৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:৩৯

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১২ জনের প্রাণহানি

হাসপাতালে ভর্তি প্রায় তিন হাজার

ডেঙ্গুর দাপট বেশি গ্রামে। দিন যত যাচ্ছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল ততই দীর্ঘ হচ্ছে। একদিনে আরও ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশে এ পর্যন্ত ৬৪৬ জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৬১ হাজার ৪৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭১ হাজার ৬৪৫ জন। মৃত ৬৪৬ জনের মধ্যে নারী ৩৭৬ জন এবং পুরুষ ২৭০ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ১৭৮ জন এবং রাজধানীতে ৪৬৮ জন।
গতকাল সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৮১৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৮২৩ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৯ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৫২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ১৭ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৮২ হাজার ৫৪১ জন এবং নারী ৫০ হাজার ৫৯৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৯ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরের ৪ দিনে শনাক্ত রোগী ৯ হাজার ৩১৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে শূন্য থেকে ২০ বছর বয়সি ১১৯ শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মেয়ে শিশু ও কিশোরের মৃত্যু ছেলেদের তুলনায় বেশি, ৬২ জন। আর ছেলে শিশু-কিশোরের মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ১৬ থেকে ২০ বছর বয়সিরা। এই বয়সসীমার ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মেয়ে ২০, ছেলে ২৪ জন। এছাড়া শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুর মধ্যে মেয়ে শিশু ১৪, ছেলে শিশু ৯, ৬ থেকে ১০ বছর বয়সি মেয়ে শিশু ১৮, ছেলে ১৪, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সি মেয়ে শিশু ১০, ছেলে শিশু ১০।
সাভারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে স্কুলছাত্রী রওনক মৃধা। মাত্র ১১ বছর বয়স তার। সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। হেসে-খেলে কাটানোর এই বয়সে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে হার মানতে হয়েছে তাকে। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।

রাজধানীর মধ্য পাইকপাড়ার ছাপাখানা মোড়ের বাসাটিতে এখন শুধুই পিনপতন নিরবতা। এই বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও রাবেয়া আক্তার দম্পতির ঘর আলো করে রাখা দুই সন্তান আরাফাত হোসেন ও রাইদা মারা গেছে এক সপ্তাহের মধ্যে। এই অকালমৃত্যুর কারণ ডেঙ্গু। আদরের দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা-মা।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও সিট সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ৩ দিন ধরে জ্বরে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলেও অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর আদ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭ বছর বয়সি কিশান দীক্ষিত। তার বাবা দুলক দীক্ষিত জানান, ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে। প্রথমে অবস্থা ভালো থাকায় বাসায় ছিল। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সে, দুর্বল হয়ে পড়েছে, বমি করছে। পরে হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই।

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডগুলো ফাঁকা নাই। নবজাতক থেকে ১৮ বছরের শিশুরা এখানে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে। তবে ডেঙ্গুর বিপজ্জনক চিহ্ন দেখেই ভর্তি নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, সিট না থাকলে সোহরাওয়ার্দী কিংবা অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শিশু হাসপাতালের তথ্য অন্যুায়ী, ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ১০৫ জন শিশু। একই সময়ে ভর্তি হয়েছে ২১ জন। হাসপাতালটিতে এ পর্যন্ত ১৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু বিভাগের ইনচার্জ ডা. ফারহানা আহমেদ জানান, যাদের বিপজ্জনক লক্ষণ আছে সেসব ডেঙ্গু রোগীকেই ভর্তি করা হয়। তবে এবছর অন্যান্য বারের তুলনায় ডেঙ্গু রোগী বেশি। যার কারণে দ্বিগুণ করতে হয়েছে হাসপাতালের বেড। যেসব শিশুর অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা রয়েছে, তাদের নিয়ে ঝুঁকিটা আরও বেশি।

শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডেঙ্গুসহ যে কোনো অসুখে শিশুরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। শিশুদের ইমিউনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। বিশেষ করে এক বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের ডেঙ্গু হলেই পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের পালমোনারি হেমারেজ বেশি হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে না পারলে মালটি-অরগান ফেইলর হয়ে শিশু মারা যেতে পারে। এছাড়া তাদের ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে নরমাল স্যালাইন দেওয়া যায় না। তিন মাসের নিচের বাচ্চাদের বেবি স্যালাইন লাগে। শিশুদের ফ্লুইড প্রয়োগের হিসাব একটু কঠিন। রোগের ধরন বুঝে সঠিক মাত্রায় ফ্লুইড দিতে না পারলে, ওভার ডোজ পড়লে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে।

ডেঙ্গু রোগের বিপজ্জনক লক্ষণ সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানান, শিশুদের জ্বর আসলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর যখন বিপজ্জনক পরিস্থিতি যেমন যেমন পেটব্যথা, অনবরত বমি, শরীরে পানি জমা, নাক, মাড়ি থেকে রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্বলতা, অস্থিরতা, লিভার স্ফীতি দুই সেন্টমিটারের বেশি, ল্যাব পরীক্ষায় রক্তে হিমাটোক্রিটের মান বৃদ্ধি, অণুচক্রিকা দ্রুত কমতে থাকা। এ রকম কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের পাঁচ থেকে সাত দিন সময়কালে ‘মারাত্মক ডেঙ্গুর’ চিহ্নাদি দেখা দিতে পারে। যেমন ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (যা ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়), শরীরে পানি জমা, নাড়ি দুর্বল, শীতল শরীর (তাপমাত্রা ৯৬.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কম), রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমা, অতিরিক্ত রক্তপাত, লিভার এএসটি বা এএলটির মান ১০০০ বা বেশি, অচৈতন্য অবস্থা, হার্ট ও অন্যান্য অঙ্গে রোগের লক্ষণ প্রভৃতি।

চট্টগ্রামে ১ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে গতকাল সোমবার ২৪ ঘন্টায় ডেংগুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ডেংগুতে আক্রান্ত হয়েছে আরও ১৩১জন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র বলছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ১৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেংগু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২৬৬ জনে। এছাড়া শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডে্গংুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ জন। গতকাল বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ডে্গংু রোগী ভর্তি ছিল ৩১৭ জন।

খুলনা বিভাগে ডেঙ্গুতে এ পযন্ত মৃত্যু ২৩
খুলনা ব্যুরো : খুলনা বিভাগে চলতি মাসে ডেঙ্গু রোগী ভর্তিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ১০ জেলায় ও সরকারি দুই মেডিকেল হাসপাতাল মিলে নতুন করে ২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়াতে পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এ সময়ে খুলনা মেডিকেল (খুমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়রা (৫০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সে বাগেরহাট জেলার বাহিরদিয়া এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে এই হাসপাতালে মৃত্যু দাড়াল ৮ জন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, গত একদিনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় নতুন করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২৬৩ জন। এ সময়ে খুমেক হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বিভাগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভতিৃর মধ্যে খুলনায় ১৮ জন, বাগেরহাটে ২৮ জন, সাতক্ষীরায় ৪ জন, যশোরে ৩৪ জন, ঝিনাইদহ ২৭ জন, মাগুরায় ৫৫ জন, নড়াইলে ২২ জন, কুষ্টিয়ায় ২৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২ জন ও মেহেরপুরে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছাড়াল ৭ হাজার ৩ জন। এসময়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ২২৩ জন। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৩ জনের। মারা যাওয়ার মধ্যে খুমেক হাসপাতালে ৮ জন, খুলনায় ১ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, যশোরে ৫ জন, মাগুরায় ১ জন, কুষ্টিয়ায় ২ জন, ঝিনাইদহে একজন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৬৪৩ জন এবং রেফার্ড করা হয় ৯৮ জনকে।

খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় খুমেক হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৩৪জন। এ সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়রা (৫০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। সে বাগেরহাট জেলার বাহিরদিয়া এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে হাসপাতালে ডেঙ্গুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জনের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছে ১০৪ জন। এ পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে ৯৩২ জনকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৮২০ জন এবং ৮ জনের মৃত্যু হয়।

খুলনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৮ জন। এ সময়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ২৮ জন। এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৩২৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৫ জন এবং রেফার্ড করা হয় ৫ জনকে এবং মৃত্যু হয় একজন রোগীর।

https://www.dailysangram.info/post/534605