জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলার কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকারসহ সারা দেশকে থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৮ অক্টোবর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ডাকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮ অক্টোবর রবিবার দেশের সকল জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল শুরুর প্রাক্কালে জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকারসহ ১৯ জন নেতাকর্মী এবং ৮ অক্টোবর সকালে বাগেরহাট জেলা জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে ফেরার পথে ৭ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ সম্পূর্ণ বেআইনী ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আমি পুলিশের এই সব অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মিটিং-মিছিল করা যে কোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক বৈধ রাজনৈতিক দল। জামায়াতের কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ সারাদেশে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে তল্লাশি চালিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতার করছে। অভিযানকালে তারা অফিস ও বাসা-বাড়িতে থাকা লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং বাড়ি-ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের গ্রেফতার, জুলুম-নির্যাতন ও অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসী সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত এ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”