১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৭:১৫

রিজার্ভ-সংকট কোন ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে?

-ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

 

দেশের বৈদেশিক ঋণের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে এবং বিপরীতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ মাত্র ১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (টিবিএস, ২৮ নভেম্বর ২০২৩)।

আমদানির ভিত্তিতে ২০১৮-পরবর্তী সময়কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ২০১৮-২০ সময়কালে স্বাভাবিক গড় মাসিক আমদানি ছিল সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যদিও করোনার সময়কালে আন্তর্জাতিক সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়ে আমদানি কমে এসে রিজার্ভ বাড়িয়েছিল।

২০২১ সালের পরে দেশের স্বাভাবিক গড় মাসিক আমদানি ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ মাসিক আমদানির গড় ভিত্তি প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার বেড়ে গেছে। কোনো কোনো মাসে (তিনটি মাসে) আমদানি ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারও অতিক্রম করেছিল।

অভিযোগ দুটি—এক, আন্তর্জাতিক সুদের হার বৃদ্ধিজনিত মূল্যস্ফীতি। ফলে আমদানির পরিমাণ একই থাকলেও পণ্যমূল্যে আমদানির আর্থিক মূল্য বেড়েছে এবং দুই. আমদানির আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং করে ডলার পাচার।

তবে ২০১৮-২০২৩—এই পাঁচ বছরের গড় নিলে দেখা যায়, মাসিক গড় আমদানি সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে যেহেতু ইংল্যান্ডের লাইবর ও যুক্তরাষ্ট্রের সোফার সুদ সোয়া ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। তাই বিশ্বব্যাপী পণ্যমূল্য বেড়েছে। ফলে এই সময়ে বাংলাদেশের গড় মাসিক আমদানি চাহিদা ন্যূনতম ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে সাড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঋণপত্র নিয়ন্ত্রণ করে আমদানি এর নিচে নামালে বুঝতে হবে তা সুস্পষ্ট মন্দা—অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হবে।

প্রতি মাসে গড়ে সর্বনিম্ন এক বিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষয় হচ্ছে। মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ডলার বিক্রি করাই ক্ষয়ের কারণ। একদিকে ঋণখেলাপি প্রক্রিয়া জারি থাকায় ডলার পাচারে লাগাম আসেনি। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি, আস্থাহীনতা এবং কম বিনিময় হারের কারণে প্রবাসী আয়ে স্থবিরতা এসেছে।

ইসলামী ব্যাংকের মতো বৃহৎ প্রবাসী আয় আনয়নকারী ব্যাংকের মালিকানা বেহাত করে, ক্রমাগত ঋণ জালিয়াতিতে গ্রাহকের আস্থাহীনতা তৈরির কারণেও হুন্ডি বেড়ে রিজার্ভ ক্ষয়ের কারণ ঘনীভূত হয়েছে। জরুরি জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বাজারে ডলার ছাড়তে হচ্ছে। আমদানির দায়, সরকারি-বেসরকারি ঋণ ও বকেয়া দায়, অপরাপর দেনা  মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

তবে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের বাইরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু রিজার্ভ আছে বিদেশি বন্ড, স্বর্ণ কিংবা বিদেশি ঋণ (এসডিআর) ইত্যাদি হিসেবে, যা তাৎক্ষণিক খরচ করা যায় না। সরকারি হিসাবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ফেরত না আসা ঋণ, উন্নয়ন প্রকল্পের ফেরত না আসা রিজার্ভ ঋণ (আইডিএফ) ইত্যাদি মিলিয়ে গ্রস হিসেবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

ইডিএফ ও আইডিএফের বেহাত রিজার্ভ বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার দেখানো হয়। আইএমএফের এসডিআর ঋণ, ব্যাংকগুলোর দেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং এবং এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর বিল বাদ দিলে প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়ায় প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা কমেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ কমছে। বৈশ্বিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগতভাবে কমে যাওয়ার কাঠামোগত কারণের মধ্যে আছে—১. ডলারের বিনিময় হার হুন্ডি মার্কেটের বিপরীতে কম হওয়া, ২. এলসি খোলার কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিশ্চিত করতে না পারা, ৩. ব্যাংকিং খাতের ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণচর্চা না থামায় এসবে ঋণের একাংশ পাচার হয়ে ডলার-সংকট বাড়া, ৪. খেলাপি ঋণ হুন্ডির স্থানীয় সরবরাহ চেইনে ঢুকছে, এতে বিদেশ থেকে ডলার দেশে আসছে না, পাচারকারীরা অনলাইন জুয়া ও ক্রিপ্টো ব্যবসায়ীরা ডলার বিদেশে রেখে তাঁদের বৈধ-অবৈধ চাহিদা মেটাচ্ছেন।

এর ফলাফল হচ্ছে বিদেশে যাওয়া বাড়া সত্ত্বেও বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা কমে যাওয়া। সরকার ডলারের বিনিময় হার ধরে রাখতে জোরাজুরি করছে বলেও বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ছে না। অথচ কিছু ব্যাংক ডলার রেট বাড়লে তাদের প্রবাসী আয় বাড়ার প্রমাণ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেড়ে গেলে, আমদানি মূল্যস্ফীতি যেমন বাড়ে, তেমনি পাচারকারীদের বৈধ-অবৈধ টাকার বিপরীতে প্রাপ্ত ডলারও কমে যায়।

সরকারের হাতে মাত্র আড়াই মাসের আমদানি বিল রিজার্ভ হিসেবে আছে। তবে হ্যাঁ, রিজার্ভ আড়াই মাস পরেই শূন্য হয়ে যাবে না। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে শীতের কারণে জ্বালানি আমদানির চাহিদা কিছু কমবে।

গ্রীষ্মের শুরুতেই জ্বালানি চাহিদা যখন বাড়বে, তখন আগের বকেয়া দেওয়ার পাশাপাশি নতুন জ্বালানি আমদানির চাপ আসবে। এ সময়ে বিদেশি ঋণের সুদ, আমদানি ও পাচারে ডলার চলে গেলেও রপ্তানি আয় আসবে, আসবে প্রবাসী আয়। বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের হার কমলেও আসবে কিছু কিছু বিদেশি ঋণ। মূল সমস্যা হলো আমদানি সংকোচনের পরেও যোগ-বিয়োগের পরে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ কমে যাওয়া।

প্রবাসী আয় ও রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হরে বাড়ছে না বলে (বরং গড় মানে কমছে) আগামী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যেই রিজার্ভ ২ মাসের আমদানি বিলের নিচে চলে আসার ঝুঁকি আছে। তেমনটা ঘটলে টাকার মানের আরেক দফা মূল্যপতনও সম্ভাব্য।

সরকার বর্তমানে আমদানি সংকোচনে গিয়ে ব্যাপকভাবে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) বন্ধ অথবা ডিফার করছে, ব্যবসায়ী নেতারা প্রকাশ্যে কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি করতে না পারার অভিযোগ করে আসছেন। এর অর্থ অর্থনীতিতে স্ব-আরোপিত মন্দা তৈরি করা। জরুরি জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির সংকোচন অর্থনীতিতে চলমান মন্দকে দীর্ঘায়িত করবে।

ডলার-সংকট আমাদের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। এই দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে আমরা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছি। ডলার-সংকটে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি খাদ্যমূল্য বৃদ্ধিতে জর্জরিত জনসাধারণের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো আরও প্রকট হচ্ছে।  

২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষে বাণিজ্য ব্যবধান ঋণাত্মক—১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। বিদেশে শ্রম রপ্তানি বাড়লেও আনুপাতিক হারে প্রবাসী আয় বাড়ছে না। ফলে নিম্ন রিজার্ভের বিপরীতে অতি উচ্চ বিদেশি ঋণের সুদের বোঝাও (বিলাতের লাইবর ও যুক্তরাষ্ট্রের সোফার সুদ দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি) আছে।

এর ফলে আমরা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টেও (ঋণাত্মক —২.০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্ট ২০২৩) বড় ঘাটতি দেখি। বেসরকারি খাতের শর্টটার্ম ডেবিট (এলসি ডিফার্ড এবং অন্যান্য ঋণসহ) ১২ দশমিক ৪ বিলিয়ন (সেপ্টেম্বর, ২০২৩)। সব মিলে কারেন্সি ক্রাইসিসের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি এক্সটার্নাল ডেবিট সার্ভিস ক্রাইসিসও তৈরি হয়েছে, এটা মন্দা ও সংকটের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত প্রমাণ।

নির্বাচনের পরে সরকারকে আটকে রাখা দেনা পরিশোধ করতে বাধ্য হবে, নতুবা ঋণের কিস্তি ও বিভিন্ন সংস্থার পাওনা বিলম্বে সুদের দায় আরও বাড়বে, যা সাসটেইনেবল সীমা ছাড়াবে। তখন সরকারকে কিছু বন্ড কিংবা গোল্ড বিক্রির মতো পদক্ষেপ নিতে হবে, যদি রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়াতে না পারে।  

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতসহ সরকারের বকেয়া আছে কয়েক বিলিয়ন ডলার, শিল্পকারখানাগুলো বহুদিন ধরে মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারছে না বলে এলসি সেটেলমেন্টের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। আদানি পিডিবি বাপেক্স বিপিসি বিমান, ডিজিটাল খাত ও টেক জায়ান্টদের পাওনা-বকেয়া প্লাস সরকারের বৈদেশিক ঋণের ডেবিট সার্ভিস দেওয়ার পর রিজার্ভ আরও কমে যাবে। এরপর রিজার্ভের পরিমাণ ঠিক কী থাকবে, সেটা নির্ভর করে বাজারে কী পরিমাণ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক বিক্রি করবে, তার ওপর।

ডলার রেট বাজারের ওপর ফ্রি-ফ্লট করতে দিলে প্রবাসী আয় বাড়বে কিছু। কিছু ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বা না নিয়ে মার্কেট রেট পলিসিতে ট্রায়াল দিয়ে ভালো প্রবাসী আয় এনেছে। ব্রুগেলের আরইইআর হিসেবে ক্রয়ক্ষমতার বিচারে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ১৫৪ থেকে ১৭৩ টাকা। পাচার বন্ধের আগে ডলার বিনিময় হার বাজারে ছেড়ে দিলে দুটি বিপদ। পাচারকারীরাও তখন পাল্লা দিয়ে হুন্ডি মার্কেট রেট বাড়াবে এবং আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিও বাড়বে।

যেহেতু ঋণখেলাপির সমস্যা থামছে না; বরং সরকার খেলাপি ঋণ কম দেখতে রিরাইট-রিশিডিউলিং অব্যাহত রেখেছে, সে জন্য ডলার পুরোপুরি ফ্রি ফ্লট করতে গেলে পাচারের বিপদ কমবে না। পাচারের চাহিদা যত দিন থাকবে, তত দিন এই কাজটা করা যাবে না। এখানে কেনেসীয় ধারায় কিছু নিয়ন্ত্রণ লাগবে। পাচার বন্ধ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সবার আগে কালোটাকার বিস্তার এবং বিশেষভাবে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ২০২৪ সালের শেষের দিকে ১০ বিলিয়নের নিচে গিয়ে স্থির হতে পারে। পাকিস্তান সরকার এমন নিম্ন রিজার্ভ নিয়ে দশক পার করছে। এ রকম নিম্ন রিজার্ভ পরিস্থিতিতে নতুন ঋণ কিংবা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট পাওয়া মুশকিল, কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্র আমদানি করে দ্রুত রপ্তানি বাড়ানো মুশকিল। তাই একবার এই সাইকেলে পড়ে গেলে বেরিয়ে আসা মুশকিল এবং সময়সাপেক্ষ।

নির্বাচন সামনে রেখে রিজার্ভ কমে যাওয়া ঠেকাতে, টাকার পতন ঠেকাতে এবং আইএমএফের ডিসেম্বর রিজার্ভ টার্গেট পূরণ করতে, সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে জোর করে ডলার কিনছে, যেখানে তারা ডলারের অভাবে এলসি খোলা এবং সেটেল করতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে ব্যাংকের এলসি সক্ষমতার সংকট বেড়ে যাবে। সরকার জোর করে আমদানি কমাবে এবং অন্যদিকে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের কারণে অর্থনীতি হয়তো দেউলিয়া হবে না। কিন্তু দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে যে বিপর্যয় শুরু হয়েছে, সেটা আরও গভীর হবে। মানুষের ক্ষুধার কষ্ট ও বেকারত্ব বাড়বে।

ডলার-সংকট আমাদের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। এই দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে আমরা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছি। ডলার-সংকটে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যমূল্য বৃদ্ধিতে জর্জরিত জনসাধারণের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো আরও প্রকট হচ্ছে।  

  • ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য। ই-মেইল: faiz.taiyeb@gmail.com

https://www.prothomalo.com/opinion/column/ubalbphlzb