৫ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার, ১০:১৩

২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সংকট সংঘাতে পরিণত : খাড়া পাহাড়ের কিনারে বাংলাদেশ

-আসিফ আরসালান

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এই লেখাটি সবে মাত্র শুরু করেছি। এমন সময় আমার ডেস্কটপ কম্পিউটারের মনিটরে একটি লেখা ভেসে উঠলো। লেখাটির শিরোনাম, “রোববার থেকে আবার ৪৮ ঘন্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির”। খবরে বলা হয়েছে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল শুক্রবার ও পরদিন শনিবার বিরতি দিয়ে রোববার থেকে আবারও ৪৮ ঘন্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। অর্থাৎ, আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ পালন করবে দলটি। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন (এক সাংবাদিকসহ ৯ জন), তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে শুক্রবার দোয়া ও মোনাজাতের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের সব মসজিদে এই দোয়া ও মোনাজাত হবে। অজ্ঞাত স্থান থেকে রিজভী এই সংবাদ সম্মেলন করেন। ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা, হত্যার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ দেয়। আজ রোববার সেই কর্মসূচী শেষে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচী দিল বিএনপি। এসম্পর্কে আলোচনার আগে আমাদের একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। ফিরে যেতে হবে ৭ দিন আগে ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বিশাল জনসভা স্থলে। 

সকলেই জানেন যে উত্তর পশ্চিমে কাকরাইল মসজিদ এবং দক্ষিণ পূর্বে ফকিরাপুল থেকে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাসের প্রচন্ড আক্রমণে ১০ লক্ষাধিক মানুষের বিশাল জনসভা পন্ড করা হয়। কিভাবে বিরোধীদলসমূহের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে সাউন্ড গ্রেনেড এবং রাবার বুলেটের প্রচন্ড আঘাতে পদদলিত করা হয় তার প্রকৃষ্ট নজির হলো ২৮ অক্টোবর শনিবার বিএনপির জনসভা। বিএনপির এই মহাসমাবেশকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাপলা চত্বরে তাদের মহাসমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু রাত থেকেই শাপলা চত্বর অবরোধ করে রাখে এলিট ফোর্স র‌্যাব। বস্তুত ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর ৭ জন সিনিয়র অফিসারসহ র‌্যাবের ওপর মার্কিন স্যাংশন আরোপের প্রায় ১ বছর ১০ মাস পর এই সর্বপ্রথম র‌্যাবকে আওয়ামী সরকার পলিটিক্যাল অপজিশন দমনে আবার মাঠে নামালো। জামায়াতে ইসলামী তখন সেখান থেকে সরে আরামবাগে মিলিত হয়। সেখানেও প্রায় ৫ লক্ষ লোকের সমাবেশ হয়। 

২৮ অক্টোবরের প্রচন্ড পুলিশী ক্র্যাকডাউনের পর যাদেরকে মেইন স্ট্রীম গণমাধ্যম মনে করা হয় তারা আবার তাদের পূর্ব অবস্থায় ফিরে যেতে শুরু করে। মেইন স্ট্রীম বলে পরিচিত এসব ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যম বলতে গেলে বিগত ১৪ বছর জামায়াতে ইসলামীকে সম্পূর্ণ এবং বিএনপিকে আংশিকভাবে নিউজ ব্ল্যাক আউটে ফেলে দেয়। অর্থাৎ তাদের খবর তেমন গুরুত্বের সাথে ছাপা হতো না। যেটুকু ছাপা হতো সেটুকু শুধুমাত্র ইনসিগনিফিক্যান্টই নয়, তার সাথে আবার রং চং চড়িয়ে উপেক্ষার দৃষ্টিতে ছাপা হয়। র‌্যাবের ওপর মার্কিন স্যাংশন আসার পর থেকেই এইসব গণমাধ্যমের সুর বদলাতে থাকে। গত মে মাসে যখন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষিত হয় তখন থেকেই বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধীদল কিছুটা কাভারেজ পেতে থাকে। তবে জামায়াতে ইসলামীকে তখনও ব্ল্যাক আউট করা হয়। এরমধ্যে সারাদেশে বিএনপি অনেকগুলো জনসভা করে। এসব জনসভার প্রতিটিতে লক্ষ জনতার অংশগ্রহণ দেখে জামায়াতসহ বিএনপি ও বিরোধীদল সমূহ চাঙ্গা হয়। তারা প্রথমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে এই সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তারা দাবি তোলে যে আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারা আরো দাবি তোলে যে নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ বাতিল করতে হবে। প্রায় ১৪ মাস এসব দাবিতে সারাদেশ চষে বেড়িয়ে বিএনপি জনমত সংগঠিত করে। অতঃপর তারা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে নেমে পড়ে। 

গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সভা থেকেই সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করার কথা ছিল। যেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে আওয়ামী সরকার বিরোধী মনোভাব বোঝা যাচ্ছিল তার ফলে সরকার অত্যন্ত নার্ভাস হয়ে পড়ে। ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রিয়াজ, মার্কিন প্রবাসী বাংলাদেশী স্কলার ড. তাজ হাশমীসহ দেশ ও বিদেশের রাজনেতিক বিশ্লেষকগণ স্পষ্ট ভাষায় বলতে থাকেন যে সরকার এভাবে আর বিরোধীদলকে সভা সমাবেশ এবং মিছিল মিটিং করতে দেবে না। কারণ যেভাবে জনমত সংগঠিত হচ্ছে সেটি যদি অপ্রতিহত গতিতে চলে তাহলে সেদিন সুদূর নয়, যখন নির্বাচনের আগেই গণ অভ্যুত্থান সংঘটিত হবে। সুতরাং বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য বিরোধীদলকে আর এগুতে দেওয়া যায় না। এবার তাদেরকে থামাতে হবে। 

॥ দুই ॥

সুতরাং সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল এখনই, অর্থাৎ ২৮ অক্টোবরেই বিএনপিকে থামাতে হবে। তাই মিলিটারি ক্র্যাকডাউনের মতো বিএনপির ১০ লক্ষ লোকের জনসভায় পুলিশী ক্র্যাকডাউনের সাঁড়াশী আক্রমণ করা হলো। একথা ঠিক যে বিরোধীদলের পেছনে যতই জনসমর্থন থাকুক না কেন, তারা সব সময়ই থাকে নিরস্ত্র। নিরস্ত্র জনগণ কোনো দিন সশস্ত্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অর্থাৎ পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির অভিযানের সামনে দাঁড়াতে পারে না। ২৮ অক্টোবরেও তাই হলো। নিরস্ত্র কিন্তু দারুণভাবে আওয়ামী সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ লক্ষ লক্ষ মানুষ টিয়ার গ্যাসের ঝাঁঝালো ধোঁয়া, বন্দুকের ছররা গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দের মুখে ছত্রভঙ্গ হতে বাধ্য হলো। 

এখন আবার ঐ সেই মুখ চেনা গণমাধ্যম এবং চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীরা তাদের পুরাতন কায়দায় ফিরে যেয়ে বলছেন যে বিএনপি এবার আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দিয়েছে। কেউ কেউ আবার এক কাঠি সরেস। তারা বলছেন, বিগত ১৪ মাস ধরে সভা সমিতি, পদযাত্রা ইত্যাদি করে বিএনপি এবং বিরোধীদলসমূহ যে ক্ষেত্র রচনা করেছিল তাদের ভুল পদক্ষেপের কারণে ২৮ অক্টোবর তারা সব অর্জন বিসর্জন দিতে বাধ্য হলো। তারা এবং সরকার সেই ২০১৪/১৫  সালের পুরাতন তাস দিয়ে খেলতে নেমেছে। ২০১৪/১৫ তে বলা হয়েছিল যে বিএনপি আগুন সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। তার সাথে মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামী শরিক হয়ে ইসলামী জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেদিন তারা বলেছে যে যত গাড়ি ঘোড়া ভাঙচুর হচ্ছে, যত বাস ট্রাকে আগুন লাগছে- এগুলো সব করছে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা। বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো আপাদমস্তক গণতন্ত্র চর্চাকারী দল সমূহকে তারা সন্ত্রাসী দলের তকমায় চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করে। 

॥ তিন ॥

কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে এখন ২০২৩ সাল। এখন ২০১৪ বা ১৫ সাল নয়। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইসলামী জঙ্গিবাদ এবং অগ্নিসন্ত্রাসের বহুল ব্যবহৃত বটিকা আমেরিকা, পশ্চিমা দুনিয়া এবং বাংলাদেশের মানুষ আর গিলবে না। ভূরাজনীতিতে ৩৬০ ডিগ্রি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তাই দেখা যায় যে সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ এবং টিয়ার গ্যাসের ঝাঁঝালো ধোঁয়ার মধ্যে কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই হ্যান্ড মাইক দিয়ে পরের দিন অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর সারা দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সভা মঞ্চ থেকে নেমে যান। 

পরদিন মহানগরী ঢাকাসহ সারাদেশের চিত্র দেখে বিরোধীদল তো বটেই, এমনকি বিদেশীরা এবং আওয়ামী লীগেরও অনেকে হতভম্ভ হয়ে পড়েন। ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও কোনো পিকেটিং নাই। শহরে নগরে বন্দরে কোনো কর্মী নাই। তারপরেও সারা দেশে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হলো। প্রমাণিত হলো যে এবার হরতাল করেছে কোনো রাজনৈতিক দল নয়। করেছে এদেশের আপামর জনসাধারণ। যাদেরকে বলা হয় আম জনতা (আসলে হবে আওয়াম জনতা)।  হরতালের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে সিনিয়র নেতৃত্ববিহীন বিএনপি লাগাতার ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করে। অবরোধ কিন্তু হরতাল নয়। তারপরেও গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সাফল্যজনকভাবে অবরোধ পালিত হয়। 

॥ চার ॥

মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের সফল হরতালের পর শুক্র ও শনি দুই দিন অফিস আদালত ছুটি থাকায় বিরতি দিয়ে আজ রোববার এবং আগামীকাল সোমবার আবার দুই দিনের অবরোধ ডাকা হয়েছে। 

এখন একটি প্রশ্ন রেখে আজকের লেখাটি শেষ করতে চাই। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে যুদ্ধে আক্রমণের মতো অভিযান চালিয়ে যেভাবে গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলা হলো তার ফলে আওয়ামী লীগ দেশটিকে খাড়া পাহাড়ের কোন কিনারে নিয়ে এলো? তারা বিএনপি এবং জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চায়। ইতোমধ্যে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজা দেওয়া হয়েছে। এবার মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, শহিদুদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ ২ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য নেতাদের বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে। জামায়াতের আমীর ড. শফিকুর রহমান, মহাসচিব সাবেক এমপি গোলাম পারওয়ার, সহকারী মহাসচিব রফিকুল আলম, ঢাকা উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। উভয় দলের নেতাকর্মীরা সকলে আত্মগোপনে গেছেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে? আজ ৫ নভেম্বর। ৭ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো দিন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। 

বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সিপিবির নেতৃত্বাধীন বাম জোটকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগ কি এক দলীয় নির্বাচন করতে চায়? তাদের আচার আচরণ দেখে মনে হয় তারা ঠান্ডা মাথায় সেদিকেই এগুচ্ছে। আসলে আওয়ামী লীগ চায় না যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামী দল এবং মধ্যপন্থী গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমস্ত বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক। তাদেরকে বাইরে রেখে কি তারা নির্বাচনে পার পাবে? নির্বাচন অনুষ্ঠানের আরো দুই মাস বাকি আছে। এরমধ্যে বিরোধী দলসমূহ রাজপথ থেকে যে সরে যাবে না তার আলামতসমূহও স্পষ্ট। ইতোমধ্যেই ২৮ অক্টোবর থেকে ২রা নভেম্বর পর্যন্ত ১১ জন আদম সন্তান শাহাদৎ বরণ করেছেন। আগামী দুই মাস পানি এক জায়গায় স্থির থাকবে না। পানি গড়াতে থাকবে। যদিও বিরোধীদলসমূহ বিদেশীদের ওপর ভরসা করে আন্দোলন করছে না তার পরেও দেখা যাচ্ছে যে বিদেশীরা বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যেই জড়িত হয়ে পড়েছেন। আগামী দুই মাস তাদের ভূমিকাও কি হবে, সেটিও কেউ সঠিক জানেন না। 

আমি দৈনিক সংগ্রামের এই কলামে বার বার এই মর্মে হুঁশিয়ারী দিয়েছি যে দেশ এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে নিক্ষিপ্ত হতে যাচ্ছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ঐ সংকট সংঘাত ও সংঘর্ষে গড়িয়ে গেছে। সরকার ও বিরোধী দল সমূহ- সকলেই পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছে। এর শেষ কোথায়, তা জানেন একমাত্র আলেমুল গায়েব।

Email: asifarsalan15@gmail.com

https://www.dailysangram.info/post/539841