২২ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০৫

ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য রুকনদের জানমালের সর্বোচ্চ কুরবানী করে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

-মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশকে একটি ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ কল্যাণ রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য রুকনদের জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করতে হবে। রুকনদের জ্ঞানগত যোগ্যতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। কুরআনের বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস শরীফ, ইসলামী সাহিত্য গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে হবে, নোট করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি রুকনদের আকর্ষণীয় ব্যবহার, সৎ চরিত্রবান, কথায় ও কাজে মিল রাখা, শান্ত ও ভারসাম্যপূর্ণ মেজাজের অধীকারী হওয়া, গীবত, রাগ, অহংকার পরিহার করার এবং সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে সেবামূলক কাজ করার কথা বলেন। পরিশেষে তিনি বলেন, জামায়াতে নামাজ আদায়, তাহাজ্জুত নামাজ, নফল রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। ”

২২ মার্চ শুক্রবার ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি.এম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এম.পি) এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। ফরিদপুর অঞ্চলের টীম সদস্য প্রফেসর অব: আব্দুত তাওয়াব, শামসুল ইসলাম আল বরাটী, রাজবাড়ী জেলা আমীর জনাব এ্যাড. মোঃ নূরুল ইসলাম ও ফরিদপুর জেলা আমীর জনাব মাওলানা বদর উদ্দিন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ দেলোয়ার হুসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম বলেন, “দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে বিপদ-আপদ আসবে। অধৈর্য হওয়া যাবে না। নবী-রাসূল (সাঃ) এর জীবন বিপদসঙ্কুল ছিল। চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে ইনশাল্লাহ এদেশে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্টা হবে।”

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এম.পি) বলেন, “সাহাবারা দ্বীনের পাগল ছিলেন। তাই স্বল্প সংখ্যক সাহাবাদের দ্বারা দ্বীনের বিজয় ঘটেছিল। জাহেলী সমাজ পরিবর্তন করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। রুকনদের গভীর জ্ঞান অর্জন, নিজেকে তাযকিয়া করা, নিজেকে আল্লাহর রঙে রঙ্গিণ করতে হবে।”

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “ঘরের বাইরে দাওয়াতি কাজের সাথে সাথে রুকনদের পরিবারের সদস্যদের দ্বীনের অনুসারী করে গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।”