২ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৫

করোনা পরীক্ষা

এবার কিট বাণিজ্য

যক্ষ্ণা শনাক্তের মেশিন ব্যবহারের অনুমোদন!

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার কিট নিয়ে এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রায় ১০ লাখ কিট আমদানি করা হয়েছে। এই কিট বাণিজ্যেও সক্রিয় রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চক্রটি ১২ থেকে ১৫ ডলার মূল্যের প্রতিটি কিট ২৭ থেকে ৩২ ডলারে বিক্রি করছে। কিট সংকটের কারণে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতেও ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ নিয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসার বাইরে থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঝুঁকি বাড়ছে। অনেকে বাসাবাড়িতে মৃত্যুবরণ করছেন। কিট সংকটের কারণে অনেকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট মিলছে মৃত্যুর পর। এর মধ্যেই নতুন করে জেনেক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যক্ষ্ণা শনাক্তকরণ মেশিনের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি চক্র চেষ্টা করেও সফল হচ্ছিল না। কারণ বিশেষজ্ঞ কমিটি বৃহৎ পরিসরে এই মেশিনের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষায় সম্মতি দিচ্ছিলেন না। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এই মেশিনের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পরই ওই চক্রটি নমুনা পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে বাণিজ্যের ছক কষতে শুরু করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, আপাতত দাতা সংস্থার অর্থায়নে প্রায় ৩০ হাজারের মতো কিট আমদানি করা হয়েছে। এরপর আরটিপিসিআর মেশিনে ব্যবহূত কিটের মতো সরকারিভাবে এই কিট ক্রয় করা হবে। এই কিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ ডলার। যদিও বাজারে এর দাম অনেক কম। এই কিট ক্রয়ের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা ওই চক্রটির পকেটে যাবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিই এ মেশিনের জন্য কিট তৈরি করে। ফলে তাদের এজেন্টরা একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাবে।

করোনা সংক্রান্ত কেনাকাটার এই দুর্নীতির সঙ্গে জাতীয় যক্ষ্ণা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলামের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ১৪৫ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বাণিজ্যেও তিনি জড়িত। তার এনটিপি কর্মসূচি থেকে ৬০ জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যে সময় ওইসব টেকনোলজিস্টের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সে সময় অনেকে কাজে যোগদানও করেননি। অথচ তারা চাকরির চূড়ান্ত তালিকায় আছেন। অভিযোগ উঠেছে- কেনাকাটা ও নিয়োগ বাণিজ্যের পর ওই কর্মকর্তাই এবার কিট নিয়েও বাণিজ্যে নেমেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানায়, দেশব্যাপী বিস্তৃত সংক্রামক ব্যাধি যক্ষ্ণার পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাদ দিয়ে অধ্যাপক শামিউল করোনার নমুনা পরীক্ষায় বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। দেশে করোনা সংক্রমণের পর এপ্রিল মাসের শুরল্ফম্নতেই যক্ষ্ণা শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য সারাদেশে স্থাপিত ২৫০টি জেনেক্সপার্ট মেশিন করোনার নমুনা পরীক্ষায় ব্যবহারের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্টত্মাব পাঠান। এর পেছনে রয়েছে কিট বাণিজ্য। বিষয়টি বুঝতে পেরে কর্তৃপক্ষ তার ওই প্রস্তাব আমলে নেননি। এর পরও পিছু হটেননি তিনি। তার আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে জেনেক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। এ কারণে এতদিন প্রক্রিয়াটি ঝুলে ছিল। তবে গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জেনেক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। এর পরই প্রাথমিকভাবে ১০টি মেশিনের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

জেনেক্সপার্ট মেশিন ব্যবহারের জন্য দাতা সংস্থার মাধ্যমে এরইমধ্যে ১০ হাজার কিট অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। আরও ২০ হাজার কিট অনুদান পাওয়া যাবে। এর পরই কয়েক লাখ কিট ক্রয়ের প্রস্তাব করা হবে। এ বিষয়টি টার্গেট করেই ওই চক্রটি এগোচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।

জেনেক্সপার্ট মেশিন ব্যবহারের জন্য দাতা সংস্থার মাধ্যমে এরই মধ্যে ১০ হাজার কিট অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। আরও ২০ হাজার কিট অনুদান পাওয়া যাবে। এর পরই কয়েক লাখ কিট ক্রয়ের প্রস্তাব করা হবে। এ বিষয়টি টার্গেট করেই ওই চক্রটি এগোচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।

জেনেক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষার সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত কমিটির এক সদস্য সমকালকে বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর মেশিন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এর বাইরে র‌্যাপিড কিটসহ অন্যান্য পদ্ধতি তেমন সফল নয়। জেনেক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষায় সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়। একটি মেশিনে একসঙ্গে চারটি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। এতে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। জেনেক্সপার্ট মেশিনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের প্রয়োজন হয় এবং একটি মেশিন দিনে আট ঘণ্টার বেশি চালানো সম্ভব নয়। এ হিসাবে একটি মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩২টির বেশি নমুনা পরীক্ষা যায় না। অন্যদিকে একটি আরটিপিসিআর মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এছাড়া জেনেক্সপার্ট মেশিন করোনার নমুনা পরীক্ষায় ব্যবহার হলে যক্ষ্ণা রোগীরা সেবাবঞ্চিত হবেন। এসব বিষয় বিবেচনা করেই জেনেক্সপার্ট মেশিনে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদনের পক্ষে অধিকাংশ সদস্য মত দেননি।

কমিটির অন্যতম সদস্য ও আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সমকালকে বলেন, স্ট্র্রোক কিংবা ডায়ালাইসিসসহ জটিল রোগীর ক্ষেত্রে দ্রুত শনাক্তকরণের জন্য জেনেক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনার পরীক্ষা করা যেতে পারে। কারণ এসব রোগীর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ কারণে সীমিত পরিসরে এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে বৃহৎ পরিসরে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। কারণ একটি মেশিনে দৈনিক ৩২টি পরীক্ষা করা সম্ভব। বরং আরও আরটিপিসিআর মেশিন বাড়িয়ে নমুনা পরীক্ষার পরিধি বাড়ানোর পক্ষে মত দেন তিনি।

ঝুঁকিতে পড়বে যক্ষ্ণা রোগীরা : বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে যক্ষ্ণা রোগ ছড়িয়ে পড়া, শহরাঞ্চলে নিম্নবিত্ত ও ভাসমান জনসংখ্যা এবং ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্ণা রোগী বৃদ্ধি, জিন এক্সপার্ট মেশিনের অপ্রতুলতা এবং নতুন কার্যকর ওষুধের অভাবের কারণে যক্ষ্ণা রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। বিশেষ করে ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্ণাপ্রবণ ২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বশেষ ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশে তিন লাখ ৫৭ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্ণা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যু হচ্ছে ৫৯ হাজার মানুষের। গত এক বছরে যক্ষ্ণা রোগী সন্দেহে প্রায় ২৫ লাখ মানুষকে পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়।

বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. সাইদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, জেনেক্সপার্ট মেশিন করোনা রোগীর নমুনা শনাক্তকরণে ব্যবহূত হলে যক্ষ্ণা রোগীরা সংকটে পড়বে। এমনিতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে প্রতিবছর হাজার হাজার যক্ষ্ণা রোগী শনাক্তকরণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ সংকট আরও বাড়বে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্নিষ্টদের আরও চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দেন তিনি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক শামিউল ইসলাম সমকালকে বলেন, জেনেক্সপার্ট মেশিনের মধ্যে ১৬ মডিউলের ২০টি এবং চার মডিউলের ২৩০টি মেশিন রয়েছে। ১৬ মডিউলের মেশিনে মাধ্যমে ঘণ্টায় ১৬টি করে এবং চার মডিউলের মেশিনের মাধ্যমে ঘণ্টায় চারটি করে টেস্ট করা যাবে। এতে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৯ হাজারের মতো পরীক্ষা করা যাবে। তবে আমরা প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।

গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে কিট আমদানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমে ১০ হাজার কিট পাওয়া গেছে। এরপর ধাপে ধাপে ৩০ হাজার এবং ৭০ হাজার করে মোট এক লাখ ১০ হাজার কিটের চাহিদা গ্লোবাল ফান্ডের কাছে দেওয়া হয়েছে। টিবি ও ম্যালেরিয়া কর্মসূচির জন্য গ্লোবাল ফান্ডের বরাদ্দ থেকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ করোনা রোগীদের জন্য ব্যয়ের বিষয়ে তাদের সম্মতি নেওয়া হয়েছে। এরপরই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

সরকারিভাবে এই মেশিনের কিট ক্রয় করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে বলতে পারবেন। এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে মতামত নিলেই ভালো হয়। সরকার না কিনলে দাতা সংস্থার কাছ পাওয়া কিট দিয়েই পরীক্ষা করা হবে। জেনেক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হলে যক্ষ্ণা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটবে না বলে মনে করেন তিনি।

আরটিপিসিআর কিট নিয়েও সিন্ডিকেট :এদিকে কিট মজুদের তথ্য নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ সংক্রমণের এই সময়ে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দূরের কথা, বর্তমানে যে পরিমাণ পরীক্ষা হচ্ছে কিট সংকটের কারণে তাও হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এই সংকটের কারণে ১৮ জুন থেকে নারায়ণগঞ্জের খানপুর তিনশ' শয্যা হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। একই কারণে ১৭ তারিখ থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ আছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুরসহ সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালেও কিট সংকটের কারণে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৯ দিন আগে নমুনা দিয়েও এখনও রেজাল্ট জানতে পারেননি পাঁচ ব্যক্তি। ওই পরিবারের এক সদস্য একটি গণমাধ্যমের কর্মী। গতকাল তিনি সমকালকে বলেন, ৯ দিন আগে করোনা পরীক্ষার জন্য তারা নমুনা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রেজাল্ট পাননি। কিন্তু তাদের প্রত্যেকের জ্বরসহ করোনার উপসর্গ রয়েছে। নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট না পাওয়ায় তারা পরবর্তী চিকিৎসা নিতে পারছেন না। ওই সাংবাদিকের মায়ের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি কিট বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর একটি বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এরপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র সমকালকে জানায়, নমুনা পরীক্ষার কিটের বাণিজ্য মূলত চারটি প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরই একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওই গ্রুপটি কিট নিয়ে বেপরোয়া বাণিজ্য করছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি মূল্যে তারা কিট সরবরাহ করে চলেছে। করোনার নমুনা পরীক্ষা মূলত এই চার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, নমুনা পরীক্ষার জন্য সর্বশেষ ক্রয় করা ২১টি আরটিপিসিআর মেশিন ২০০৯ সালের পুরোনো মডেলের। ওই মেশিনের কিট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। চাহিদা থাকার পরও এসব মেশিনের কিট সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে পরীক্ষাও হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে গড়ে প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে; কিন্তু কিট সংকটের সমাধান না হলে এই সংখ্যা কমে যাবে।

কিটের বিষয়টি দেখভাল করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা। তিনি সমকালকে বলেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির বাইরে আরও কয়েকটি কোম্পানি থেকে কিট নেওয়া হবে। সিএমএসডি কিছু নতুন প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশও দিয়েছে। আরও অনেক আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, যাতে একচেটিয়া বাণিজ্য না হয়। কিট নিয়ে কোনো সংকট নেই দাবি করলেও কী পরিমাণ কিট মজুদ আছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।

https://samakal.com/bangladesh/article/200728941/