২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:৩৪

গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠিত

সরকারের সকল অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, "আল্লাহর হুকুম হলো তাঁর গোলামী করা, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা, আত্মীয়তার হক আদায় করা। একজন মুসলমানের কাজ হলো অন্যান্য মানুষকে মানুষের গোলামী থেকে বের করে আল্লাহর গোলামীর জন্য তৈরি করা। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ পুরোপুরি আল্লাহর আনুগত্য করতে পারছে না। তাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কাজ হলো ইসলামী হুকুমাত কায়েমের চেষ্টা করা।

২৬ ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ ঘটিকায় গাইবান্ধা জেলা জামায়াত আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাইবান্ধা জেলা আমীর আব্দুল করিম সরকারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার ও জেলা নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল ওয়ারেছ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাতের ভোটের সরকার যেভাবে মেকি নির্বাচন করছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এমতাবস্থায় কুরআনের আইন চালু হোক এই ব্যাপারে যদি গণভোটের আয়োজন করা হয় তাহলে অবশ্যই কুরআনের আইন পাশের পক্ষে ভোট আসবে। অতীতে মাওলানা নিজামী (রাহি), মাওঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রাহি) কুরআনের আলোকে সমাজ বিনির্মাণে অনেক ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পার্লামেন্টে সদস্যবৃন্দ এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীবৃন্দ যাতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে না পারেন সেজন্য সরকার অনৈতিকভাবে রায় দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের নির্বাচন হতে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন।

সহযোগী সদস্যদের মৌলিক কিছু কাজের ব্যাপারে তিনি বলেন, নিয়মিত কুরআন অর্থসহ পড়ার জন্য আমাদের আন্তরিক হতে হবে। আল্লাহর পথে অর্থ খরচ করার ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে। বিশেষ করে কুরআনের দাবি অনুযায়ী ২ ভাগ ওয়ারিশদের জন্য আর আল্লাহর পথে ১ ভাগ খরচ করার প্রস্তুত হতে হবে। বৈঠকাদিতে অংশগ্রহণ করতে হবে, অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী পরিচিত মহলে দাওয়াত পৌঁছানো হবে। অনাহারী মানুষকে খাবার দিতে হবে। বেশি বেশি সালামের প্রচলন করা, রাতের আঁধারে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নিজের কথাগুলো আল্লাহর কাছে পেশ করা। আমরা যারা আরামের মৃত্যু চাই তাদের শহীদি মৃত্যু কামনা করবো। শহীদি মৃত্যু ছিল রসূল (সঃ) এর চাওয়া। আর জেল হচ্ছে নবী রাসূল সঃ এর সুন্নাত। আল্লাহ আমাদের আজকের আলোচনা কবুল করুক, একসাথে ময়দানে কাজ করার তাওফীক দিক, জেলে অবরুদ্ধ ভাইদেরকে আল্লাহ বের হয়ে আসার তাওফীক দান করুন।

বিশেষ অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে প্রতিটি সেক্টরে নগ্নথাবা দিয়েছে বিশেষ করে শিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের যৌন শিক্ষা দেয়ার যে কৌশল নিয়েছে তা কোনো মানুষের কাম্য নয়। দীনি শিক্ষাকে কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। মানুষের উপর দায়িত্ব হলো দ্বীন কায়েমের দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু মানুষ তার দায়িত্ব ভুলে যাচ্ছে। এ দায়িত্ব ভুলে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই সহযোগী সদস্যদের প্রতি বিনীত আহ্বান দেশের এই ক্রান্তিকালে ময়দানে সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে।