২৪ মে ২০২০, রবিবার, ৩:৩৮

২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬৯৪

সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ছাড়াল ৩০ হাজার

করোনায় ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। একদিনে ২৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩২ জন। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৬৯৪ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে শনাক্তের ৭৬তম দিনে দেশে মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ২০৫ জন। সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৮ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ১৯০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত একদিনে দেশের ৪৭টি ল্যাবে মোট ৯ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৯৯৩টি। বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ১০ হাজার ২৬২টি। এর মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৭৭৩ জন। মারা গেছেন ২২ জন। নাসিমা সুলতানা বলেন, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। এই ২৪ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল আশি বছরের বেশি। এছাড়া ২ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিলেন ৫ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ৮ জন এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল বলে জানান নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২৫ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৬০ জন।

তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি ১৭টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে করোনা নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থা। এ অবস্থায় সবাইকে লড়াইয়ের মনোভাব রাখতে হবে। তাই কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকা, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ডিম, মাছ, মাংস, টাটকা ফলমূল ও সবজি খাওয়াসহ শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন তিনি।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/309624/