম মাওলানা আবদুস সোবহানের মুখে একটি গল্প শুনেছিলাম। গল্পটি হচ্ছে একজন কৃষকের। একবার চৈত্রের খররোদ্রে হাল চাষ করে তিনি লাঙ্গল-জুয়াল আর বলদ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। গোশালায় গরু বেঁধে লাঙ্গল-জুয়াল রেখে ধপাশ করে ঘরের দাওয়ায় বসে তিনি ছেলেকে ডেকে বললেন, ‘এক গ্লাস পানি দাও তো ভাই। কথাটা শুনে তার স্ত্রী তেড়ে এসে বললেন, মাইনসের কি মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ছেলেকে বলে ভাই! কৃষক জবাবে বললেন, কাঠফাটা রোদে হাল চাষ করলে হুশ কি থাকে মা?’

গত মঙ্গলবার এই স্তম্ভে বিশে^র জনসংখ্যা হ্রাসজনিত সংকট আলোচনা করতে গিয়ে কেস স্টাডি হিসেবে আমি ইতালীর অবস্থা তুলে ধরেছিলাম। আজকের আলোচনায় অপরাপর নির্বাচিত কিছু দেশের অবস্থা তুলে ধরতে চেষ্টা করবো। বলাবাহুল্য ২০২৪ সালের প্রথমদিন আজ সোমবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনসাস ব্যুরোর এক রিপোর্ট অনুযায়ী বিশে^র জনসংখ্যা ৮০১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯ জনে পৌঁছেছে। রিপোর্টে জনসংখ্যা ও তার বৈশিষ্ট্য প্রবণতা সম্পর্কে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছে। এক, উন্নত-অনুন্নত সকল দেশের নি¤œ জন্মহার ও সন্তান জন্মদানে সক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমতে থাকা ও সাথে সাথে বৈশি^ক গড় আয়ু ৭৫ বছর থেকে ৭১ বছরে নেমে আসা। সারা দুনিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

মহাদেশগুলোর মধ্যে একমাত্র আফ্রিকার দেশগুলোর অবস্থান ভিন্ন। এসব দেশে জন্মহার মৃত্যুহারের তুলনায় বেশি। World Population Review অনুযায়ী প্রতি ৩১ মিনিটে এসব দেশে নীট একজন করে মানুষ বাড়ে।

জনমিতি বা ডেমোগ্রাফির বিষয়টি এখানে খুব পরিষ্কার। যদি মৃত্যুহার জন্মহারের চেয়ে বেশি হয় এবং অভিবাসনের হার শূন্য হয় তাহলে জনসংখ্যা হ্রাস পায়। জনমিতির এই সত্যটি অমোঘ; ভৌগোলিক অবস্থান, কাল, অর্থনীতি, রাজনৈতিক আদর্শ বা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটি অলংঘনীয়।

তথাপি বিশে^র অনেক দেশের অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা এবং বুদ্ধিজীবী জনমিতির এই নিয়মটি (বিশেষ করে ঐসব দেশে যেখানে শিশু-কিশোর ও যুবক বয়সের লোকসংখ্যা কমছে এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সংখ্যা বাড়ছে), মানতে চান না, অবজ্ঞা করেন অথবা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন, আশু ও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলের কথা চিন্তা করেন না, তারা কোনো রকমে বিশ^াস করতে চান যে, জনমিতির মৌলিক ধারণার সাথে জন্ম-মৃত্যু এবং অভিবাসনের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের নিকট বা দূরভবিষ্যতের জন্য কোনো সমস্যা ডেকে আনবে না।

আগেই বলেছি, আফ্রিকা ছাড়া সমগ্র ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে এখন জন্মহার হ্রাসের সমস্যা বিরাজ করছে। দরিদ্র দেশগুলো থেকে ধনী দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। এতে মারাত্মক কিছু নতুন সমস্যার বীজও বপন হচ্ছে। অতি দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকরা ভোটার টানার লক্ষ্যে অভিবাসন (Migration)ইস্যুটিকে ব্যবহার করছে এবং পয়সা বানাচ্ছে এবং স্থানীয় অস্থানীয় বিবাদের বিষয়টিও সামনে এসে যাচ্ছে।

উল্লেখিত দেশগুলোতে বিংশ শতাব্দীব্যাপী বার্ষিক জন্মহার, মৃত্যুহারের তুলনায় বেশি ছিল, ফলে এক শতাব্দীতে বিশে^র জনসংখ্যা প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৬ বিলিয়ন থেকে ৬.১ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছিল। প্রসঙ্গত ১৯৫০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কার্যত কোনো দেশেই বার্ষিক মৃত্যুহার জন্মহারের চেয়ে বেশি ছিল না। ৭০-এর দশকের মাঝামাঝি এসে আস্তে আস্তে স্বল্পসংখ্যক কোনো কোনো দেশে মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায়। জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরী, ইতালী, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া ও ইউক্রেনসহ এ ধরনের দেশের সংখ্যা প্রায় ২০টি। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি এই সংখ্যা অর্থাৎ বেশি মৃত্যুহারের দেশ প্রায়  তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং শতাব্দী শেষে ১২০টিতে উন্নীত হবে বলে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আবার এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জনসংখ্যার নেতিবাচক বৃদ্ধির হার উচ্চ মৃত্যুহারের উপর নির্ভরশীল নয়। এর মূল কারণ হচ্ছে মহিলাদের মাথাপিছু সন্তান জন্মদানের হার হ্রাস। এই হার এখন জনপ্রতি দুইজনের কম। যতই উচ্চশিক্ষা, কর্মসংস্থান, ক্যারিয়ার গঠন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও স্বয়ম্ভরতার সুযোগ-সুবিধার জন্মনিরোধক সামগ্রী সহজপ্রাপ্য হওয়ায় যুবতী ও পৌঢ়া মেয়েরা সন্তান সংখ্যা হ্রাস অথবা একেবারেই মাতৃত্ব বিসর্জনের পথ বেছে নিচ্ছে। জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বিশ^ জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশ অধ্যুষিত ৮৩টি দেশে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি, তা প্রতিস্থাপনের পর্যায়ে নেই। অত্যন্ত বেশি জনসংখ্যার ১০টি দেশে মহিলা প্রতি সন্তান সংখ্যা ২ জনের কম। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, জার্মানি, ইরান, থাইল্যান্ড এবং বৃটেন।

স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান নেতিবাচক হারের সাথে জনসংখ্যা বিশারদদের ভাষ্য অনুযায়ী সংখ্যা সাম্য রক্ষার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অভিবাসনের পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রায় ৪০টি দেশ আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্র হয়ে আসছে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, চীন, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালী, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন ও ইউক্রেন। শতাব্দী শেষে আরো ৬০টি দেশের জনসংখ্যা ক্ষুদ্রতম পর্যায়ে নেমে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

ভবিষ্যতে যখন জনসংখ্যা ও জনশক্তি হ্রাস পাওয়া বা বৃদ্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সামনে কতিপয় পলিসি অপশন থাকে। জন্ম ও মৃত্যুর হারের ব্যবধান পূরণ করার জন্য তারা অভিবাসনের পথ অবলম্বন করতে পারেন।

প্রতি স্থাপনের পর্যায় থেকে নীচে অবস্থানকারী উর্বরতা বা গর্ভধারণের হার সম্পন্ন দেশ কানাডার কথা ধরা যেতে পারে। এই দেশটির মহিলা প্রতি গর্ভধারণের হার (Fertility Rate) ১.৬ তারা অভিবাসন অভিমুখী নীতি মেনে চলে। ফলে এই শতাব্দীর শুরু থেকে এই দেশটি প্রতি বছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসী গ্রহণ করছে। অভিবাসী ছাড়া ২০৫০ সালে কানাডার জনসংখ্যা ১০ মিলিয়ন কম হবে।

পক্ষান্তরে কম উর্বরতা হার সম্পন্ন দেশ যেমন হাঙ্গেরী, ইতালী, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া হচ্ছে অভিবাসী বিমুখ এবং তাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে হাঙ্গেরী, ইতালী ও পোল্যান্ডে এজন্য এখন আন্দোলন চলছে। অনেক দেশে বিশেষ করে যেখানে অধুনা প্রচুর চাকরি প্রত্যাশী অভিবাসী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী অথবা যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলের শরণার্থীরা যাচ্ছেন, যেমন- বৃটেন, ইতালী এবং স্পেন। এসব দেশে অভিবাসনকে অনেকটা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হয় যদিও কিছু কিছু রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন। জনগণের একটি বিরাট অংশ এসব দেশে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেমন- “বিদেশীদের আধিক্যে মনে হচ্ছে যে দেশটা আমাদের হাতে নেই, তারাই তা দখল করে নিয়ে গেছে।” অভিবাসী নেয়ার পরিবর্তে তাদের কোন কোন সরকার তাদের দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় অক্ষুণœ রাখা এবং মহিলাদের উর্বরতা হার বৃদ্ধির চিন্তা ভাবনা করছেন। ৪০ বছর আগে ১৩টি দেশ উর্বরতা হার বৃদ্ধির নীতি অনুসরণ করতেন। এদের সংখ্যা এখন চারগুণ বেড়ে ৫২টিতে উন্নীত হয়েছে যা বিশ^ জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। কয়েক বছর আগে জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে জাপানের প্রধানমন্ত্রী রিপোর্টারদের বলেছেন, “I would say that before accepting immigration or refugees we need to have more activities by women, elderly people and we must raise our birth rate. There are many thing that we should do before accepting immigrants.”

অর্থাৎ আমি বলবো যে অভিবাসী বা শরণার্থী গ্রহণ করার পূর্বে আমাদের মহিলা এবং বয়স্ক লোকদের অনেক তৎপরতা চালাতে হবে। আমাদের অবশ্যই জন্মহার বাড়াতে হবে। অভিবাসী গ্রহণ করার আগে আমাদের অনেক কিছুই করা উচিত।

পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জাপান একটি পন্থা অবলম্বন করছে এবং সেটা হচ্ছে immigration-এর পরিবর্তে Automation-এর দিকে যাওয়া। বয়স্ক নাগরিকদের নার্সিং সেবা প্রদান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের দায়িত্ব পালনের জন্য তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) রোবট-এর উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। সমাজ বিজ্ঞানীরা জাপানের এই প্রবণতাকে মানব সভ্যতার জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ বলে মনে করেন। সত্তরের দশকের মধ্যভাগ থেকে জাপানের মহিলাদের মাথাপিছু গর্ভধারণের হার ছিল ১.৪টি, যা প্রতিস্থাপন লেবেলের নীচে। এটা দশকের পর দশক চলে এসেছে।

একইভাবে হাঙ্গেরীর প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান বুদাপেস্টে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন যে, তার দেশের অর্থনীতির জন্য একজন প্রবাসীরও কাজ করার দরকার নেই তেমনি দরকার নেই জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখা অথবা দেশের ভবিষ্যত বিনির্মাণের জন্য। অর্বান অন্যত্র বলেছেন যে, যারা প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে আসেন তাদের প্রায় সকলেই মুসলমান। এই মুসলমানেরা ইউরোপের খৃস্টান পরিচিতি ও সংস্কৃতির প্রতি একটি বিরাট হুমকি। তিনি আরো বলেছেন যে, অভিবাসন হচ্ছে সন্ত্রাসের বেলায় ট্রয়নগরীর কাঠের ঘোড়ার মত (Wooden horse of Troy) তাকে প্রতিরোধের জন্য শক্ত সীমানা প্রাচীরের প্রয়োজন, জাপানের মত হাঙ্গেরীর মহিলাদের ও গর্ভধারণের হার জনপ্রতি ১.৪ জন যা দশকের পর দশক ধরে প্রতিস্থাপন পর্যায়ের অনেক নীচে রয়েছে। এর ব্যতিক্রম হচ্ছেন জার্মানীর চ্যান্সেলার এঞ্জেলা মার্কোস। তার দেশেও প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে মৃত্যুহার জন্মহারের চেয়ে বেশি। তিনি সমস্যা মোকাবেলার জন্য অভিবাসন বিশেষ করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী এবং শরণার্থীদের সাদর আমন্ত্রণ জানানোর নীতি অনুসরণ করছেন। ২০১৬ সালে বার্লিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জার্মান সংবিধানের মূলনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন, “It mean we will give asylum to those who are politically persecuted and we will give protection to those who flee war and expulsion according to the Geneva Refugee Convention.” অর্থাৎ এই মূলনীতির অর্থ হচ্ছে আমরা রাজনৈতিকভাবে নিপীড়িত ব্যক্তিদের আশ্রয় দেব এবং জেনেভা শরণার্থী কনভেনশান অনুযায়ী যারা যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা থেকে পালিয়ে বা বহিষ্কার হয়ে আসবে তাদেরকে রক্ষা করবো।

অবস্থা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, বিভিন্ন দেশে গর্ভধারণ বা উর্বরতা হার বৃদ্ধি করার প্রায় সকল সরকারি উদ্যোগ অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে, তারা গর্ভপাত ও অভিবাসন কোনটাই ঠেকাতে পারছে না। এক্ষেত্রে অনেক দেশে কিছু কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। সুইডেন সরকার তার অফিস আদালত ও কল কারখানায় দুপুরের খাবারের বিরতির সময় বাড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাব করে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুপুরে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও গার্লফ্রেন্ডদের সাথে যৌন সংগম করবেন এবং এতে গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়ায় প্রত্যেক বছর ১২ সেপ্টেম্বরকে গর্ভধারণ দিবস তথাConception Day বা Procreation Day হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঐ তারিখে যে সমস্ত যুগল সন্তান জন্ম দিবে বা গর্ভধারণ করবে তাদেরকে ফ্রিজ, টেলিভিশন উপহার প্রদান করা হয়। জাপানে ৫০ শতাংশেরও বেশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অবিবাহিত পুরুষ ও মেয়েদের জন্য সেমিনার বা ম্যাচ মেকিং সমাবেশের আয়োজন করে বিবাহ সাদীর ব্যবস্থা করে যাতে তারা ছেলে মেয়ের জন্ম দেয়, এতে খুব বেশি সুফল দেখা যায়নি। এক সময় চীন এক সন্তানের পরিবারকে উৎসাহিত করেছে। এখন তারা একাধিক সন্তান উৎসাহিত করার জন্য ইসলামী বিধানও খুঁজছে। আগামী সংখ্যায় এর সমাধান নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

https://www.dailysangram.info/post/544882