ফেরত পাওয়ার পর হালুয়াঘাট সীমান্তে নিহত জলিলের লাশ : নয়া দিগন্ত
২৬ জুন ২০২০, শুক্রবার, ৩:৩৭

৩ দিন পর বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ফেরত পাওয়ার পর হালুয়াঘাট সীমান্তে নিহত জলিলের লাশ : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশী আব্দুল জলিলের লাশ তিন দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া তিনটায় গোবরাকুড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন নো ম্যান্স ল্যান্ডে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ১১২৪ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।

বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গোবরাকুড়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার হারুন অর রশিদ, কড়ইতলী কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল মজিদ, হালুয়াঘাট থানার ওসি তদন্ত আবুবকর সিদ্দিক, সাব ইন্সপেক্টর খোকন চন্দ্র সরকারসহ বিজিবি এবং বিএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএসএফের শতাধিক সদস্য সীমান্তে মোতায়েন ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে ডাক্তার সঙ্কট থাকায় ময়নাতদন্ত করতে দেরি হওয়ায় লাশ হস্তান্তর করতে বিলম্ব হয়েছে বলে বিএসএফ জানায়।

হালুয়াঘাট থানার ওসি তদন্ত আবু বকর সিদ্দিক লাশ গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। নিহত আব্দুল জলিল হালুয়াঘাট উপজেলার পশ্চিম গোবরাকুড়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন জলিল গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ অনাকাক্সিক্ষত হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও কিন্তু লাশ ফেরত বা শনাক্ত করতে দেয়নি। বরং ময়নাতদন্তের পর লাশ দেয়ার কথা জানিয়ে বৈঠক শেষ করে। ওই বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তৌহিদ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনার কথা বলেন এবং পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/511069/