৩১ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:২৫

অনুমতির দেড় মাসেও ডিম আসেনি

 

প্রায় দেড় মাস আগে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সেই অনুযায়ী কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি ডিমও দেশে আসেনি। এখনো এই প্রয়োজনীয় পণ্যটি মানুষকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ডিমের পর এবার আলু আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

দেশে আলুর উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক দামে বাজারে বিক্রয় হওয়ায় এবার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় না হওয়া এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে আলু সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আলু আমদানি করতে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন বা যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত তিন দিনে প্রতি কেজি আলুর দাম ১০ টাকা বেড়ে যাওয়ার পর সরকার বহুল ব্যবহৃত এ পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিলো। আলু এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারও আলুর দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে ছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আলুসহ তিন পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২৬-২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা মূল্যে বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর কোনোটির দামই বাজারে কার্যকর হয়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নির্ধারিত মূল্যে আলু বাজারে বিক্রয় হচ্ছে কি না তার মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেন টিপু মুনশি। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রয় হচ্ছে না বলে মনিটরিং টিম অবহিত করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, কোনো কোনো মহল আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত আছে বলে পরিলক্ষিত হয়। এ পরিস্থিতিতে বাজারে আলুর সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, আলুর সরবরাহ সঙ্কট রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দাম বাড়তি থাকার কারণে আলুর চাহিদা বেড়েছে। সে কারণেও দাম বেড়েছে বলে মনে করেন অনেক বিক্রেতা।
এ ছাড়া প্রায় প্রতি মাসেই বেঁধে দেয়া হয় ভোজ্যতেল ও চিনির দাম। এসব পণ্যও বাজারে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়।
এদিকে দেড় মাস আগে সরকার ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিলেও দেশে এখনো ডিম আমদানি হয়নি। সরকার গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথমে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। পরে পর্যায়ক্রমে মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশে ডিম আমদানি হয়নি। ডিমের দামও কমেনি। আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে, শিগগিরই ডিম আসবে, যদিও শেষ পর্যন্ত একটি ডিমও দেশে আসেনি।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/787921