২ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার, ১০:৪৮

কুসিক নির্বাচনে ১২টি অনিয়ম : ই ডব্লিউ জি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ১২টি অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন পর্যবেক জোট ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ই ডব্লিউ জি)। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কুসিক নির্বাচন পর্যবেণ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়।

তাদের পর্যবেক্ষণে অনিয়মগুলো হলো, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে প্রার্থীর যানবাহনের সুবিধা প্রদান, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সহিংসতার ঘটনা, ভোটকেন্দ্রের বাইরে সহিংসতার ঘটনা চারটি; গ্রেফতারের ঘটনা, ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ও বন্ধ ঘোষিত ভোটকেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংস্থার পরিচালক ড. মো: আবদুল আলীম বলেন, ছোটখাটো কিছু অনিয়ম ও সহিংসতা সত্ত্বেও ইডব্লিউজি মনে করে, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে পরিচালিত ১২তম নির্বাচন কমিশনের জন্য এই নির্বাচন একটি শুভ সূচনা। বড় ধরনের কোনো ঘটনা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে কুসিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিরপেতা বজায় রেখে দতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে। ভোটাররাও সুশৃঙ্খলভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সংস্থাটির পর্যবেণ পদ্ধতির বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কুসিকের ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ৩৮টি ভোটকেন্দ্র পর্যবেণ করেছে ইডব্লিউজি। প্রতিটি কেন্দ্রে সংস্থাটির একজন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানানো হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত ভোটকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতির ভিত্তিতে এসব কেন্দ্র বাছাই করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত ছিল এবং নির্ধারিত সময়েরই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরুর সময় পর্যবেণকৃত ৯৪ শতাংশ কেন্দ্রেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
সংস্থাটি জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দিনের শুরুর দিকে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ ছিল। একই সঙ্গে পর্যবেণকৃত সব কেন্দ্রেই প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরাও উপস্থিত ছিলেন। ৭৯ শতাংশ কেন্দ্রেই প্রতিবন্ধী ভোটারদের প্রবেশ উপযোগী ছিল।
সংস্থাটি জানায়, কুমিল্লার এই নির্বাচনে সকাল ১০টা পর্যন্ত ২২ শতাংশ, বেলা ১টা পর্যন্ত ৫১ শতাংশ, ৩টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ এবং বিকেল পর্যন্ত ৬২.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সকালের দিকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে কোনো সহিংসতা বা অনিয়মের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বিকেলের দিকে ১৫.৮ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে কিছু অনিয়ম পরিলতি হয়। ভোট গণনা চলাকালে কোনো সহিংসতা বা অনিয়ম পরিলতি হয়নি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে সার্বিক মূল্যায়ন জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সার্বিকভাবে নির্বাচন ভালো হয়েছে। এই নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক নিয়োগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নির্বাচন চলাকালীন ভালোভাবেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জানিপপের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লা, ইডব্লিউজির পরিচালক আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত দলীয় প্রতীকের প্রথম নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থক প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/208801