২০ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ৬:০৮

ভেন্টিলেটরে থাকা ৯ রোগীর ৮ জনের মৃত্যু

ক্লিনিক্যাল অডিট হওয়া প্রয়োজন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়জন রোগীর আটজনের মৃত্যু হয়েছে ভেন্টিলেটর সেবা পাওয়ার পরও। গতকাল রোববার অনলাইন বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন। কারণ করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার মূলমন্ত্রই ঘরে অবস্থান করা। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলুন। তিনি আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন।

এ দিকে ভেন্টিলেটরে সেবা দেয়ার পরও কেন আটজন করোনাভাইরাসের রোগী মারা গেলেন এটা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যেই প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মুমূর্ষু অবস্থার সৃষ্টি হলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। তখন কিছু রোগী নিজে নিজে শ্বাস নিতে পারেন না। ঠিক তখনই কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হলে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয় এবং রোগী সুস্থ হয়ে উঠে।

এ ক্ষেত্রে কেন এত করোনা আক্রান্ত রোগী ভেন্টিলেটর সুবিধা পাওয়ার পরও মারা গেলেন তা নিয়ে চিকিৎসকেরা একটি ক্লিনিক্যাল অডিট হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: মোজাহেরুল হক জানান, ভেন্টিলেটর সুবিধা পাওয়ার পরও যে আটটি মৃত্যু হলো তার কারণ বের করার প্রয়োজন। এটা হতে পারে ভেন্টিলেটর মেশিনের সমস্যা। মেশিনের মধ্যে ত্রুটি থাকলে ক্লিনিক্যাল অডিট করে তা বের করে ভবিষ্যতে এ ধরনের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। কারণ শ্বাসকষ্টের রোগীদের ভেন্টিলেটর সুবিধা দেয়ার পর তারা সুস্থ হয়ে উঠে।

অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, এ ছাড়া সেবা ব্যবস্থায়ও ত্রুটি থাকতে পারে। সেবা ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকলেও অডিট করে তা বের করা উচিত। ভবিষ্যতে আর যেন কোনো রোগীর মৃত্যু না হয়।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/496833/