১৯ জুন ২০২৩, সোমবার, ৫:৪৪

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ

-মতিউর রহমান আকন্দ

গত ১৪ জুন রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক জনাব গোলাম রব্বানী নাদিম গুরুতরভাবে আহত হয়ে ১৫ জুন নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী জনাব মতিউর রহমান আকন্দ ১৯ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,

“সাংবাদিক জনাব গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা নেই। আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন যাবত লক্ষ্য করে আসছি যে, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতার টুটি চেঁপে ধরার হীন উদ্দেশ্যেই সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন, গ্রেফতার, হেনস্তা করা, নিপীড়ন, গুম, হুমকি-ধমকি ইত্যাদি অপকর্ম আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে গত মে মাস পর্যন্ত গত ৫ মাসে দেশে ১০১ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গত ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত গত ১৫ মাসে ৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং ২২৬ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে কি ভয়ঙ্কর অবস্থা বিরাজ করছে।

এ সরকারের আমলে সাংবাদিক হত্যা, আহত, নির্যাতিত হওয়ার কোনো ঘটনারই আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত এ পর্যন্ত ৯৮ বারের মত পিছিয়েছে। সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার কারণেই বারবার এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের পরিবার-পরিজন তার হত্যার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিচ্ছে। এ থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী তা জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

সাংবাদিক জনাব গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”