৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১২:২৫

জ্বালানি তেলের জন্য হাহাকার

৩ দফা দাবি আদায়ে গতকাল রোববার থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশ। এ কারণে তেলশূন্য হয়ে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প। ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।

মিরপুর-১৪-এর দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার আল আমিন জানান, এখানে শুধু ডিজেল দেওয়া হচ্ছে। অকটেন বন্ধ। কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অকটেন আমাদের রিজার্ভে নেই। তাই শুধু পেট্রোল দিচ্ছি। ধর্মঘটের কারণে এমনটা করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর প্রভাব তো কিছু পড়েছে। তবে আমাদের এখানে অকটেন নেই। পেট্রোল পাম্প রাজধানীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ঘুরে তেল পাচ্ছেন না অনেকে বাড্ডায় দুটো, যমুনা ফিচার পার্কের কাছে একটাসহ মোট তিনটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে এসে মিরপুর-১৪ থেকে বাধ্য হয়েই পেট্রোল নিতে হচ্ছে বলে জানান মশিউর রহমান নামে এক রাইড শেয়ার বাইকচালক। তিনি বলেন, সকালে তেল নেওয়ার জন্য বাড্ডা, যমুনা ফিউচার পার্ক এসব স্থানে ঘুরে আসছি। পাম্পই বন্ধ। এখন মিরপুরে এক যাত্রী নিয়ে এসেছি। এদিকে পাম্প খোলা দেখে এলাম। কিন্তু অকটেন নেই। তাই বাধ্য হয়েই পেট্রোল নিচ্ছি।

মশিউর রহমান ছাড়াও আরও কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক জানিয়েছেন, ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থানে পেট্রোল পাম্প বন্ধ। যে কয়েকটি আছে সেখানে অকটেন দিচ্ছে না। শুধু পেট্রোল চালু রাখা হয়েছে।

অকটেন না থাকার বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে দামি প্রাইভেটকার ও বিলাসবহুল গাড়িগুলো। অকটেন না পেয়ে ফিরছিলেন সাইফুল নামে এক ব্যক্তিগত গাড়ির চালক। তিনি বলেন, ‘আমার এই গাড়িটা সবসময় অকটেনেই চালাই। কখনও পেট্রোল নেই না। কারণ, রিস্ক নিতে চাই না। মালিকের গাড়ি, যদি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়, গতি কমে বা থেমে থেমে চলে, তাহলে তো তার দায় আমার। মালিককে জানাইছি। তিনি বলেছেন ফিরে আসতে। কালশীর সুমাত্রা ফিলিংয়ের কর্মী কবির বলেন, পদ্মা ডিপো থেকে তেল আনি। গতকাল সকালে আমাদের তিন গাড়ি গেছে। ডিজেল এক গাড়ি, দুই গাড়ি অকটেন। শুনেছি ডিপোর গেটই নাকি খুলছে না। যা তেল ছিল সকাল ১০টা পর্যন্ত দিয়ে শেষ করে ফেলছি। প্রত্যেক গাড়িতে ১৩ হাজার ৫০০ লিটার তেল ধরে বলে জানান তিনি। পেট্রোল পাম্পগুলো তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি এদিকে অনুরোধ করেও তেল পাচ্ছেন না যান চালকরা। ফিলিং স্টেশনে ভিড় জমাচ্ছেন তারা। সবারই অভিযোগ কোথাও তেল মিলছে না। শুভ নামে এক চাকরিজীবী বলেন, শান্তিনগর অফিস থেকে বের হয়ে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল কয়েক জায়গায় গিয়েছি, কোথাও তেল পাচ্ছি না। পেট্রোল পাম্প মালিকদের দাবি, ডিজেলের ২ ভাগ, পেট্রোলের ৩ ভাগ এবং অকটেনের ৪ ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে ৭ ভাগ করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে। এরমধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় তাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাকি দুই দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন এবং পরিবহন বন্ধ রেখেছেন তারা। এতে অনেক পাম্পে সকাল থেকে বিক্রি হলেও দুপুর গড়াতে না গড়াতেই তেল শেষ হয়ে যায়। ফলে বন্ধ আছে বিক্রি। আজ সোমবার পর্যন্ত এই ধর্মঘট চললে পাম্প সবই বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি শ্রমিক ফেডারেশনের সেক্রেটারি (ঢাকা) রেজাউল করিম রেজা বলেন, ধর্মঘটের কারনে রোববার তারা কোনও তেল উত্তোলন করেননি। তাদের সঙ্গে কেউ মিটিংও করেনি।

পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির একাংশের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, একপক্ষ দালালি করতেছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা হাতে গোনা। তারা পাম্প খোলা রাখলেও লাভ নাই। তেল উত্তোলন তো বন্ধ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।

সূত্র জানায়, পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন এবং পরিবহন বন্ধ রেখেছেন তারা। এতে অনেক পাম্পে সকাল থেকে বিক্রি হলেও দুপুর গড়াতে না গড়াতেই তেল শেষ হয়ে যায়। ফলে বন্ধ আছে বিক্রি।
এর আগে বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের উপস্থিতিতে গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব দাবি-দাওয়া পূরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়। এরপর একাংশ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। কিন্তু অন্য অংশ জানায়, তাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করে কর্তৃপক্ষ শুধু সময়ক্ষেপণ করছে। তাই ৩ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে জ¦ালানি তেলের বেশিরভাগই সরবরাহ করা হয় নারায়ণগঞ্জে থেকে। বিশেষ করে বিমানের তেল এখান থেকে সরবরাহ হয়। গতকাল নারায়ণগঞ্জ থেকে সবধরনের জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউশনস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনগুলোর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির কারণে সারা বাংলাদেশেই এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

সুত্র জানায় , নারায়ণগঞ্জে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি কোম্পানির জ্বালানি তেলের ডিপো রয়েছে। এই ডিপোগুলো থেকেই রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের জেলাগুলোতে সিংহভাগ জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের পদ্মা ডিপো থেকে সরবরাহ করা বিমানে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল। এ কর্মসূচির জন্য বন্ধ রয়েছে বিমানের তেল সরবরাহও। এছাড়া বন্ধ রয়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ পরিবহন খাতেরও জ্বালানি সরবরাহ।

এদিকে রোববার সকালে ফতুল্লার যমুনা ডিপো ও সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা তেলের ডিপো এলাকার গিয়ে দেখা গেছে তেলের ট্যাংকার সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আছে। তেল সরবরাহ না থাকায় কর্মমুখর এসব এলাকা অনেকটা নীরব।

ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল মেঘনা শাখার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন জানান, তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তবে গোদনাইল মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা বিকল্প পথে তেল সরবরাহ চালু রাখার চেষ্টা করছি।’

পদ্মা ডিপোর সিনিয়র কর্মকর্তা ফজলে এলাহী চৌধুরী বলেন,‘বিমানের জ্বালানি তেল আগামী ১০ দিনের জন্য বিমানবন্দরে মজুদ আছে। এই কর্মসূচির জন্য যাতে কোনো সমস্যা না হয়।’

বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউশনস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তিন দফা দাবিগুলো হলো, জ্বালানি তেলের কমিশন ২.৭৩ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে শতকরা সাড়ে ৭ করতে হবে। জ্বালানি তেল ব্যাবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে। ট্যাংক লরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নাই ও ট্যাংক লরির ইকোনমি লাইফ ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে নির্ধারণ পূর্বক পৃথকভাবে সুস্পস্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

এদিকে আমাদের খুলনা ব্যুরো জানায়, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবি হচ্ছে-জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

তেল সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকায় শনিবার রাত থেকেই খুলনার পাম্পগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। কয়েকটি পাম্প ঘুরে দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে তেলের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই। খুলনার নতুন রাস্তার মোড়ের এলেনা পেট্রোল পাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।

খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের পেট্রোল পাম্পেও দীর্ঘ লাইন ছিল মধ্যরাত পর্যন্ত। খালিশপুর, দৌলতপুর, বয়রা, ফুলবাড়ী গেটের কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা যায় সেখানে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। খালিশপুরের ৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা যমুনা থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেখানে কয়েকশ’ ট্যাংক-লরি দাঁড়িয়ে আছে।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না।’ ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৩ ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় রোববার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, তিন দফা দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে তেল ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা কয়েকবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিবারই সময় নিয়েছেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষিত কর্মসূচী চলাকালীন রোববার দুপুরে খুলনাস্থ খালিশপুরের ট্যাংকলরী ভবনের সামনে বাংলাদেশ জ্বালানী তেল পরিবেশন সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আর বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোড়ল আব্দুস সোবহান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম মাহবুব আলম, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকছেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী আজিম, কোষাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান মিজু, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম কালু, সংগঠনের নেতা শেখ জাহঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মান্নান খান, মো. কামাল হোসেন, কাজী রফিকুল ইসলাম নান্টু, শেখ জামিরুল ইসলাম, মো. মুরাদজ্জামান, শেখ আশিকুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তারা দৃড় কণ্ঠে ঘোষণা করেন, আর প্রতিশ্রুতি নয় আমাদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ফিলিং স্টেশন সমূহ আমরা বন্ধ রাখিনি, তবে যেহেতু তেল উত্তোলন বন্ধ সেহেতু যেকোন সময় তেল না থাকার কারনে ফিলিং স্টেশন সমূহ আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যাবে। তখন জনগণ চরম ভোগান্তির স্বীকার হবে। বক্তারা উদ্ভূত পরিস্থিতির উত্তোরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আহবান জানান।

https://www.dailysangram.info/post/534536