বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সকল মানুষ একমুখী হয়ে গেছে। মানুষ একদিন জেগে উঠবে। জাতিকে মুক্তি দিতে হলে আন্দোলন সংগ্রামের আহবানে সাড়া দিতে হবে”।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার জেলা রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ রমজান আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ নাজমুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও মোমেনশাহী অঞ্চল পরিচালক ডঃ মুহাম্মদ ছামিউল হক ফারুকী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি শামছুল আলম সেলিম, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক কাজী সাইফুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জেলা সভাপতি খালেদ হাসান জুম্মন, মাওঃ ছানাউল্লাহ ,এডভোকেট মুসলেহউদ্দিন সুমন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আকন্দ বলেন, “বিগত দিনে জামায়াত বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে। জামায়াত নেতারা কখনো আপোষ করেনি। শহীদ হওয়ার পর জামায়াত নেতারা সারা বিশ্বে সম্মানিত হয়েছে। এজন্যে জামায়াতে ইসলামী গর্বিত। জামায়াতে ইসলামীর নিকট এই দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা। জামায়াত কোন অপশক্তির কাছে আপোষ করে পথ চলবেনা।
তিনি আরও বলেন, জনগণের মাঝে ব্যাপক দাওয়াতি তৎপরতা চালাতে হবে। পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক, পেশাজীবী মহলে ব্যাপক দাওয়াতি কাজ করতে হবে। আমাদেরকে হতাশ হলে চলবে না কারণ এদেশের মানুষ ইসলামকে ভালোবাসে। জামায়াত ও দেশকে ভালবাসে। আমাদেরকে সংগঠন শক্তিশালী ও মজবুত করা, কল্যাণমূলক কাজ করার মাধ্যমে মানুষকে আপন করে নিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন দুই ভাগে বিভক্ত করে অনুষ্ঠিত হয়। ২য় অংশে উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোঃ আজিজুল হক, এম এইচ লোকমান, এস এম ইউসুফ, মোঃ কামরুল ইসলাম, মাওঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
