৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১০:২১

করবর্ষ অর্থবর্ষ আর বাজেটবর্ষ

-ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়ন এ মুহূর্তে ঠিক কোন তরিকায় চলছে বলা মুশকিল। ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানি করদাতাদের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। ঔপনিবেশিক আমল থেকে কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা ছিল অর্থবছর শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে। কারণটা ধ্রুপদী-বিগত অর্থবছরের আয় ব্যয়ের হিসাব কষে এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রাজস্ব পাওয়া গেলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যয় ব্যবস্থাপনায় এই রাজস্ব ব্যবহার করা যেত।

এখন রিটার্ন জমা দেয়ার সময় নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আইন করে আবার সেটিকে আরো দু’মাস বাড়ানো হলে বাজেটবর্ষের সাত মাস অবধি অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। অথচ এদিকে খাই খাই সংসারে ব্যয়ের মাত্রা ঠিক রাখার ব্যবস্থাপনায় থামা কমানো কিংবা অপেক্ষার তর যদি না সয় তাহলে চড়া সুদের ঋণ নেয়া ও রঙিন নোট ছাপিয়ে দ্রব্যমূল্যের বাজার আরো গরম করা ছাড়া পথ থাকে না। অর্থবছরের মাগরিবের সময় নতুন আইন বা অর্থবিধিতে নয়া কর ও রীতিপদ্ধতি জারি করে নতুন অর্থবছরের ফজরের আজান হলে পুরনো (বিগত) অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের ওপর কর কষতে হলে এটা কেমন লাগে?

 

বাংলাদেশের বাজেটের খতম তারাবি হয় ৩০ জুন তারিখে (১৬ আষাঢ়) আর সাহরি খেয়ে কর দিতে লাইনে দাঁড়াতে হয় আবার ভরা বর্ষাকালে। ১৭ আষাঢ় ওরফে ১ জুলাই শুরু হয় নতুন বাজেটবর্ষ গণনা। বাজেট সংসদে পেশের ২-৩ মাস আগে থেকে ‘নতুন’ বাজেট নিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনা হয়, ৩০ মে পাস হওয়া পর্যন্ত বাজেট থাকে, অন্তত মিডিয়ার মাহাত্ম্যে, শীর্ষ শিরোনামে। তারপর ১ জুলাই থেকে প্রথমে তন্দ্রা তারপর ৬-৭ মাসের লম্বা ঘুম দিয়ে মার্চ এপ্রিলে আবার সবাই যেন জেগে ওঠে পরের বছরের বাজেট কেমন হবে তার আলোচনায়। নতুন বাজেট বানানো এবং তাকে ঘিরে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে যেন সবাই অভ্যস্ত। বরাদ্দ অঙ্কের ছড়াছড়ি, আত্মতৃপ্তি আর কত কিছু। কিন্তু সেই বরাদ্দ কোথায় কার পেটে কিভাবে যাচ্ছে সে ব্যাপারে সারা বছর কারো কোনো খেয়াল না রাখার সংস্কৃতির কারণে কিন্তু বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনার তাৎপর্য, গুরুত্ব ও প্রভাবক ভূমিকা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে এ কথা বলা যায় গুণগত বাস্তবায়ন নয় ‘বাজেট বয়ান’ই এখন মুখ্য হয়ে উঠছে সবকিছুতে। অর্থবছরকে অর্থবছর না বলে এখন ‘বাজেটবর্ষ’ বলাই সমীচীন মনে হচ্ছে। পঞ্জিকাবর্ষ, অর্থবর্ষ, এরপর করবর্ষ, এখন আবার বাজেটবর্ষ। কোনটা কতক্ষণ মনে রাখা যাবে, অনুসরণ করা যাবে এ নিয়ে গোলকধাঁধা সৃষ্টির পথ থেকে সরে আসতেই ইদানীং বাংলাদেশ অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন প্রয়াসে জাতীয় বাজেটকেন্দ্রিক মতবিনিময় সভাসমূহে আলোচনায় বাংলাদেশের অর্থ ওরফে কর ওরফে বাজেট বছরের মেয়াদ পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব উঠে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ, প্রশাসনিক কর্মযোজনা, উন্নয়ন অভীপ্সা প্রভৃতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনায় অর্থবছরের মেয়াদ মেরুকরণের প্রসঙ্গটি জাতীয় ভাবনার অংশ হয়ে ওঠার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।

পহেলা বৈশাখ থেকে অর্থবর্ষ গণনার প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর মূলত রাজস্ব আহরণ তথা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই। ইতঃপূর্বেকার চান্দ্র মাসের ভিত্তিতে প্রচলিত হিজরি সন এবং সৌরবর্ষ গণনার পদ্ধতি প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় ও সাযুজ্য সাধনের তাৎপর্য ও যৌক্তিকতাকে বিচার বিশ্লেষণের ভার তার নবরতœ সভার সবচেয়ে বিজ্ঞ বিচক্ষণ সদস্য, মশহুর ইতিহাসবেত্তা আবুল ফজল (১৫৫১-১৬০২) এবং অর্থ ও রাজস্ববিষয়ক সদস্য রাজা তোডর মলকে তিনি অর্পণ করেছিলেন এ বিবেচনায় যে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই রাজ্য কিংবা সরকারের অন্য সব কর্মকাণ্ডের উপরে অধিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রক ও প্রভাবক ভূমিকায় থাকে। তাদের নির্দেশনায় ফতেহ উল্লা সিরাজী যে সমন্বিত প্রস্তাব প্রণয়ন করেন সে ভিত্তিতে ফসলি সন নামে নতুন বর্ষগণনার রীতি প্রবর্তিত হয় ৫৯৪ হিজরি সনের জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মোতাবেক ১২ এপ্রিল, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মোতাবেক ১৪ এপ্রিল, সোমবার। প্রবর্তনের খ্রিষ্টীয় সনটি ১৫৮৪ হলেও ফসলি সনের প্রবর্তক সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের সন ১৫৫৬ থেকে এর ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা প্রদান করা হয়। প্রজাদের উৎপাদিত ফসলের ওপর কর রাজস্ব আরোপ, হিসাবায়ন এবং যথা মৌসুমে তা সংগ্রহের সুবিধার্থে মূলত ফসলি সনের প্রবর্তন। এই ফসলি সনই পঞ্জিকা তথা অর্থবছর হিসেবে বিবেচিত হতো। ভারতের দিল্লিতে বসে প্রবর্তিত রাজস্ব আয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশক এই ফসলি সনই পরবর্তীকালে সুবা বাঙলায় (বর্তমানের বাংলাদেশ) বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন হিসেবে অব্যাহতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

মুঘলের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে রাজস্ব আহরণের উদ্দেশ্য অভিপ্রায় ও প্রক্রিয়া ছিল মূলত বেনিয়া বাণিজ্য বোধ বিশ্বাসের ভিত্তিতে। সে সময় আর্থ প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে ফসলি সনের ব্যবহারিক গুরুত্ব হ্রাস পায়। তৎকালীন ব্রিটিশ ভাবধারায় অর্থবছর পৃথকভাবে গণনার রেওয়াজ চালু হয়। বাংলার প্রজাদের শস্য উৎপাদনের মৌসুমের সাথে মিলিয়ে রাজস্ব আহরণের দৃষ্টিভঙ্গিতে আসে পরিবর্তন। মুনাফা ও রাজস্বলোভী মুৎসুদ্দি মানসিকতার কাছে বাঙালির আবহমান কালের শাশ্বত সংস্কৃতির ধারক বাহক হিসেবে অর্থবছর হিসেব বাংলাসন অনুসরণে চিড় ধরে। গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকাবর্ষের বিপুল ব্যবহার ফসলি সনের কদরকে ফিকে করে দেয় আর পূরো আর্থপ্রশাসনিক অবস্থা ব্যবস্থাকে সম্পুর্ণ ভিন্নমাত্রা দান করে। কোম্পানি বাংলার মৌসুমি জলবায়ু তো দূরের কথা ফসল উৎপাদনের সময়সূচিকে রীতিমতো অবজ্ঞাভরে দেখতে শুরু করে।

১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারতের রাজদণ্ড কোম্পানির হাত থেকে খোদ ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়। ওয়েস্ট মিনিস্টার পদ্ধতিতে পরিচালিত ভারতে ব্রিটিশ সরকারের প্রথম বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে আইনসভায় পেশ করা হয় ৭ এপ্রিল ১৮৬০। অর্থবছরের ধারণাটা বাংলা সনের অনুগামী রাখার পক্ষপাতী ছিলেন ভারতবর্ষে প্রথম অর্থমন্ত্রী জেমস উইলসন (১৮০৫-১৮৬০)। স্বনামধন্য ‘ইকোনমিস্ট’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের সচিব, অর্থসচিব, ব্রিটিশ আইন সভার প্রভাবশালী সদস্য, ফ্রি ট্রেড আন্দোলনের কর্মী, পেপার কারেন্সির প্রবর্তন প্রবক্তা জেমস উইলসন ভারতে ভাইসরয়ের কাউন্সিলে অর্থসদস্য (মন্ত্রী সমতুল্য) হিসেবে নিযুক্তি পেয়ে কলকাতায় যোগদান করেন ১৮৫৯ এর ২৯ নভেম্বর। সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারতে নতুন ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সঙ্কটের মোকাবেলায় উইলসনকেই উপযুক্ত ভেবেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী খড়ৎফ চধষসবৎংঃড়হ। ইতিহাসসচেতন বিচক্ষণ অর্থনীতিবিদ উইলসন ভারতের আর্থ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে ১৮৬০ এর ৭ এপ্রিল উপস্থাপিত ভারত সরকারের প্রথম বাজেট বক্তৃতাতেই ভারতে আধুনিক আয়কর প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন। প্রাচীন ভারতের মনুসংহিতা থেকে রাজস্ব আদায়ের সূত্র উল্লেখ করলেও তিনি মূলত ব্রিটেনের আয়কর আইনের কাঠামোয় এ দেশে আয়কর আরোপের রূপরেখা দেন। এপ্রিল মাস থেকেই তার বাজেটটির বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যায়, প্রচলিত বাংলা সনের সাথে ছিল যার যৌক্তিক সাজুয্য।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ভারতীয় প্রজাতন্ত্র ১ এপ্রিল-৩১ মার্চকে অর্থবছর অনুসরণ অব্যাহত রাখে, কিন্তু পাকিস্তান সরকার জুলাই-জুনকে অর্থবছর সাব্যস্ত করে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসনে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাধান্য থাকায় পূর্ববঙ্গ বা পূর্বপাকিস্তান বা বর্তমানের বাংলাদেশ প্রাদেশিক বা আঞ্চলিকতায় পর্যবসিত হয়। সুতরাং বাংলার কৃষি ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মৌসুম অনুগামী বাংলা সন অর্থবছরের সাজুয্যতায় মর্যাদার প্রশ্নে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। সেসময় পশ্চিম পাকিস্তানের কৃষি বা উৎপাদন মৌসুম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সবকিছুই ছিল পূর্বপাকিস্তান থেকে ভিন্ন। সে কারণে এপ্রিল মার্চ এর স্থলে জুলাই জুনকে অর্থবছর সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সিদ্ধান্তই একচ্ছত্র হয়ে যায়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে অর্থবছরকে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির প্রতিফলক বাংলা সনের অনুগামীকরণের বিষয়টি যৌক্তিক বিবেচনায় এসেও যেন আসেনি। দুঃখজনকভাবে পাকিস্তান আমলে প্রবর্তিত জুলাই-জুন এখনো আমলাতান্ত্রিক প্রযত্œে বাংলাদেশের অর্থবছর হয়ে আছে। বাংলাদেশের মৌসুমি আবহাওয়া ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বার্ষিক কর্মযোজনার নিরিখে এটা খুবই স্পষ্ট যে, জুলাই জুন অর্থবছর হিসেবে যোগ্যতর নয়, হতে পারে না। আমাদের দেশে মূলত মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর অবধি বর্ষাকাল। বিদ্যমান অর্থবছর শুরু হয়েই প্রথম তিন-চার মাস বর্ষাজনিত কারণে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করা যায় না।

অর্থবছরের প্রথম তিন-চার মাস এক ধরনের কর্মহীন অতিবাহিত হওয়ার পর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়া হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কার্য কিংবা সরবরাহের আদেশ দিতে দিতে এপ্রিল-মে। সরবরাহ সেবা কিংবা ভৌত কর্মকাণ্ড শুরু যখন হয় তখন বর্ষা শুরু হয়ে যায়। কাজের, সরবরাহের, সম্পাদনের গুণগতমান বজায় রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের বর্ষাকালে। এ সময় মেরামত সংস্কার কাজে জনভোগান্তি যেমন বাড়ে, কাজের গুণগতমান পরিবীক্ষণেও ঘটে বিপত্তি। অর্থবছরের শেষে বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ শেষ করার তাগিদে কিংবা প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানোর জরুরিয়তায় নানান অনিয়ম অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়াটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও এ সময়টাতে অপব্যয় অপচয়ের অবকাশ হয় অবারিত। শুধু কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের অর্থবছরের পাঁচ-ছয়টি মাস অর্থনীতির জন্য অনুকূল না হয়ে প্রতিকূল হয়ে ওঠে।

অথচ অর্থবছরের এই ব্যাপ্তিটা জুলাই-জুনের পরিবর্তে যদি এপ্রিল-মার্চ (বাংলা সনের কাছাকাছি) হয় তাহলে প্রথম মাসেই কাজ শুরু করে পরবর্তী তিন-চার মাস বর্ষাকালে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন ব্যয় করে অক্টোবর-মার্চ এই ছয় মাস পুরোটাই নিরবচ্ছিন্নভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে পরিপূর্ণ ব্যবহার সম্ভব হতে পারে। বাংলাদেশের জন্য এই সময়টিই সব কাজের জন্য অনুকূল, সহনশীল ও উৎপাদনমুখী। ব্যক্তি ও ব্যবসা উভয় শ্রেণীর করদাতার জন্যও মে-জুন মাসে করের হিসাবায়ন, কর প্রদান তথা রিটার্ন দাখিলে বিড়ম্বনা স্বাভাবিকভাবে হবে কম। কৃষিপ্রধান অর্থনীতির এই দেশে উৎপাদন মৌসুম, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ব্যবসাবাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও আবহমান সংস্কৃতির সুসময়কে শনাক্ত করেই অর্থবছরের ব্যাপ্তিকাল নির্ধারিত হওয়া উচিত।
লেখক : সাবেক সচিব এবং
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান

 

https://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/796145