১ জানুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৫:২৪

হামলা-মামলা ও মানবাধিকারের চরম অবনতির বছর 

-ইবরাহীম খলিল 

 

হামলা, মামলা, ধরপাকড় আর আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে কেটে গেছে আরও একটি বছর ২০২৩ ইং। রাজনীতির উত্তাপ, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি আর দ্রব্যমূল্যের চরম অস্থিরতায় এক ধরনের ত্রাহি অবস্থার মধ্য দিয়ে বলতে গেলে বছরটি অস্থিরতা দিয়ে শুরু হয়। বছরের শেষ দিকে এসে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দিয়ে শেষ হলো। সবার মনে একটাই চিন্তা কি হচ্ছে, কি হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির চরম অবনতি, নাজুক মানবাধিকার পরিস্থিতি, উন্নয়ন কর্মকা-ের অন্তরালে দুর্নীতির চরম বিস্তার, নিত্যভোগ্য পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি বিভীষিকাময় করে তোলে সাধারণ মানুষের জীবন। ফলে নানা অস্থিরতা, জঞ্জাল আর সংকট সঙ্গে নিয়েই পুরো বছর কাটাতে হলো মানুষের। তবে এ বছরের নানা সংকটের মধ্যেও উন্নয়নের উত্তাপ ছড়ায় মেট্রোরেল, চট্টগ্রামের ট্যানেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। 

গোটা বছরটি গেছে রাজনৈতিক কর্মসূচির রক্তাক্ত পরিবেশ রচনার ভেতর দিয়ে। জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ছিল বছরজুড়ে। বিরোধী মতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসাথে রাজনীতিকে নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল আর অনৈতিক সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার ছিল বছরজুড়ে। বছর শেষে বিরোধী মতের রাজনীতিকদের শুনতে হচ্ছে একের পর এক দ-ের রায়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে নেয়া হয়েছে জেলে। বাকীদের চলে যেতে হয় আত্মগোপনে। এবছর ব্যাপক আলোচনার বিষয় ছিল বিরোধী দলের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ডা-াবেড়ি পড়িয়ে আদালতে হাজির করার বিষয়টি। এ ছাড়া বিক্ষোভ-আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্তি প্রয়োগ, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের হয়রানি, ভয় দেখানো এবং বেআইনিভাবে আটক রাখার বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় ছিল।  

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটে বছরজুড়ে। সারা বছর আলোচনায় ছিল দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি। এজন্য বার বার উদ্বেগ জানিয়েছে দেশ বিদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেছেন, ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালানো হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মীদের আন্দোলনেও চলছে দমনপীড়ন। এ ছাড়া সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের নেতাদের বিচারিক হয়রানি করা; এমনকি বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনকারী আইন সংস্কারে ব্যর্থতা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে জানিয়েছে। 

বিশেষ করে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসে; ততই রাজনৈতিক সহিংসতা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটতে থাকে। এ ছাড়া নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের আদিলুর রহমান খান, অধিকারের পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাঁদের বারবার আদালতে যেতে হয়েছে। সাজা হয়েছে। 

২০২৩ সালের আলোচনায় ছিল অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার কথা। দুই বছর ধরে তদন্ত পরিচালনা, বারবার শুনানি এবং দেশের বাইরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তাঁর কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরও কৌঁসুলিরা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫ হাজার ৬০০টির বেশি মামলা এখনো চলমান। এটা সরকারের হিসাব। আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এসব মামলায় প্রখ্যাত অনেক সাংবাদিক-সম্পাদককে আসামী করা হয়েছে। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়েও উদ্বেগ রয়ে গেছে।

মেট্রোরেল প্রকল্পে দুর্নীতি :  জনগণের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল বানানো হলেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কেবল মেট্রোরেল নয়; বঙ্গবন্ধু ট্যানেলসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এজন্য ভাড়া বেশি করা হয়েছে বলেও মত দেন বিশেষজ্ঞরা। দেখা গেছে ঢাকা মেট্রোরেলের ভাড়া ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি। ‘মেট্রোরেল আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে মেট্রোরেলের ভাড়া সর্বনি¤œ ২০ টাকা এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকা করার প্রতিবাদও করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।  নির্ধারণের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।’

বিদায়ী বছর দেশেও পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে বিদায়ী বছরে। গড়ে পণ্যের আমদানি মূল্য বেড়েছে ৫০ শতাংশ। কোনোটির দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। অন্য সব ধরনের জিনিসের দামও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তাতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে যায়। রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচনায় ছিল প্রতিদিন। এক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের কথা না বললেই নয়। সরকার এই সি্িডকেটের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

খেলাপি ঋণ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ যাবতকালে এটিই সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের অঙ্ক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। করোনা মহামারিকালে ব্যাংকঋণ আদায়ে দেয়া বিশেষ ছাড় বছরের শুরুতে তুলে নেয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণ।

এ বছর ছিল মূলত ডেঙ্গুর বছর। এবছর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। বিশ্বে আর কোনো দেশে ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু হয়নি। পুরো বছর শেষ হওয়ার ১৫ দিন আগ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৬ এবং নারী ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০। মোট মৃত্যু ১ হাজার ৬৬৭, যার মধ্যে নারী ৯৫৪ জন ও পুরুষ ৭১৩। গড়ে প্রতিদিন ৯১৯ আক্রান্ত, মৃত্যু ৫ জন। এ বছর ১৫ বছরের কম বয়সী ১৬৬ জন শিশু মারা গেছে ডেঙ্গুতে। ডেঙ্গুতে এত শিশুর মৃত্যু আগে কখনো হয়নি। তবে সরকারি তথ্যের বাইরে বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের একটি অংশ নিজেদের মতো করে চিকিৎসা নিয়েছে, অনেকে আবার চিকিৎসা নেননি। সরকারি হিসাবের বাইরে আক্রান্তদের সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন।। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তিন লাখ ২০ হাজার ১৫৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

২০২৩ সালে বছরজুড়েই কূটনীতিরা তৎপর ছিল বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে। তারা নানাভাবে দূতিয়ালি করেও সরকারকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে রাজি করাতে বর্থ্য হয়েছে। আমরা দেখি বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে বিশ্ব দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের বলয়ভূক্ত দেশগুলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সরকারকে নানামুখী চাপ দিয়েছে। অন্য দিকে রাশিয়া চীন ও  ভারত মিলে বাংলাদেশ সরকারের একগুয়েমির নির্বাচনকে সমর্থন দিয়ে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে বছরটি আন্তর্জাতিক পরা শক্তিগুলোর ঠা-া লড়াইয়ের ক্ষেত্র ছিল বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তার নেতৃত্বে মূলত বাংলাদেশের সবদলকে নিয়ে নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিল। 

 প্রকারান্তরে ভারত, চীন, রাশিয়া, মিয়ানমার ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা এবং কূটনৈতিক তৎপরতায় বছরজুড়ে বাংলাদেশকে চাপ সামলাতে হয়েছে । এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাইলট প্রকল্পের আওতায় কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করার লক্ষ্য ছিল সরকারের। মিয়ানমারের দিক থেকেও ইতিবাচক সাড়া ছিল। প্রত্যাবাসনে গতি আনতে বন্ধু রাষ্ট্র চীনের দূতিয়ালিও ছিল চোখের পড়ার মতো। তবে, মিয়ানমারের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক কিছু প্রতিষ্ঠানের কারণে সেই সম্ভাবনা হোঁচট খেয়েছে। মিয়ানমারে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করাতে গেলে তা টেকসই হবে না বলে আটকে থাকলো পুরো বছর।

ডলার-সংকট সামাল দিতে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। তারপরও ডলারের বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। এর ফলে কমে যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ বাড়তে বাড়তে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন সেই রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে অর্থনীতিবিদরা হৈচৈ করলেও সরকার তা আমলেই নেয়নি। এসব আলোচনা সমালোচনা সরকার নিরবে সহ্য করেছে। 

রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনা ছিল বছরের আলোচিত ঘটনা। রাজধানীর যে মার্কেটে কোটি কোটি টাকার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা হতো সেটি এক রাতের আগুনে পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। ৪ এপ্রিল ভোরে আগুনের সূত্রপাত। রোজার মধ্যে লাগা ভয়াবহ সেই আগুন নিভে ৭৫ ঘণ্টা পর। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় ৫ হাজার দোকান পুড়েছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিবার। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আগুন নেভাতে হাতিরঝিল থেকে হেলিকপ্টারে করে পানি আনতে হয়েছে।

 নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করেন ওই প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ (৬০)। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে সেটি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। যদিও আদালতে সিনথিয়া নিজেকে ১৮ বছর বয়সী সাবালিকা দাবি করেন।

 বছরের শেষের দিকে রমনা জোনের এডিসি (প্রত্যাহার হওয়া) হারুন অর রশিদ ও সানজিদার প্রেমের গুঞ্জনে ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। সানজিদা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে উপস্থিত হন এডিসি হারুন। ওই সময় সেখানে হাজির হয় সানজিদার স্বামী ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। শুরু হয় বাকবিত-া। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।     

জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকা- ছিল বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার সময় সেই এলাকার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আলম বাবুর সমর্থকরা তার ওপর হামলার করে। নাদিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরদিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

https://www.dailysangram.info/post/544810