২৩ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ১:০৫

'আসল' রেড জোনে নেই লকডাউন!

করোনা থেকে মুক্তির পর অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য সোমবার নমুনা দেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা - কাজল হাজরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে উচ্চ সংক্রমিত ১০ জেলার 'রেড জোনে' আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে এসব এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন শুরু হলেও গত রোববার রাতে এ-সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই আদেশে ১০ জেলার ২৭ এলাকাকে 'রেড জোন' হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে ২১ দিন সাধারণ ছুটি কার্যকর থাকবে। তবে উচ্চ সংক্রমিত রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বেশকিছু এলাকা বাদ রেখে শুরুতেই কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লকডাউন দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যানুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে এক লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। তবে ঢাকাকে বাদ দিয়ে দেশের ১০ জেলাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও মাদারীপুরের রেড জোনে লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অথচ অধিক সংক্রমিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, ফরিদপুর, বরিশালসহ অনেক জেলায় এটি কার্যকর করা হয়নি।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে বাদ রেখে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লকডাউন দেওয়ায় এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জনস্বাস্থ্যবিদ ও স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, করোনা বিস্তার রোধে আগে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে লকডাউন দিতে হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকাগুলোকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে। অপেক্ষাকৃত কম এলাকায় আগে লকডাউন দেওয়ার ঘটনায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যেসব এলাকায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোকে শুরুতে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ধাপে ধাপে অন্য এলাকাগুলোকেও এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

ঢাকাসহ বহু উচ্চ ঝুঁকির এলাকা এখনও মুক্তভূমি :ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মোট ৪৫টি এলাকাকে 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা আছে। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ১১টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। এর বাইরে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার একাধিক উপজেলাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে লকডাউনের মধ্যে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ ছাড়া এসব এলাকার নাম নেই।

ঝুঁকিপ্রবণ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, উত্তরা ও মিরপুর এলাকায় লকডাউন দেওয়া হয়নি।

রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন দেওয়া চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৫৮৫ জন। কুমিল্লায় আক্রান্ত ২ হাজার ৪৭১ জন। রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় আক্রান্ত ২ হাজার ৮৫ জন।। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলায় রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত মাত্র ১৭৯ জন। যশোরে আক্রান্ত ৩১৪ জন। অথচ খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় ৮০০ এবং কুষ্টিয়ায় ৩০৭ জন আক্রান্ত আছেন। সংক্রমণ বেশি থাকা এ দুই জেলাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত দুই জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে।

সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মৌলভীবাজারে আক্রান্ত ২৬৫ জন। হবিগঞ্জে আক্রান্ত ২৭৬ জন। অথচ এই বিভাগের সিলেট জেলায় এক হাজার ৮১৪ এবং সুনামগঞ্জে ৭৮৮ জন আক্রান্ত থাকলেও রেড জোনের আওতায় আনা হয়নি। অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।

ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত ৪ হাজার ৭০০ জন। মুন্সীগঞ্জে আক্রান্ত এক হাজার ৬৬১ জন। অথচ মুন্সীগঞ্জের তুলনায় অধিক সংক্রমিত এই বিভাগের ঢাকা জেলায় ২ হাজার ৮০৫ জন, গাজীপুরে ২ হাজার ৫১১ জন থাকার পর লকডাউন কার্যকর করা হয়নি।

এই বিভাগের মাদারীপুরে আক্রান্ত ৬০৮ জন, এখানে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর চেয়ে অধিক সংক্রমিত কিশোরগঞ্জে এক হাজার ২২৫ জন, নরসিংদীতে এক হাজার ২৪০ জন, ফরিদপুরে এক হাজার ২৯৪ জন, নোয়াখালীতে এক হাজার ৭০৭ জন, কক্সবাজারে ২ হাজার ৪৭ জন, বরিশালে এক হাজার ২২৬ জন রোগী থাকলেও সেখানে লকডাউন দেওয়া হয়নি।

আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৯ থাকলেও চুয়াডাঙ্গা জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গোপালগঞ্জে ৪৮৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫৪১ জন, ফেনীতে ৬৫৩ জন, চাঁদপুরে ৫৬৫ জন, রংপুরে ৭৯০ জন এবং দিনাজপুরে ৫০৭ জন, নীলফামারীতে ২৯৮ জন, গাইবান্ধায় ২১১, জামালপুরে ৪৭০, নেত্রকোনায় ৩৮১, পাবনায় ২৭২, সিরাজগঞ্জে ২৬৮, রাজশাহীতে ২৬১, জয়পুরহাটে ২৫৫, নওগাঁয় ২৩৯, শেরপুরে ১৯৭, পটুয়াখালীতে ২৪২, ভোলায় ১৮৮ জন আক্রান্ত হলেও লকডাউন হয়নি।

চড়া মাশুলের পর কার্যক্রম শুরু : গত ১ জুন মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাদেশে একসঙ্গে লকডাউন না করে সংক্রমণের হার বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এই তিন জোনে ভাগ করে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার ২১ দিনের মাথায় গত রোববার দেশের চট্টগ্রাম, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোর ও মাদারীপুরের ২৭ এলাকার রেড জোনের আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয় সরকার। গতকাল মধ্যরাত থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই ২২ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৬৩৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৫২ জন। আর ৩১ মে পর্যন্ত ৪৭ হাজার ১৫৩ জন আক্রান্ত এবং ৬৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আরও প্রায় দেড়গুণ মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর লকডাউন কার্যক্রম শুরু হলো।

ঢাকায় লকডাউন অনিশ্চিত : মোট আক্রান্তের ৫৬ শতাংশের বেশি রাজধানী ঢাকায় হলেও এখানে লকডাউন কার্যকরের খবর নেই। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত ঢাকার ৪৫ এলাকায় কবে নাগাদ এই লকডাউন কার্যকর হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা। জোন ম্যাপিং ছাড়া ঢাকায় লকডাউন কার্যকরে অস্বীকৃতি জানান ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র।

ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম সমকালকে বলেছেন, মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এই দুই এলাকার সর্বত্র সংক্রমণ সমান নয়। যেসব এলাকায় প্রতি লাখে ৬০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তা চিহ্নিত করে দেওয়ার পর তারা লকডাউনের পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগ আজও তা চিহ্নিত করতে পারেনি।

স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্র সমকালকে জানায়, জোনভিত্তিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমে এলাকাভিত্তিক ম্যাপিং শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আক্রান্ত অনেককে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অনেকের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক হাজার ব্যক্তির ঠিকানার ঘরে শুধু ঢাকা লেখা রয়েছে। এ অবস্থায় মোবাইল ট্র্যাকিং করে অ্যাপসের মাধ্যমে আক্রান্তদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই অ্যাপসের মাধ্যমে কার্যকর ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় অ্যানালগ পদ্ধতিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হলে কয়েক বছর লেগে যাবে। সুতরাং, আপাতত ম্যাপিং করে এলাকাভিত্তিক লকডাউনসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোও এ বিষয়ে মুখ খুলছে না।

রেড জোন দ্রুত কার্যকরের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের : রাজধানী ঢাকাসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত রেড জোনে দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি সমকালকে বলেন, সারাদেশে সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি থাকা সত্ত্বেও ঢাকার রেড জোনগুলোতে এখনও লকডাউন কার্যক্রম শুরু করতে না পাড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জোন ম্যাপিং নিয়ে এখন যা বলছেন তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। সুনির্দিষ্ট ঠিকানা না পাওয়া কিংবা মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকা নিয়ে তাদের বক্তব্য প্রমাণ করে শুরু থেকে তারা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেননি। দায়সারা কাজ করেছেন। এখন তথ্যউপাত্ত মেলাতে পারছেন না। এই মারাত্মক অবহেলার দায় তাদেরই নিতে হবে। যেভাবেই হোক দ্রুততম সময়ে কার্যক্রমটি শুরু হোক এটি সবাই চায়। সুতরাং, সরকারকে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক সমকালকে বলেন, মহামারির এই সময়ে দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে ত্বরিতগতিতে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, ভাইরাস তো আর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে না। সুতরাং, যত দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম শুরু করা যাবে ততই তাড়াতাড়ি ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব সমকালকে বলেন, আগেও বলেছি, করোনা নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে স্বাস্থ্য বিভাগ ধীরগতিতে চলছে। স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান থাকবে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন এবং তা দ্রুততম সময়ে কার্যকর করুন। অন্যথায় বিপদ আরও বাড়বে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, জোনভিত্তিক কার্যক্রম চালুর বিষয়টি কেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার হাতে নয়। এর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, খাদ্য, স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসনসহ আরও অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যুক্ত আছেন। সুতরাং, চিহ্নিত রেড জোন এলাকায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যক্রম শুরু হবে। প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর ১০ জেলার ২৭ এলাকায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর ধাপে ধাপে অন্যান্য এলাকায়ও কার্যক্রম শুরু হবে। এই কার্যক্রম খুব দ্রুততম সময়ে শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

https://samakal.com/bangladesh/article/200627845/