১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:০৮

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দান, হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দান, হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৯ সেপ্টেম্বর নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশের সকল মহানগরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিঘ্ন ঘটাতে পুলিশ কয়েক দিন যাবত জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে তল্লাশি চালিয়েছে। অভিযানকালে বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও শিশুদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে। বাড়ি-ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়েছে। গোটা দেশকে আজ কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর মাগরিবের সালাত শেষে নওগাঁ পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমানকে, সোমবার রাতে নরসিংদী জেলা বায়তুলমাল সেক্রেটারি সাইয়েদুজ্জামান ও পেশাজীবী শাখার সদস্য শফিকুল ইসলামকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে মেহেরপুর সদরের জামায়াত কর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে এবং ১৬ জনের নাম এজাহারভূক্ত করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি পুলিশের গ্রেফতার ও জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ‘সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ’ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জামায়াতের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বারবার বাধা দিয়ে আওয়ামীলীগ তা আবারও প্রমাণ করল। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন দানা বেধে উঠছে। সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করছে। গুম, খুন, হয়রানি ও গ্রেফতার যেন সরকারের রুটিনওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে বর্তমান সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।

অবিলম্বে অন্যায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”