১ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১০:৫৫

ডাবল সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ

২৫-২৬ টাকায় আলু বিক্রি করতে ডিসিদের নির্দেশ

আলু ও পেঁয়াজের বাজারগুলোতে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়াচ্ছে খুচরা বিক্রেতারা। এক সপ্তাহ আগে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ গতকাল দুপুরে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়। একইভাবে বাড়ছে আলুর দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম স্থিতিশীল রাখতে কোল্ডস্টোরেজগুলোতে ২৫-২৬ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশী পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে।
অথচ গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। অর্থাৎ পাঁচ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

একই দৃশ্য দেখা গেছে সাদা ডায়মন্ডের আলু বিক্রিতেও। বৃহস্পতিবার এই আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ পেঁয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দামও।

এ দিকে আজ বুধবার থেকে কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতি কেজি আলু ২৬-২৭ টাকায় বিক্রি করতে একজন মনোনীত কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত একটি পত্র জারির মাধ্যমে সব জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে

এতে বলা হয়, আলু ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরেজ (হিমাগার) ও খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেকে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে আলুর বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তার জেলার কোল্ডস্টোরেজগুলো থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা/উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক/একাধিক স্টোরেজ তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব অর্পণ করবেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় করবেন। এ ছাড়া ক্রেতাকে কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রির পাকা রশিদ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বরে কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রি করা হচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে কোল্ডস্টোরেজ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ প্রদান করা হলো।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/788220