৩১ আগস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:০৮

ভিন্নমত দমনে জোর, অপরাধ ঠেকাতে নয়

ডিজিটাল জগতে কেউ কটূক্তি করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় সরকারি সংস্থা। প্রকাশ্য অপরাধ ঠেকাতে নজর কম।

অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটির সময় অনেকের মুঠোফোনের পর্দায় ভেসে আসছে ‘সান ওয়ালেট–সিকিউর লোন’ নামের একটি অ্যাপের বিজ্ঞাপন। অ্যাপটি মানুষকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তা ডাউনলোড করলে মুঠোফোনে মানুষের সব ধরনের তথ্যে প্রবেশের অনুমতি দিতে হয়। এমনকি ছবি ও ভিডিওতেও।

গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটির রিভিউতে (মূল্যায়ন) একজন নারী লিখেছেন, তিনি ঋণ নিয়ে যথাসময়ে পরিশোধ করেছেন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এখন বাড়তি টাকা চাওয়া হচ্ছে। তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে প্রতারণা (ব্ল্যাকমেল) করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অ্যাপটি সরল মানুষের জন্য একটি ফাঁদ।

দেশে অ্যাপ ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়া ঋণ দেওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু ডিজিটাল জগতে এভাবে অ্যাপের মাধ্যমে, বিজ্ঞাপন দিয়ে ও গ্রুপ খুলে ঋণ বিতরণ, বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ লেনদেন, জুয়া, জাল নোটের কেনাবেচা, নিষিদ্ধ ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনসহ নানা ধরনের অপরাধ চলছে। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলোর নজরদারি সামান্য, বেশি নজর সরকারবিরোধিতা ঠেকাতে।
যখনই বৈদেশিক মুদ্রার প্রশ্ন আসে, তখনই এর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আমরা যারা ডিজিটাল দুনিয়াতে কাজ করি, এটা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
যেমন গুগলের কাছে সরকার আধেয় সরানোর জন্য যেসব অনুরোধ করেছে, তার প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারের সমালোচনা ও মানহানিবিষয়ক। যদিও গুগল বেশির ভাগ অনুরোধ রাখেনি। এদিকে ডিজিটাল জগৎকে ব্যবহার করে অপরাধমূলক আধেয় সরাতে অনুরোধ কম। এই সুযোগে ডিজিটাল প্রতারণার বড় বড় ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপ ইনকরপোরেটেড নামের একটি বহুস্তর বিপণন বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি দেশের হাজার হাজার মানুষের কাছ কোটি কোটি টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে।

এমটিএফইর প্রতারণা বেরিয়ে পড়ার পর গত মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে ‘অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক একটি বৈঠক হয়। সচিবালয়ে বৈঠক শেষে মোস্তাফা জব্বার অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা বন্ধ না হওয়ার জন্য দায়ী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, ‘যখনই বৈদেশিক মুদ্রার প্রশ্ন আসে, তখনই এর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আমরা যারা ডিজিটাল দুনিয়াতে কাজ করি, এটা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি আসার পর থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনারা কী করেছেন? একটু বোঝার চেষ্টা করুন, ডিজিটাল দুনিয়ার কোনো একটা অ্যাপে আমরা সমস্ত মনোযোগ দিয়ে বসে থাকতে পারি না।’ ফেসবুকে কেউ কোনো কটূক্তি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলেও এ ধরনের ব্যবসা কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাব অবশ্য দেননি মন্ত্রী।
বৈঠকে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে অবৈধ ব্যবসা ও প্রতারণা বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রধান করে একটি টাস্কফোর্স গঠন এবং প্রয়োজনীয় আইন করার সুপারিশ করা হয়।

দেশি–বিদেশি সমালোচনার মুখে সরকার স্বীকার করে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে। এখন নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে, সেখানেও মানুষের নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে।

আয়োজন অনেক, সুরক্ষা ‘সামান্য’
ডিজিটাল জগতে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে আইন ও আয়োজন অনেক। তবে তা কতটা মানুষের, কতটা সরকারবিরোধীদের দমন করতে, সেই প্রশ্ন রয়েছে।

২০০৬ সালে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন করে সরকার। সেই আইনের ৫৭ ধারা ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়, কারণ এই ধারাকে বাক্‌স্বাধীনতা হরণে ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিতর্কের মুখে সরকার ২০১৮ সালে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার বিষয়বস্তু নতুন আইনের বিভিন্ন ধারায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার ক্ষেত্রেও ডিজিটাল জগতে মানুষের নিরাপত্তার কথাই বলেছিল সরকার। কিন্তু দেখা যায়, আইনটি ব্যবহার করে বিরোধী রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। বেশি মামলা হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে। দেশি–বিদেশি সমালোচনার মুখে সরকার স্বীকার করে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে। এখন নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে, সেখানেও মানুষের নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গঠন করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি। ডিজিটাল জগতে মানুষের নিরাপত্তা ও অবৈধ লেনদেন বন্ধে কাজ করে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), র‌্যাব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের বিজিডি ই–গভ সার্ট নামের একটি প্রকল্প। কিন্তু সবার সামনে অপরাধ ও প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম (লেনদেনব্যবস্থা) নিয়ে কাজ করে। কোথায় এবং কিসের জন্য লেনদেন হচ্ছে, তার দায় ব্যক্তির, পেমেন্ট সিস্টেমের নয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক
ডিজিটাল জগৎ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নজরদারির জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা নানা ধরনের সরঞ্জাম কিনেছে। মানুষকে প্রতারিত ও অপরাধের শিকার হওয়া ঠেকাতে সেসব সরঞ্জাম কতটুকু ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই প্রশ্নও উঠেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮ ধারায় বলা আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যদি মনে হয় ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো তথ্য–উপাত্ত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।

কী ধরনের নজরদারি কার্যক্রম করা হয়, তা নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, মূলত দুই ধরনের কাজ হয়। এক. সাইবার নজরদারি, যেটা প্রধানত রাজনৈতিক নজরদারি। কিছু ব্যক্তির প্রোফাইল, কিছু পেজ, অ্যাপসহ টিভির টক শোতে কারা যাচ্ছে, কে কী বলছে তা নিয়মিত দেখা হয়। সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড করে কি না, দাঙ্গা–হাঙ্গামার বিষয় আছে কি না, সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। তারপর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

দুই. সাইবার সহায়তা। অর্থাৎ, কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নজরদারিতে কী কী বিষয়ে চোখ রাখা হয়, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল সিআইডি, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে। তাঁরা বলছিলেন, এমটিএফইর মতো ক্ষেত্রে অভিযোগ দেওয়া হলে তাঁদের সুবিধা হয়।

যখন একজন আরেকজনের ওপর দায় চাপায়, তখন মনে হয় সিস্টেম (ব্যবস্থা) কাজ করছে না। দিন শেষে মানুষ সরকারের কাছে জবাব চাইবে। এটি সরকারের ভাবমূর্তিরই ক্ষতি।

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম
সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, এক মাস আগে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ১৮৬টি লিংক পাঠানো হয় তদন্তের জন্য। যার মধ্যে অনলাইন জুয়া, অ্যাপ, ওয়েবসাইট, ফেসবুক লিংকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন লিংক ছিল। সেখানে এই এমটিএফইর নাম ছিল না। তিনি আরও বলেন, কী ঘটেছে তা বোঝার জন্য সিআইডির একটি দল কাজ করছে। কেউ যদি মামলা করে, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দায় নিতে রাজি নয় বাংলাদেশ ব্যাংকও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম (লেনদেনব্যবস্থা) নিয়ে কাজ করে। কোথায় এবং কিসের জন্য লেনদেন হচ্ছে, তার দায় ব্যক্তির, পেমেন্ট সিস্টেমের নয়।

প্রশ্ন হলো তাহলে মানুষকে সুরক্ষা কে দেবে? টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান প্রথম আলোকে বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে জনকল্যাণের চেয়ে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের স্বার্থরক্ষাই গুরুত্ব পায়। আর এটা যদি রাষ্ট্রের চারিত্রিক কাঠামো হয়, তাহলে এর আওতায় অপরাধের ক্ষেত্রে এ ধরনের শৈথিল্য স্বাভাবিক।

অন্য সংস্থা কী করে
সাইবার নিরাপত্তার জন্য আইসিটি বিভাগের সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজিডি ই–গভ সার্ট নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিজিডি ই–গভ সার্ট আইসিটি বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির হয়ে জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (এনসার্ট) হিসেবেও কাজ করছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে জুয়া, স্ক্যামের মতো বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ এলে সেগুলোর বিষয়ে বিটিআরসিকে জানানো হয়। এসব বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংস্থা টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, যার বরাদ্দ ছিল ১৫৫ কোটি টাকার বেশি। এ প্রকল্পের আওতায় অনলাইন জগৎ পর্যবেক্ষণ–সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি কেনা হয়। পরবর্তী সময়ে ৪৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কথা বলবেন না।

বিষয়গুলো নিয়ে বিটিআরসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সচিবালয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে বিটিআরসির কর্মকর্তারা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। সূত্র বলছে, সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতারকেরা খুব সহজেই নিজের পরিচয় গোপন করে ফেলে এবং একটি অ্যাপ বন্ধ করলে নতুন অ্যাপ চালু করে।

মানুষ ‘জবাব চাইবে’
সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনের ঘাটতিতে ক্ষতি হয় মানুষের। যেমন বগুড়ার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা জিপিটিসি ও জিপিসিএ নামে দুটি অনলাইনভিত্তিক এমএলএম প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এমন খবর নিয়মিতই আসছে।

এর আগে যুবক, ডেসটিনি, ইউনিপে টু ইউ, বিভিন্ন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষেরা। মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, যখন একজন আরেকজনের ওপর দায় চাপায়, তখন মনে হয় সিস্টেম (ব্যবস্থা) কাজ করছে না। দিন শেষে মানুষ সরকারের কাছে জবাব চাইবে। এটি সরকারের ভাবমূর্তিরই ক্ষতি।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/3btes7kazb