১৫ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার, ১২:৫৭

বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু বিরোধীদলের কঠোর আন্দোলন কতদূর?

-আসিফ আরসালান

 

এর আগে আমি দৈনিক সংগ্রামসহ আরো বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখেছিলাম যে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়া সরকারের তরফ থেকে বিরোধীদলসমূহের প্রতি এবং আমেরিকা ও মার্কিনপন্থী দেশগুলির প্রতি বর্তমান সরকারের একটি বিশেষ এবং সুনির্দিষ্ট বার্তা। আমি বারবার দৈনিক সংগ্রামসহ একাধিক পত্রপত্রিকায় বলে আসছি যে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে উল্লসিত হওয়ার তেমন কিছু নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোটামুটি রুশ-চীন শিবিরে ঢুকে গেছেন। এই এলাকায় বিশেষ করে এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরে আমেরিকার যে গেম প্ল্যান সেটায় বর্তমান বাংলাদেশ সরকার শামিল তো হয়ইনি, উপরন্তু পর্দার অন্তরালে চীনের সাথে হাত মিলিয়ে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সেটার বিরোধিতা করছে।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যে নাটকটি সরকার মঞ্চস্থ করলো সেটির অগ্রে এবং পশ্চাতে একটি সাজানো প্ল্যান ছিল। এব্যাপারে দেশী এবং বিদেশী বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ঘাটাঘাটি করে যে খবরটি বেরিয়ে আসে সেটি মোটামুটি নিম্নরূপ:-

আসলে বেগম জিয়ার পরিবার বা দল দেড় দুই মাস আগেও ভাবেনি যে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি মিলতেও পারে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ থেকে বলেছিলেন যে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য যদি বিদেশে যেতে হয় তাহলে তাকে নতুন করে দরখাস্ত করতে হবে। পরিবার থেকে তখন বলা হয় যে ৪ সেপ্টেম্বর তিনি দরখাস্ত করেছেন। সরকারের তরফ থেকে বলা হয় যে ঐ দরখাস্তের ওপর সিদ্ধান্ত হয়েছে যে তার কারাদন্ড স্থগিতকরণ আরো ৬ মাস বৃদ্ধি করা হলো। এখন যদি তিনি ফ্রেশ আরেকটি দরখাস্ত করেন তাহলে তার বিদেশযাত্রার অনুমতি সরকার বিবেচনা করতেও পারে। অনেক দিন ধরে নির্যাতিত এবং শারীরিকভাবে পর্যুদস্ত জিয়া পরিবার তদনুযায়ী সেপ্টেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে আরেকটি দরখাস্ত করে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী বলেন যে দরখাস্তটি বিবেচনাধীন রয়েছে। আইনের আলোকে এটির একটি সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। আসলে সরকার তখন আমেরিকার সাথে একটি আপোষ আলোচনার চেষ্টা করছিল। মার্কিনীদের সাথে আলোচনা যদি সফল হয় অথবা সফল হওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় তাহলে বেগম জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যেহেতু বিষয়টি ওয়াশিংটন এবং নিউইয়র্কে ঝুলে ছিল তাই ঢাকার মন্ত্রীরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারেননি। বিদেশী পত্রপত্রিকা এবং বার্তা সংস্থার রিপোর্ট, যা ফিল্টার্ড হয়ে এদেশে আসে, সেই রিপোর্ট মোতাবেক শেষ মুহূর্তে ওয়াশিংটনের সাথে ঢাকার কোনো সমঝোতা হয়নি। তখন প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমে কথা বলেন এবং আমেরিকাতে বসেই মার্কিন বিরোধী অবস্থান আরো প্রকট করে তোলেন।

সেখানে বেগম জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গটিও আলোচিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা বা না করা উচ্চ আদালতের বিষয়। উচ্চ আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করতে হলে নির্বাহী আদেশে তার যে কারাদন্ড স্থগিত করা হয়েছে সেই স্থগিতকরণ আদেশটি বাতিল করতে হবে। আর সেটি বাতিল হলে তৎক্ষণিকভাবে বেগম জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের জেলখানায় ফেরত যেতে হবে। তারপর শুরু হবে আইনী প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ধরনের বক্তব্যের পর স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী বেগম জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সিগন্যাল ঠিকই পেলেন। কিন্তু সেটি গ্রীন সিগন্যাল ছিল না, ছিল রেড সিগন্যাল।

আমি এর আগেও বলেছি যে অক্টোবর হতে যাচ্ছে অত্যন্ত ক্রুশিয়াল মাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার টিমসহ ১৭/১৮ দিন আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে কাটিয়ে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি এবং আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি কঠোর ভাষায় আমেরিকা এবং দেশে তাদের ভাষায় বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে অগ্নিবান হানছেন। দেশে ফিরে যে তারা বিএনপি তথা বিরোধীদলসমূহের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হবেন সেটি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল পূর্বাহ্নেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এমনকি ভারতেরও দুই একটি পত্রিকাসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে যে আমেরিকায় তার সাক্ষাৎ হয়েছে দুই জন পদস্থ কর্মকর্তার সাথে। একজন হলেন আজরা জেয়া (ইনি কয়েক দিন আগেই ঢাকায় এসেছিলেন) এবং অপরজন হলেন জ্যাক সুলিভান। আজরা জেয়া তাকে আগের কথাই রিপিট করেন। অর্থাৎ আমেরিকা চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যেটি একটি মডেল ইলেকশন হিসেবে দেখানো যেতে পারে।

॥ দুই ॥
শেখ হাসিনা আজরা জেয়ার বৈঠকে নতুনত্বের কিছু ছিল না। কিন্তু আমেরিকা তথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সাথে বৈঠক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কথা হলো, সুলিভানের সাথে যে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে সেটা কেউ পূর্বাহ্নে জানতো না। দ্বিতীয়ত এই বৈঠকটি হলো বাংলাদেশ দূতাবাসে। বলা হলো যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনে গেছেন। সেই ফাঁকে জ্যাক সুলিভান সেখানে গিয়ে হাজির হন। তাদের মধ্যে যে আলোচনা হয় সেটি প্রথম ৭ দিন কেউ জানতেই পারেননি। যেখানে একটি সেলফি তুলে সারাদেশময় প্রচার করা হয় সেখানে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো এমন একজন হেভি ওয়েট নেতার বৈঠক সরকার বেমালুম চেপে যায়। ৭ দিন পর আরেকজন সিনিয়র অফিসার জন কিরবি এটি প্রকাশ করলে অনুসন্ধানী রিপোর্টাররা আসল খবর বের করার চেষ্টা করেন। এসম্পর্কে বিভিন্ন দেশী বিদেশী গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে অনেক কথাই বলা হচ্ছে। বোধগম্য কারণে ঐসব রিপোর্ট আমরা এখানে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকলাম। তবে এটুকু বোঝা গেছে যে প্রধানমন্ত্রী ও সুলিভানের ঐ বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশীদের সভায় পশ্চিমা বিশ্ব এবং বাংলাদেশের বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধী দলসমূহের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যে অগ্নিবান নিক্ষেপ করেন তার মধ্যদিয়ে দুটি বিষয় বেরিয়ে আসে। প্রথমটি হলো, আমেরিকার সাথে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আপোষ রফা হয়নি। আমেরিকায় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদের সমান। এক সময় এ পদে ছিলেন ড. হেনরি কিসিঞ্জার। তেমন অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়ালের সাথে বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর সমঝোতার আর কোনো পথ খোলা থাকে না। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে এই সরকারের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের জন্য ভয়াবহ হার্ড লাইন অনুসরণ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।

॥ তিন ॥
এবং সরকারের সেই হার্ড লাইন Pursue করা শুরু হয়ে গেছে। সরকার বিরোধীদলের ওপর ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, গত ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় একদল পুলিশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক প্রধান, দুই বারের নির্বাচিত এমপি এবং বর্তমানে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে বাসার দরজা ভেঙে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। থানায় যাওয়ার আগে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বাসা থেকে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ দরজায় লাথি মারছে, হুমকি দিচ্ছে, দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুক আমাকে গুলি করবে। আমি সব মামলায় জামিনে আছি বর্তমানে, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’

পরদিন অর্থাৎ ১১ অক্টোবর বুধবার জনাব এ্যানীকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়। সেখানে এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। বিচারকের সামনে কান্না জড়িত কন্ঠে দুই বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এ্যানী বলেন, বাসার দরজা ভেঙে গ্রেপ্তারের পর থানায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। ছাত্ররাজনীতি করে আমি আজ এই পর্যায়ে। গতকালও তো আমি জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রোগ্রাম করেছি। সেখান থেকেও তো আমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারত। কিন্তু সেটি না করে পুলিশ কেন মধ্যরাতে আমার বাসায় অভিযান চালাল?’ তাঁর বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা আদালতকে বলেন, ‘বাসায় আমার বাচ্চা ছিল। দরজা ভেঙে আমাকে টেনেহিঁচড়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি তো চোরও না, ডাকাতও না। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর আমাকে পুলিশ বেধড়ক পিটিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

॥ চার ॥
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর খবরটি আমরা কিছুটা বিস্তারিত দিলাম এটি বোঝাতে যে এ্যানীর মতো এত সিনিয়র নেতার বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং থানায় নিয়ে বেদম পেটানো হয়েছে। এরপর অন্যদের ক্ষেত্রে কি হতে পারে সেটি অনুমান করা কঠিন নয়। গত ১১ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলোর খবরে প্রকাশ, যশোরে বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে গত পাঁচ দিনে ১১টি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের ৭৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জ্ঞাত ও অজ্ঞাত মিলিয়ে আসামীর সংখ্যা অন্তত ৭০০।

দৈনিক প্রথম আলোর ইংরেজি সংস্করণের খবরে প্রকাশ, গত ১১ তারিখ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম মহাসচিব রেদোয়ানুল হকসহ ১০ জন বিএনপি কর্মীকে দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ১১ বছর আগে ২০১২ সালে দায়ের করা এক মামলায় এই কারাদন্ড দেওয়া হলো।

গত ৯ অক্টোবর দৈনিক মানবজমিনের এক খবরে প্রকাশ, নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহানসহ ১৫ জনের চার বছরের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় দেন। আট বছর আগে রাজধানীর ভাটারা থানায় নাশকতার মামলাটি দায়ের হয়।

গত ১০ অক্টোবর অপর একটি বাংলা দৈনিকের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সারাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। ঐ রিপোর্টে বলা হয় যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের অধিকাংশকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

এই ধরনের খবর প্রতিদিন আসছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে দেখা যায় যে বিএনপি এবং জামায়াতের এমন কোনো কর্মী নাই যার বিরুদ্ধে মামলা নাই। কারো বিরুদ্ধে ৪৫০ টি মামলা এবং কারো বিরুদ্ধে কম করে হলেও ৭২ টি মামলা। নির্বাচনের ঠিক আগে আগে নতুন ও ১২/১৪ বছরের পুরাতন মামলা মিলিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সর্বশেষ খবরে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কমপক্ষে এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে।

প্রায় ১ মাস সময় হাতে রেখে যত বেশি সংখ্যক বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীর মামলা দ্রুত শেষ করে তাদেরকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমানুল্লাহ আমান শাস্তি পেয়ে কারাগারে। স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের কারাদন্ড হয়েছে। এমনকি মির্জা ফখরুলও বলেছেন যে আর এক মাসের বেশি তিনি বাইরে থাকতে পারবেন কিনা সন্দেহ।

বিএনপি সর্বাত্মক আন্দোলনের সময় ক্রমাগত পিছিয়ে দিচ্ছে। আর এই ফাঁকে সরকার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদেরকে একের পর এক গ্রেফতার করছে এবং দ্রুত মামলা শেষ করে কারাগারে নিক্ষেপ করছে। এই পটভূমিতে জনগণের প্রশ্ন: সরকার পতনের আন্দোলন কতদূরে? অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল মনে করেন যে ধরপাকড় করে বিরোধী আন্দোলন দমনের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেটি যদি অবরোধ, ঘেরাও, হরতাল প্রভৃতি কঠোর কর্মসূচীতে রূপান্তরিত হয় তাহলে সরকারের ক্র্যাকডাউন যে কত ভয়াবহ হবে সেটি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা সম্ভবত কল্পনাও করতে পারছেন না।

অর্থনীতি তলানীতে ঠেকেছে। কিন্তু সেগুলো লেখার সময় কোথায়? ডিসেম্বর জানুয়ারি পর্যন্ত মনে হয়, শুধুমাত্র রাজনীতির ওপরই লিখতে হবে।
Email: asifarsalan1@gmail.com

https://www.dailysangram.info/post/538070