৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:১৪

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এবং নরসিংদী শহর জামায়াতের আমীরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন এবং নরসিংদী জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও শহর আমীর আজিজুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৩ অক্টোবর নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “৩ অক্টোবর মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখা আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অবিলম্বে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। তারপরও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে রিকসা ও অটোরিকসার সাধারণ যাত্রী এবং পথচারী লোকজনকে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করে। এ সময় শহরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করা হয় এবং নরসিংদী জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও শহর আমীর আজিজুর রহমান ও জামায়াত নেতা মোস্তফাকে ডিবি পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ৩ অক্টোবর বিকালে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন, মেহেরপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রউফ মুকুল এবং সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল জব্বারকে একটি ভোজন অনুষ্ঠান থেকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিনা কারণে দেশের নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো পুলিশের বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি পুলিশের এসব অন্যায় গ্রেফতার, অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বাড়াবাড়ির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সরকার যেনতেন প্রকারে ২০১৪ ও ২০১৮ স্টাইলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আওয়ামী লীগ কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন ও নরসিংদী শহর আমীর আজিজুর রহমানসহ আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”