করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরো চার চিকিৎসক মারা গেছেন। দেশে এ নিয়ে করোনাক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চিকিৎসকের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়াল। সর্বশেষ ঢাকায় দু’জন ও চট্টগ্রামে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান রাজধানীর আল-মানার হাসপাতালের পরিচালক ও ডায়াবেটিস স্পেশালিস্ট ডা: মো: সাইফুল ইসলাম। আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাত ১২টার দিকে মারা গেছেন চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারির চিকিৎসক (অবসরপ্রাপ্ত) ডা: শহিদুল আনোয়ার। বুধবার রাতে তিনিও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চমেক অধ্যক্ষ ডা: শামীম হাসান বলেন, ‘চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: শহিদুল আনোয়ার চমেকের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ডা: ইউনুস আলী খান। ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা: রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করার পর ডা: ইউনুস আলী খান গত ৫০ বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে নিজ এলাকায় মানবসেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ডা: ফিরোজা বেগম। তার স্বামী ডা: শফিকুর রহমানও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজের (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা: রাহাত আনোয়ার চৌধুরী জানান, ডা: ফিরোজা বানু মিনু রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ১৪তম ব্যাচের ছাত্রী। করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার স্বামী ডা: শফিকুর রহমান রুনু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও কনসালটেন্ট। তিনিও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এফডিএসআরের হিসাব অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫১ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো আট চিকিৎসক।
