২৭ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ৪:১৬

মহাসড়কে চাঁদাবাজি চলছেই

ট্রাকচালক হেলপারদের পিপিই না থাকায় উত্তরাঞ্চলে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চলাচলকারী পণ্যববাহী ট্রাকের চালক ও হেলপাররা নিরাপত্তা সুরক্ষা ছাড়াই চলাচল করার কারণে উত্তরাঞ্চলে করোনা ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে করোনা সুরক্ষা না থাকলেও মহাসড়কে শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাঁদাবাজি চলছেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে দেশের বিভিণœ প্রান্তে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও জরুরি খাদ্য, কাঁচামাল, ওষুধ সরবারহের জন্য ট্রাক চলাচল অব্যাহত রয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ট্রাকগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বগুড়া হয়ে উত্তরাঞ্চলে যাতায়াত করছে। একইভাবে উত্তরাঞ্চল থেকে ওই সব জায়গায় ট্রাক যাচ্ছে। বগুড়া মহাসড়কে দেখা গেছে, হঠাৎ দু’একজন ড্রাইভারের মুখে মাস্ক থাকলেও পিপিই বা হ্যান্ড গ্লাভস নেই কারো। হেলপারের মাস্কও নেই। অধিকাংশ চালক, হেলপার চলছেন মাস্ক, পিপিই ছাড়াই। ওইসব ড্রাইভার, হেলপার করোনা আক্রান্ত এলাকায় যাচ্ছেন এবং সেখান থেকে আসছেন। এতে উত্তরাঞ্চলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বেড়ে চলেছে।

বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় আট শ’ ট্র্রাক রয়েছে। তার অধিকাংশই বর্তমানে পণ্যসামগ্রী নিয়ে যাতায়াত করছে বিভিন্ন জায়গায়। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ভবের বাজার, মহাস্থান, মোকামতলা এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিটি ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ও করা হচ্ছে। সিলেট অভিমুখে চাল বোঝাই ট্রাকের চালক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নিজে কোনোভাবে একটি মাস্ক কিনেছি। হেলপারকে দেয়ার কেউ নেই। ট্রাক মালিক পক্ষ ভাড়ার টাকা নিতেই ব্যস্ত। শ্রমিক সংগঠনকেও চাঁদা দিতে হয়। ওই টাকার ভাগ মালিক ও শ্রমিক নেতারা পেলেও ড্রাইভার ও হেলপারদের জন্য করোনা সুরক্ষায় কোন মাস্ক ও পিপিই দেয়া হয়নি।

বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ জানান, শ্রমিক সংগঠনগুলো করোনার এ দুঃসময়েও ট্রাক থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলছেন। সেই চাঁদার ভাগ শ্রমিক নেতা ও মালিকরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। সমিতি থেকে করোনার কারণে সুরক্ষার জন্য মালিক-শ্রমিক নেতাদের বললেও তারা সুরক্ষার জন্য চালক ও হেলপারদের মাস্ক ও পিপিই দেয়নি। তিনি স্বীকার করে বলেন, মালিক নেতা হিসেবে আমিও চাঁদার ভাগ পাই, সেই টাকাসহ নিজস্ব তহবিল থেকে ড্রাইভার হেলপুুুুুুুুুারদের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করছি। তিনি দাবি করেন, মালিক ও শ্রমিকনেতাদের উচিত বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতাকারী চালক ও হেলপারদের মাস্ক, পিপিই ও স্যানিটাইজার দেয়া। এসব যাতায়াতকারী চালক ও হেলপারদের কারনে উত্তরাঞ্চলে করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/498278