২৩ আগস্ট ২০১৭, বুধবার, ১:১৮

বিমানের ক্যাপাসিটি লসে এক হাজার হজ্বযাত্রীর ফ্লাইট অনিশ্চিত

হজ্বযাত্রী পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৬ আগস্টের পরে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত অতিরিক্ত ১২ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সৌদি আরবে আবেদন করে এখনও অনুমোদন পায়নি। তবে আশা ছাড়েনি বিমান। অতিরিক্ত এসব ফ্লাইটের অনুমোদন না পেলে বিমানের পক্ষে প্রায় এক হাজার হজ্বযাত্রী বহন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ। সে সেক্ষেত্রে এসব হজ্বযাত্রীদেরকে অন্য কোন পরিবহনে দিয়ে দেয়া হবে কি না? এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে ২৬ আগস্টের মধ্যে ব্যবহারের জন্য আরও ২টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে বিমান।

সূত্রমতে, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই চাপ বাড়ছে। বিমানের যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। এদিকে এজেন্সিগুলোও শুরুর দিকে ফ্লাইট নিশ্চিত না করায় এখন অনেকেই বিমানের সিট পাচ্ছে না। হজ্বযাত্রীরা মানসিক চাপে রয়েছে। অনেকে ঢাকায় এসে অপেক্ষা প্রহর গুণছে আর নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বিমান সূত্র জানায়, এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্বে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সৌদি আরব গিয়েছেন ৯৪ হাজার ৪১০ জন হজ্বযাত্রী। ৯৯৩ জন হজ্বযাত্রীর ভিসার আবেদন জমা দেয়নি হজ্ব এজন্সিগুলো। সে হিসেবে ৬৩ হাজার ১০২ জন হজ্বযাত্রী বহন করবে বিমান। হজ্ব পরিচালনার জন্য ২০৩টি ফ্লাইটের মধ্যে ১৪২টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। এসব ফ্লাইটে ৪৭ হাজার ৭৯৫ জন বহন করেছে। বাতিল হয়েছে ২৪টি হজ্ব ফ্লাইট। বাকি রয়েছে ৩৭টি হজ্ব ফ্লাইট। এই ৩৭টি হজ্ব ফ্লাইটে ১৪ হাজার ৪২ জন হজ্ব যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বিমান। ২৬ আগস্টের মধ্যে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পাওয়া ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারলে যেতে পারবেন আরও ৮৩৮ জন হজ্বযাত্রী। বাতিল হওয়া ২৪টি হজ্ব ফ্লাইটের যাত্রীসহ বিভিন্ন কারণে ১৪ হাজার ৭৬৩ জন হজ্ব যাত্রী বিমানে যেতে পারেননি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২২ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট ৩৮টি হজ্বফ্লাইট পরিচালনা করবে। যদিও ২৮ তারিখ পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের কাছে আবেদন করলেও অনুমতি পায়নি বিমান। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করলে বিমানের পক্ষে এক হাজার হজ্বযাত্রীকে পরিবহন করা সম্ভব হবে না।

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বিমান সাধ্যমতো চেষ্টা করছে সকল হজ্বযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছাতে। হজ্বফ্লাইট ঠিক রাখতে নিয়মিত বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সব যাত্রী পরিবহনের জন্য সৌদি আরবের কাছে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সে বিষয়ে ইতিবাচক কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে আমরা আশা করছি, বুধবারের মধ্যে অনুমতি পাওয়া যাবে।’

http://www.dailysangram.com/post/297164