নবান্ন উপলক্ষে দিনাজপুরের বাজারে উঠেছে নতুন আলু। ব্যবসায়ীরা ১২০টাকা কেজিতে কিনে এসে সেই আলু খুচরায় বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজিতে। আজ শনিবার শহরের রেলবাজার ও বাহাদুর বাজারে ২০০ টাকা কেজিতে নতুন এই আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত বছর নবান্ন উপলক্ষে বাজারে উঠা নতুন আলু বিক্রি হয়েছিল ৪০০ টাকা কেজি দরে।
গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের গাবুরা এলাকার এক চাষি আগাম জাতের আলু তুলে এনে বাহাদুর বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন। রেলবাজারে আলু এনেছিলেন সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে এক চাষি।
নতুন দেশি জাতের আলু খুচরা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজি। আর সর্বনিম্ন বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়।
বছরের নতুন সবজি ও নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে আলুর দাম বেশি বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন। আজ শনিবার সকালে রেলবাজারে ২০ কেজি ও বাহাদুর বাজারে ৫০ কেজির মতো আলু আমদানি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছন।
আলু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ৫০ কেজি আলু বাহাদুর বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। বাকি আলু পরিপক্ক ও বড় হলে তুলব।
গাবুরা এলাকার কৃষকের কাছে থেকে আলু কেনা রেলবাজার এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী কমল সরকার বলেন, ২০ কেজি আলু ১২০ টাকা দরে কিনে ১৪০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। নবান্ন উপলক্ষে নতুন আলুর বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে আগাম জাতের নতুন আলু পাওয়া যাবে। তখন দামও কমে যাবে।
বাজার করতে আসা প্রদীপ চন্দ্র রায় বলেন, শনিবার আমাদের নবান্ন।
তাই বাজারে নতুন কী উঠছে, কিনতে এসেছি। বাজারে দেখলাম নতুন আলু উঠছে। কেজি ১৪০ টাকা। সকালে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, নবান্ন উপলক্ষে আমাদের নতুন সবজি লাগে। বাজারে সবজি হিসেবে এবার নতুন আলু উঠেছে। দাম বেশি হওয়ায় এক কেজি নিতে পারিনি, তাই হাফ কেজি কিনেছি।
এই ক্রেতা বলেন, এখনো তেমন নতুন আলু উঠেনি। এ ছাড়া বাজারে অনেক সবজি কম। তাই বাজারের দামটা বেশি। আবার আজ শনিবার নবান্ন। যারা নবান্ন করেন, তাদের নতুন নতুন শাকসবজি কিনতেই হবে। তাই বাজার এত চড়া।
সূর্য নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ১৩০ টাকা কেজিতে ১০ কেজি আলু এনেছি। বিক্রি করেছি ২০০ টাকা দরে। কেউ ১০০ গ্রাম, কেউ ২০০ গ্রাম করেও কিনছেন। সনাতন ধমের মানুষ নবান্ন উৎসবের জন্য নতুন সবজি হিসেবে আলু কিনছেন।
