৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার

বাংলাদেশে বিদেশীদের চাকরির আবেদনে বিডার অনুমোদন

বছরে অনুমোদন ২০-২২ হাজার, প্রকৃত সংখ্যা কেউ জানে না

দেশের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশীদের ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানে বিদেশী

দেশের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশীদের ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানে বিদেশী কর্মীদের নিয়োগ পেতে সংস্থাটির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বিডায় সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কতজন বিদেশী ওয়ার্ক পারমিট চেয়ে আবেদন করেছে, সে তথ্য এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এ সময় দেশে কাজের অনুমোদন পাওয়া বিদেশীর সংখ্যা ২০-২২ হাজার।

এখন পর্যন্ত কাজের অনুমতি পাওয়া বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে বৃহদংশই ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও চীনের নাগরিক। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত অন্যান্য বিদেশীর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক এসেছেন থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, তুরস্ক, মরিশাস, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশে রুশ নাগরিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে কতজন কোন খাতে বৈধ বা অবৈধভাবে কাজ করছেন, সে বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থা বা সংগঠনের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের দ্রুত বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে সরকার। গতকালই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। এতে বাংলাদেশে অবৈধভাবে কাজে নিয়োজিত বিদেশীদের দ্রুত বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সূত্রে সরকার অভিযোগ পেয়েছে যে অনেক ভিনদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তারা অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। যেসব বিদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত আছেন, তাদের অবিলম্বে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি চলমান কর্মপ্রক্রিয়ার একটি অংশ। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিষয়টি এখন কী অবস্থায় আছে তা খতিয়ে দেখতে চাচ্ছে সরকার। এ ইস্যুতে নতুন করে কোনো মূল্যায়ন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এর আগে কোনো কাজ হয়েছে কিনা বা কতটুকু হয়েছে, তার সঙ্গে নতুন করে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তির সংযোগের জায়গাটিও পর্যালোচনা সাপেক্ষেই বলা সম্ভব।’

বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেননি বিডা সংশ্লিষ্টরাও। যোগাযোগ করা হলে বিডার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদেশীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পেরেছি। চলতি মাসের শেষাংশে গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বিডার পক্ষ থেকে যে সুপারিশগুলো করা হয়, তার ধারাবাহিকতায় নতুন করে উদ্যোগ নেয়া হতে পারে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বিগত সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ নিয়ে একটি সভা হয়েছিল। সে সময় কিছু সুপারিশ উঠে এসেছিল। কিন্তু সেসব সেগুলোর কোনো অগ্রগতি হয়নি।’

বিডার তথ্যমতে, বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের ওপর বিদেশী কর্মী নিয়োগে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা নেই। কারিগরিভাবে দক্ষ বিশেষজ্ঞ ও ব্যবস্থাপকের প্রয়োজনে শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিদেশী কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। আর রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) বাইরে স্থাপিত শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় কাজ করতে গেলে বিদেশীদের বিডার অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। যারা অনুমোদন পেয়েছেন, তারা মূলত বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে কাজের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের মধ্যে ১৬ হাজার ৩০৩টিতে অনুমোদন দেয়া হয় বলে বিডার পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ১২৮, ২০২০-২১-এ ছিল ৮ হাজার ৭৬।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ২০২০ সালে করা এক গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে, যার মধ্যে ভারত ও শ্রীলংকার নাগরিকই বেশি। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক এনজিও, চামড়া শিল্প, চিকিৎসাসেবা এবং হোটেল ও রেস্তোরাঁয়ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশী কাজ করছেন। ২০২০ সালে এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ১৬০টি পোশাক কারখানার ওপর এক জরিপের ফলাফলে জানিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোয় কর্মরত বিদেশীর সংখ্যা ২ হাজার ২০০।

তবে এসব খাতে এখন কতজন বিদেশী কাজ করছেন সে বিষয়ে প্রকৃত তথ্য কারো কাছেই নেই। সরকারের পক্ষ থেকেও এমন কোনো তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়নি বলে বিডা সূত্রে জানা গেছে।

পোশাক শিল্পে বিদেশীর সংখ্যা জানতে গতকাল পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিল্পে কর্মরত বিদেশীদের সঠিক পরিসংখ্যান সংগঠনের কাছে নেই।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পোশাক খাতে কর্মরত বিদেশীর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা সম্ভব না। আমরা এ বিষয়ে বিডার এ-সংক্রান্ত তথ্যই গ্রহণ করি। যারা অবৈধভাবে রয়েছেন তারা বিডার বা অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকেই অনুমোদন না নিয়ে অবস্থান করছেন। পোশাক শিল্পে যে বিদেশীরা রয়েছেন, তার প্রায় সবই বৃহৎ শিল্প-কারখানাগুলোয় কর্মরত। বৃহৎ এসব শিল্প-কারখানাসহ সর্বোচ্চ ৪০০-৫০০ কারখানায় বিদেশীরা কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ইপিজেডে কিছু কারখানায় অনেক বিদেশী কাজ করেন। বাংলাদেশী মালিকানাধীন কিছু কারখানায় শ্রীলংকার নাগরিক রয়েছেন। বিপণন পর্যায়ে রয়েছেন ভারতীয়রা। এছাড়া বায়িং হাউজগুলোয়ও বিদেশীরা কাজ করছেন। ওয়াশিং কারখানাগুলোয় তুরস্কের অনেক নাগরিক কাজ করেন।’
সংশ্লিষ্ট শিল্পে কর্মরত বিদেশীর সংখ্যা জানতে যোগাযোগ করা হলে একই ধরনের মত দিয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিসংশ্লিষ্ট সংগঠন এলএফএমইএবি।

বিডা সূত্র জানিয়েছে, সমন্বিত কোনো তথ্যভাণ্ডার না থাকায় বিজনেস ভিসা (বি-ভিসা) ও ট্যুরিস্ট ভিসায় (টি-ভিসা) আসা বিদেশীরা কাজের অনুমতি না থাকলেও কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দেশে অবস্থান করতে পারার সুযোগ নিচ্ছেন। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে অবস্থান করে কাজ করলে আয়কর প্রদান ও কাজের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। এ-থ্রি ভিসায় বহু বিদেশী বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করলেও ২০০৬ সালে প্রণীত ভিসা নীতিমালায় কাজের অনুমতি গ্রহণের শর্ত না থাকায় এ-থ্রি ভিসাধারীরা কাজের অনুমতি নেন না। এতে তাদের জন্য আয়কর ফাঁকি দেয়া সহজ হয়।

এভাবে অবৈধ পন্থায় বিদেশীদের অবস্থানের কারণে স্থানীয় কর্মীদের চাকরির সুযোগ সংকুচিত হয়। অনুমতি ছাড়া যারা কাজ করেন তারা নগদে বেতন-ভাতা গ্রহণ করে অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাঠান। মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসায় অবস্থানরত বিদেশীদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত হতে দেখা গেছে। এসব সংকট নিরসন করে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন ইন্টার-অপারেবল তথ্যভাণ্ডার তৈরির সুপারিশ রয়েছে বিডার।

সংস্থাটির মতে, এ তথ্যভাণ্ডারে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিডা, বেপজা, বেজা, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো, এনএসআই, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রবেশযোগ্যতা থাকতে হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে ইন্টার-অপারেবল তথ্যভাণ্ডারকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশী মিশনগুলোর ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়াটিও যেন অনলাইন ও অটোমেটেড করা হয়।

সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সরকার কোনো বিদেশীকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করতে দেবে না। সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকালের বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দেশে অবৈধভাবে কেউ থাকতে পারবে না। কোনো দেশেরই অবৈধ নাগরিককে বাংলাদেশে থাকতে দেব না। এটি হঠাৎ করে নেয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টিও জড়িত নয়। এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। অবৈধ বিদেশীদের বিষয়ে আমরা পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। কোনো বিদেশীকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেয়া হবে না।’

কোন দেশের কত নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কতজন আছে, সে পরিসংখ্যান এখন আমাদের কাছে নেই। থাকলে বলে দিতাম এতজন আছে। অনেক দেশেরই আছে, আমি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না।’

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিগত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক বিদেশী নাগরিক কর্মরত। তাদের অনেকেরই কাজের অনুমতি নেই। কিন্তু এ বিদেশীদের হাত ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আবার কর ফাঁকির কারণে রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পাশাপাশি সংকুচিত হচ্ছে স্থানীয়দের কাজের সুযোগ।

সে সময় প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে অবস্থানরত বিদেশীদের একটি পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। তাতে দেখা যায়, দেশে অবস্থানরত বিদেশীদের সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৭। তাদের বেশির ভাগই ভারত ও চীনের নাগরিক।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের বরাত দিয়ে ওই সময় আরো জানানো হয়, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানরত বৈধ বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৭। এর মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগসংক্রান্ত ভিসায় এসেছেন ১০ হাজার ৪৮৫ জন, এমপ্লয়ি ভিসায় ১৪ হাজার ৩৯৯, স্টাডি ভিসায় ৬ হাজার ৮২৭ ও ট্যুরিস্ট ভিসায় এসেছেন ৭৫ হাজার ৪৫৬ জন। সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ভারতীয় নাগরিক, ৩৭ হাজার ৪৬৪ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনের নাগরিক রয়েছেন ১১ হাজার ৪০৪ জন। ফেব্রুয়ারির ওই সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দেশে অবৈধ বিদেশীর সংখ্যা জানতে চাইলে তা আনুমানিক চার-পাঁচ লাখ হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

https://bonikbarta.com/bangladesh/TNi93StC0uL7RPug