২ আগস্ট ২০২৩, বুধবার, ৫:১০

আওয়ামী সরকারের কেয়ারটেকার আতঙ্ক : একটি বিশ্লেষণ

ড. মো. নূরুল আমিন

॥ গতকালের পর ॥
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দলের প্রধান নির্বাহী ছিলেন এবং এ প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের এমন কোনও পরিকল্পনা, নীতি কৌশল টার্গেট ও লক্ষ্যমাত্রা থাকার কথা নয়, যা তার সম্মতিবহির্ভূত এবং গোচরের বাইরে। তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং রিমান্ডে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নিজের, দলের এবং দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, বাজারে এর সিডিও বিক্রি হয়েছে। জনাব জলিল নিজের অর্থবিত্তের কথা বলেছেন এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকে তার ৬০ লাখ টাকার শেয়ার থাকার কথা স্বীকার করে বলেছেন যে, ঐ টাকা বন্ধুবান্ধবরা তাকে দান করেছেন, সেগুলো তার পরিশ্রমের অর্জন নয়। তার একাধিক বাড়ি, শিল্প কারখানা ও গুদামের মালিকানা সম্পর্কেও কিছু কিছু তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। তবে তিনি তার দল ও দলীয় নেত্রী সম্পর্কেই সবচেয়ে বেশি তথ্য দিয়েছেন।

তার জবানবন্দী অনুযায়ী একক কর্তৃত্ব ও সিদ্ধান্তে দল পরিচালিত হয়। বাহ্যত দলটির গণতান্ত্রিক লেবাস থাকলেও কার্যত এই দলে গণতন্ত্রের কোনও চর্চা নেই। একটি বৈধ সরকারকে উৎখাতের জন্য জনাব জলিল পার্টি সভানেত্রীর নির্দেশে ব্যাপকভাবে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তার এবং দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের দেয়া তথ্যানুযায়ী সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় তারা শেরাটন হোটেলের পার্শ্বে বিআরটিসির দোতলা বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ১১ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিলেন। এর নেপথ্যে ছিলেন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাধারণ সম্পাদক মীর্জা আজম। তারা যুবলীগের অফিসে বৈঠক করে নাশকতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনাব জলিল ও শেখ সেলিম উভয়েই তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন যে, কারা হাজার হাজার কোটি টাকা সম্পদের মালিক। এই সম্পদের বেশির ভাগ তিনি বিদেশে তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে পুতুল এবং বোন রেহানার নামে রেখেছেন। আমেরিকায় ছেলের নামে ব্যাংকে টাকা রাখা ছাড়াও বিপুল সম্পদ করেছেন, মেয়ের নামে ব্যাংকে টাকা রেখেছেন। এছাড়াও তার বোন রেহানার নামে লন্ডনে বাড়ি, গাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন সম্পদ এবং ব্যাংক ব্যালেন্স আছে। জনাব জলিলের জবানবন্দী অনুযায়ী শেখ হাসিনা নিজ হাতে উৎকোচের টাকা গ্রহণ করতেন এবং নিজের মতো করে রাখতেন। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী তাকে বিদেশের ব্যাংক থেকে উৎকোচ দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী চেকে নিলে সমস্যা হতে পারে এজন্য তিনি ঘুষের টাকা ব্যাগ, বস্তা বা সুটকেসে করে নিতেন। তিনি আরো বলেছেন যে, আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গণভবনে টাকা নিতেন, পরে সুধা সদনে। জলিলের মতে আওয়ামী লীগ আমলে একেকটি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে তিন কোটি টাকা দিতে হতো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর ইলাহী শেখ হাসিনাকে তিন কোটি টাকা দিয়েছিলেন। একইভাবে ডা. ইকবালও শেখ হাসিনাকে তিন কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক খোলার অনুমতি সংগ্রহ করেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও তারা বসুন্ধরা সিটিতে তাকে এক বিঘার একটি প্লটও উপহার দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন যা শেখ হাসিনা শেখ রেহানার নামে করিয়ে নিয়েছেন। জনাব আবদুল জলিল আরো বলেছিলেন, তাদের টাকার উৎস ছিল অবৈধভাবে বিভিন্ন লোকের কাজ করিয়ে দেয়ার জন্য মোটা অংকের উৎকোচ, মনোনয়ন বাণিজ্য, দল চালানোর নামে চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কমিশন গ্রহণ। তিনি বলেছিলেন যে, দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, মনোনয়নপ্রার্থী ব্যক্তি, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা, বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালক ছাড়াও ঠিকাদাররা তাদের কাজ পাবার বিনিময়ে উৎকোচ দিতেন। জনাব জলিল ও শেখ সেলিমের জবানবন্দী অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তারা সম্পূর্ণভাবে বদলে যেতে থাকেন। তারা এতটাই লোভী হয়ে উঠেন যে, গণভবন পর্যন্ত দখল করে নেন। হরতাল অবরোধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকরণ, স্থল ও নৌ-বন্দর বন্ধ করে দিয়ে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতা সৃষ্টি, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, গার্মেন্টস শিল্পে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিঘিœতকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাদের দলের প্রকাশ্য ও গোপন তৎপরতার কথাও তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। জনাব আবদুল জলিল একজন সম্মানিত ব্যক্তি, ঝানু রাজনীতিবিদ এবং একজন সাবেক মন্ত্রী, তার স্বীকারোক্তিতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার নেতানেত্রীদের যে বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছিল তা ছিলো বেদনাদায়ক ও লোমহর্ষক। রিমান্ডে দেয়া তার জবানবন্দী অনুযায়ী এই দলটিও তার নেতানেত্রীদের দেশপ্রেম বলতে কিছু নেই, তারা লোভ-লালসা তাড়িত, ক্ষমতায় যাবার জন্য মানুষ হত্যা এমনকি দেশকে ধ্বংসও যদি করতে হয় তা করতেও তাদের কোনোও দ্বিধা নেই, আবার এই দলের যিনি প্রধান তার যেমন চরিত্র নেই, তেমনি জবাবদিহিতাও নেই। পার্টি প্রধানের পরই পার্টি সেক্রেটারির স্থান। তিনি বাস্তব অর্থে দলের নির্বাহী প্রধানও। জনাব জলিল বলেছিলেন যে, তিনি শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী ও একনায়কতান্ত্রিক আচরণের কারণে স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। দলের অন্যান্য দুষ্কর্মের ন্যায় কর্মীদের হাতে লগি-বৈঠা তুলে দিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি, পিটিয়ে মানুষ হত্যা প্রভৃতিও নেত্রীর একক সিদ্ধান্তে হয়েছে। অর্থাৎ তার প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী খুন, রাহাজানি ও দেশব্যাপী ফেৎনা সৃষ্টির জন্যও তিনি দায়ী। দল তার হুকুম পালন করেছে এবং এই অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে অপরাধ করেছে। বলাবাহুল্য আব্দুল জলিল, শেখ ফজলুল করিম ও ওবায়দুল কাদের এদের সকলেরই সুর ছিল এক এবং অভিন্ন। পাঠকদের হয়ত মনে আছে যে, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চারদলীয় জোটসরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রাক্কালে পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা এবং গুলশান থানায় একজন ব্যবসায়ীর দায়ের করা ২.৯৬ কোটি টাকার চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং সিএমএম কোর্টে জামিন আবেদন শুনানির পর বিচারক তার আবেদন নাকচ করে তাকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে একই বছরের এপ্রিল মাসে শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবার পর তাকে তৎকালীন Doctrine of Necessit সরকার বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন, যা আমি আগে বলেছি। এগুলোর কোনোটিই আমার কথা নয়, ঐতিহাসিক সত্য ও তৎকালীন পত্রপত্রিকায় ও প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্য। এর মধ্যে গঙ্গা-যমুনার পানি অনেক গড়িয়েছে এবং আঁতাতের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন। তার ক্ষমতায় আসার পরও অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে। তিনি নিজের ও নিজের পরিবারের সদস্যসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল দুর্নীতি ও ফৌজদারী মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কিন্তু বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মামলাসমূহ প্রত্যাহার করেননি। বরং নতুন নতুন মামলায় তাদের জড়াচ্ছেন জামায়াতের নেতারা গ্রেফতার হয় না এ আক্ষেপও তার এখন নেই। কেননা তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে তাদেরও গ্রেফতার করে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে অনেক জামায়াত নেতাকে ফাঁসি দিয়েছেন। সেনাসমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের আচরণকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী এ সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছেন। এটা কোনো যুক্তি হতে পারে বলে আমি মনে করি না। আমি আগেই বলেছি এ সরকার প্রকৃতঅর্থে কেয়ারটেকার সরকার ছিল না। তারা তাদের আওতা ও ক্ষমতাবহির্ভূত অনেক কাজ করেছেন যার জন্য তাদের বিচার হওয়া দরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার এতো লোকের বিচার করছেন, সেনাসমর্থিত এক/এগারোর সরকারের অপরাধের বিচার করলেন না কেন? তা না করে গোটা ব্যবস্থাটাকেই বাতিল করে দেয়ার পেছনে কোনো যুক্তি থাকতে পারে বলে মনে হয় না। অভিজ্ঞজনরা মনে করেন যে, বেশ কয়েকটি আতঙ্কই এ ব্যবস্থা বাতিলের পেছনে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছে : এক. ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক। দুই. দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচারের ভয়। দুর্নীতির যেসব মামলা তারা তুলে নিয়েছেন সেগুলো যেমন পুনরুজ্জীবিত হতে পারে তেমনি গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তিবাণিজ্য, দখলবাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির জন্য নতুন নতুন মামলাও হতে পারে। এ আতঙ্কে তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তৃতীয় যে ভয়টি তাদের পিছু ছাড়ছে না তা হচ্ছে বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনাকর্মকর্তাদের হত্যাকান্ডের পুনঃতদন্ত ও বিচারের সম্ভাবনা। কেউ যদি সত্যিকার অর্থে দুর্নীতিপরায়ণ না হন তাহলে তার আতঙ্কের কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না। প্রধানমন্ত্রী ও তার দলীয় নেতাকর্মীরা সত্যিকার অর্থে যদি সৎ হয়ে থাকেন তাহলে কারুর ভয়ে ভীত না হয়ে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থার অর্জনকে বিসর্জন না দিয়ে পুনঃস্থাপন করে দেশকে অরাজকতার হাত থেকে উদ্ধারে এগিয়ে আসাই স্বাভাবিক ছিল। তা না করে তারা ভিন্ন পথে চলছেন। উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন।

প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন, যদি তার দল পুনরায় ক্ষমতায় না যেতে পারে তাহলে নেতাকর্মী কারোরই পিঠের চামড়া থাকবে না। তাদের আরেকজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি পুনরায় ক্ষমতায় যেতে না পারে তাহলে এক দিনেই আওয়ামী লীগের ১০ লক্ষ লোককে হত্যা করা হবে। এসব উস্কানিমূলক কথা এই দলটির নেতাকর্মীদের হিং¯্র করে তুলছে। সারাদেশে তারা এখন সরকার বিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য হামলা-মামলা, পুলিশ দিয়ে নির্যাতনসহ এমন কোনো অত্যাচার নেই যা করা হচ্ছে না। বলা বাহুল্য, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে যত লোক নেয়া হয়েছে তার ৯০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্যাডার। তারাও মরিয়া হয়ে এই সরকারকে রক্ষা করা ও পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য সচেষ্ট।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত এখন একটি বিরাট ফ্যাক্টর। সরকার পতন আন্দোলন ও কেয়ারটেকার ব্যবস্থার পুনর্বাহালের জন্য বিরোধী দল ঐক্য অপরিহার্য এই ঐক্য যাতে হতে না পারে সেজন্য জামায়াত সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। বলা হচ্ছেÑ জামায়াত সরকারের সাথে আঁতাত করছে। সরকার তাদের ১০০ আসন দিচ্ছে এবং আগামী সংসদে তারা প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের মধ্যে জামায়াত সম্পর্কে একটা সন্দেহ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই অপপ্রচার। এতে কিছু কাজও হয়েছে বলে মনে হয়। বিএনপির কিছু কিছু সিনিয়র নেতার বলন-কথনে তারা এই অপপ্রচার গিলেছেন বলেও মনে হয়। অনেকে বিস্মিত হন। এক দশক ধরে রাজনৈতিক ময়দানে নিষ্ক্রিয় থেকে সরকারের সাথে আঁতাত না থাকলে কেমন করে বিশাল সমাবেশ করে! জামায়াত সম্পর্কে না জানা কথাগুলো নিয়ে আগামী সংখ্যায় আমি বিশদ আলোচনা করার আশা রাখি। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী দুঃশাসন, জুলুম, নির্যাতন, দুর্নীতি থেকে দেশকে মুক্ত করে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সব দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অপরিহার্য বলে আমি মনে করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা যদি ডু অর ডাই (Do or die) নীতিতে অগ্রসর হতে না পারেন তাহলে অনন্তকালের গোলামির জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যা কারোরই কাম্য নয়। (সমাপ্ত)

https://dailysangram.info/post/531481