১৮ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার, ৩:০০

গাজায় নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়

৪৪ হাসপাতালকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে

ইসরাইলী বিমান হামলায় নজিরবিহীন মানবিক সংকটে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকার লাখ লাখ ফিলিস্তিনী। সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মিডিয়া বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

হামাসের সালামা মারুফ বলেছেন, হতাহত, অবকাঠামো ধ্বংস এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে গাজায়। ইসরাইলের আগের আগ্রাসনে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।

তিনি অভিযোগ করেছেন, মানবিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ফিলিস্তিনীদের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া আরও কমে গেছে। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, টিআরটি, সিএনএন, এনডিটিভি ।

ফিলিস্তিনীদের জাতিগতভাবে নির্মূলের প্রচেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন হামাসের এই সদস্য। ইসরাইলী আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মারগারেট হ্যারিস বলেছেন, ইসরাইলী বোমা হামলায় গাজায় মানবিক করিডোর স্থাপন হয়নি। গাজার ৪৪টির বেশি হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ৮৪ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।

যে কোনও সময় উত্তর গাজায় অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলী বাহিনী। জীবন বাঁচাতে দক্ষিণ দিকে ছুটছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনী। জ্বালানি, খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ৩০০ ইসরাইলী প্রাণ হারান। জবাবে গাজায় ইসরাইলের বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলী বিমান হামলায় নিহত ৭১
দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৭১ ফিলিস্তিনীর মৃত্যু হয়েছে। রাফা, দাইর আল বালাহ ও খান ইউনুস শিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় তাদেরে মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনী ছিটমহলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে ইসরাইল গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যেতে নির্দেশ দিয়ে আসছে। ইসরাইলী নির্দেশের পর কয়েক লাখ ফিলিস্তিনী দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে সোমবার দিবাগত রাতে দক্ষিণাঞ্চলেও বোমা বর্ষণ করছে দেশটির সেনাবাহিনী।

ইসরাইলী সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ২০০ টিরও বেশি বোমা হামলা করেছি। হামাসকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চলানো হয়েছে।

এক্সে (সাবেক টুইটার) আল জাজিরা আরবি শাখার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চিকিৎসা সহায়তা কর্মীরা একজন ভুক্তভোগীকে ব্যাগে করে নিয়ে যাচ্ছে। অন্য একজন গুরুতর আহত রোগীকে স্ট্রেচারে করে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, এই বোমা হামলায় অন্তত ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

০৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত আজ ১১ দিনে গড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরাইলী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজার ৫০০ জন।

অপর দিকে ইসরাইলী বোমা হামলায় দুই হাজার ৮০৮ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দশ হাজার ৮৫৯ জন। তাছাড়া পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ৫৭ জন। এক হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন।

ইসরাইলকে আরেকটি ধাক্কার মুখোমুখি হতে হবে: ইরানের আইআরজিসি প্রধান
ইরানের এলিট রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) ডেপুটি কমান্ডার আলী ফাদাভি বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের ‘নৃশংসতা’ বন্ধ না হলে প্রতিরোধ ফ্রন্টের আরেকটি ধাক্কার মুখে পড়বে ইহুদি রাষ্ট্র।

আলী ফাদাভি বলেন, ‘বিশ্বের মানচিত্র থেকে এই ‘ক্যান্সারজনিত টিউমার’ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ইহুদিবাদী শাসনের (ইসরাইল) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ফ্রন্টের ধাক্কা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ইসরাইল যদি গাজায় নৃশংসতা বন্ধ না করে, তাহলে আরেকটি শকওয়েভ আসছে।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, যদি ইরানের এই অপরাধমূলক কর্মকা- অব্যাহত থাকে তবে মুসলমান এবং প্রতিরোধ বাহিনী ধৈর্য্য হারাবে এবং কেউ তাদের থামাতে পারবে না। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা জোর দিয়ে বলেন, ইহুদিবাদী সরকার যা-ই করুক না কেন, তারা যে লজ্জাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ করতে পারবে না।

গত ৭ অক্টোবর দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনী হামাস প্রতিরোধ আন্দোলনের অপারেশন আল-আকসা ঝড়ের কথা উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন।

অন্যদিকে গতকাল রাতে রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, (ইসরাইলের বিরুদ্ধে) আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরোধ শক্তিগুলো অগ্রিম পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গাজায় স্থল হামলার ইসরাইলী হুমকিতে ভীত নই : হামাস
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার ইসরাইলী হুমকিতে তারা ভীত নয়। এর জন্য তারা প্রস্তুত। গতকাল সোমবার হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদেহ এসব কথা বলেছেন। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, টিআরটি, সিএনএন, এনডিটিভি ।

টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে আবু ওবাইদেহ বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ব্যাপক হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড ২০০ জন ইসরাইলকে বন্দী করে। এ ছাড়া গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ দলের হাতে প্রায় ৫০ জন ইসরাইলী বন্দী আছে।

আবু ওবাইদেহ বলেন, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু করার বিষয়ে দখলদারেরা (ইসরাইল) যে হুমকি দিয়েছে, তাতে আমরা ভীত নই। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।’

গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরাইল। এই হামলা চালানোর জন্য তারা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হামাসের কাছ থেকে এই বক্তব্য এল।

ইসরাইলী কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি গতকাল বলেন, ইসরাইলের ১৯৯ নাগরিককে হামাস জিম্মি করেছে বলে তারা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছেন।

হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তাঁরা বিদেশী বন্দীদের মুক্তি দেবেন।
আবু ওবাইদেহ জানান, গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন ইসরাইলী বন্দী নিহত হয়েছেন।
হামাসের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলী বিমান হামলায় ২ হাজার ৭৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছেন।

প্রায় ৫ লাখ ইসরাইলী বাস্তুচ্যুত: প্রতিরক্ষা বাহিনী
ইসরাইলী সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাস হামলা শুরু করার পর থেকে প্রায় ৫ লাখ ইসরাইলীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আইডিএফ-এর একজন মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকার আশপাশের সব মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা যুদ্ধ অঞ্চলের কাছাকাছি বেসামরিক লোক চাই না।’

পাঁচ লাখ বাস্তুচ্যুত ইসরাইলীদের মধ্যে লেবাননের সঙ্গে দেশের উত্তর সীমান্তের আশেপাশের মানুষও আছে।
কারণ আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েছে। এ সপ্তাহে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন ইসরাইলী বেসামরিক ও একজন সৈন্য নিহত হয়েছেন।

এদিকে গাজার অভ্যন্তরে আরো এক মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যেটি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ একটি অঞ্চল।
মানবিক সহায়তার অভাবে এবং গাজার অভ্যন্তরে মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ায় সেখানে পরিস্থিতির এমন অবস্থা হয়েছে। আইডিএফ-এর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, ‘আমরা ইসরাইলের একটি উল্লেখযোগ্য মানবিক পরিস্থিতির কথা বলছি।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি আরো খারাপ।’

ইসরাইলকে সমর্থনের অভিযোগ, ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অংশ নেবে না মালয়েশিয়া
চলতি বছর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অংশ নিচ্ছে না মালয়েশিয়া। মধ্যপ্রাচ্য সংকটে আয়োজকরা ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে অভিযোগ তুলে নাম প্রত্যাহার করেছে মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সাহিত্যবিষয়ক সংগঠন লিটপ্রম জানিয়েছে, এবারের মেলায় ফিলিস্তিনী লেখক আদানিয়া শিবলির ‘আ মাইনর ডিটেল’ উপন্যাসটিকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার ঘটনায় তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা কর্তৃপক্ষ। ঘোষণায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনী লেখক আদানিয়া শিবলিকে জার্মান পুরস্কার লিবেরাতুরপ্রিস-এ সম্মানিত করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ১৯৪৯ সালে ইসরাইলী সেনাদের সহিংসতার সত্য ঘটনাকে ঘিরে উপন্যাসটি রচিত। ফ্রাঙ্কফুর্টের এই আয়োজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক বইমেলা হিসেবে পরিচিত।

সোমবার মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সহিংসতার সঙ্গে আপস করবে না মালয়েশিয়া। ইসরাইলী বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ফিলিস্তিনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা ও তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থনে মেলা থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া।

এদিকে আরব বিশ্বের কয়েকটি প্রকাশনাও এবারের মেলায় অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আরব পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন, এমিরেটস পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন, শারজাহ বুক অথরিটি এবং পাবলিশারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থা সরে এসেছে।

ইসরাইলী ট্যাংক লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা উত্তর ইসরাইলের কিববুৎজ এলাকা হানিতায় ইসরাইলী ট্যাংক লক্ষ্য করে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ইসরাইলী সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের সীমান্তবর্তী শহর মেটুলায় একটি ইসরাইলী বসতিতে গোলাগুলীর খবর পেয়েছে তারা।
ইসরাইলী সেনাবাহিনী ইসরাইলের উত্তর সীমান্তের ২ কিলোমিটার (১.২ মাইল) এর মধ্যে কমপক্ষে ২৮টি বসতি খালি করার নির্দেশ দেওয়ার পর মেটুলাকে সামরিক অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ এই অঞ্চলের পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে যা আগে দেখা যায়নি।

লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা ইসরাইলের
লেবাননে ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলী সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার রাতভর এ হামলা চালানো হয়েছে। ইসরাইলী সেনাবাহিনী গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে যায় ইসরাইল-লেবানন সীমান্ত।

হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলী বাহিনীর সংঘর্ষে এ পর্যন্ত লেবাননে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়টার্সের এক সাংবাদিকসহ দুই বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সংঘর্ষে ইসরাইলের অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন।

https://www.dailysangram.info/post/538368