২২ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, ৫:৫৫

নোয়াখালীতে আ’লীগ নেতার হামলায় ব্যবসায়ী নিহত, দোকানে আগুন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতার হামলায় রাহাত হোসেন (২০) নামে এক মুদি দোকান মালিক নিহত হয়েছেন। রাহাত হোসেন পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের জাওড়া মিজি বাড়ির ফজলুল হকের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাষিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মেহরাব হোসেন ভুট্টো ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাষিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মেহরাব হোসেন ভুট্টো ও মহিন উদ্দিনের নেতৃত্বে পোরকরা পশ্চিম পাড়ার মো: কালা, মিলন, নান্টু, শাকিলসহ একদল সন্ত্রাসী মঙ্গলবার সকালে কাবিলপুর উত্তরপাড়ায় হাজী সুপার মার্কেটের তিনটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দেয়, খবর পেয়ে মুদি দোকানের মালিক রাহাত হোসেন ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যা করে। সে কাবিলপুর নানার বাড়িতে থেকে ব্যবসা করত। নিহতের বাবা ফজলুল হক জানান, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে পিটিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যা করে। তিনি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সামাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মহিন উদ্দিন ও মেহরাব হোসেন ভুট্টোকে আটক করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত আছে তাদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ : আহত ২

এ দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে একজন আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। গুলিবিদ্ধ, বাহার উদ্দিন (৪৫), বাটইয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে বাটইয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ছিন্নদ্রি গ্রামের চৌরাস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ কর্মীরা এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

গুলিবিদ্ধ বাহার উদ্দিন অভিযোগ করেন, দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আমিন জনি ও শাকিব গ্রুপের মধ্যে সকালে ছিন্নদ্রি গ্রামের চৌরাস্তা দোকান ঘর এলাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শাকিব গ্রুপের কয়েকজন যুবক আমার বসতবাড়ির উপর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি তাদেরকে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে আমার বসতবাড়ির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমি তাকে আমার বসতবাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দিলে সে আমার বাম পায়ে গুলি করে। তিনি বলেন, বাটইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মদদে ছাত্রলীগ নেতা জনি এলাকায় দেদারছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।

কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় টিপু ও রুবেল নামে আরো ২ যুবক আহত হয়েছে। তারা কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/497245