১৩ অক্টোবর ২০২৩, শুক্রবার, ২:৫৭

সরকারি কলেজগুলোতে অচলাবস্থা

আন্ত:ক্যাডার-বৈষম্য নিরসন ও সুপারনিউমারারি পদ (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত পদ) সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া বিভিন্ন দাবিতে টানা তিন দিনের কর্মবিরতি শেষে নতুন করে আরও দুই দিনের ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ ঘোষণা করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৭ ও ১৯ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মবিরতির কারণে সরকারি কলেজগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কলেজগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২১ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের তিন দিনের (১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর) পরীক্ষা ইতিমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের গতকালকের পরীক্ষাও পিছিয়েছে। এ পরীক্ষা আগামী ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন না। নতুন দুই দিনের কর্মবিরতির ফলে এই পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে দেশের সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদরাসা, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় গত মঙ্গলবার টানা তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার তা শেষ হয়। এর আগে একই দাবিতে ২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
গতকাল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবীর চৌধুরী ও সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করেছিলাম, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্বার্থে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণে কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবে। কিন্তু এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৭ ও ১৯ অক্টোবর সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো। তবে ১৮ অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস পালনের জন্য কর্মবিরতির বাইরে রাখা হলো।’

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছিল, পদোন্নতি-বৈষম্য কমাতে সব ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া, অধ্যাপকদের বেতন গ্রেড তৃতীয় ধাপে উন্নীত করা ও অর্জিত ছুটির সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ ‘দখলের মানসে’ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার জন্য পৃথক নিয়োগ বিধিমালা করা হয়েছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অভিযোগ, পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার।

https://dailyinqilab.com/national/article/609399