১০ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, ২:৩১

মার্কিন নাগরিকদের নিয়ে তৃতীয় ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে সোমবার

নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় স্পেশাল ফ্লাইট সোমবার ঢাকা ছেড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়্যাল ফেসবুক পেজে প্রচারিত বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। কাতার এয়ারওয়েজের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজে গত ৩০শে মার্চ প্রথম ফ্লাইটে ২৬৯ জন এবং ৫ই এপ্রিল দ্বিতীয় স্পেশাল ফ্লাইটে ৩২২ নাগরিক, কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকা থেকে ফিরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে মার্কিন কূটনীতিকদের পোষা ৯টি কুকুর ও একটি বিড়ালকেও ফেরানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশে অবস্থান করা আরও শতাধিক মার্কিন নাগরিক করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ফিরতে নতুন করেন আবেদন করেন। তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান। বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর কারণে বিশেষ পরিস্থিতি এবং নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস প্রচারিত সর্বশেষ বার্তাটি এমন "নাগরিকদের যারা যুক্তরাষ্ট্র ফিরতে আগ্রহী তাদের বিশেষ সূযোগটি কাজে লাগানো কিংবা কমার্শিয়াল ফ্লাইট চালু না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানের প্রস্তুতি গ্রহণে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।" দূতাবাসের প্রচার করা আগের মিডিয়া নোটে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অনেক মার্কিন নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

এরমধ্যে কিছু সংখ্যক নাগরিক (নিজ দেশ) ফিরতে চেয়েছেন, আগ্রহীদের ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। কোভিড১৯ এর প্রেক্ষাপটে ৭৮টি দেশ থেকে ৪০হাজার আমেরিকানকে ফেরানো হয়েছে বা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। মার্কিন দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ থাকা আমেরিকার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা দূতাবাসের অগ্রাধিকার কর্ম। উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও দূতাবাস খোলা থাকছে। বাংলাদেশ অবশিষ্ট মার্কিন নাগরিকরা যেকোনো প্রয়োজনে সেবা পাবেন।

অস্ট্রেলিয়ানরাও ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন: এদিকে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস দেশটির বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের মধ্যে যারা ফিরতে আগ্রহী তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছে। দূতাবাসের এ সংক্রান্ত নোটিশে বলা হয়েছে, আগ্রহীদের সংখ্যা বিবেচনায় ফ্লাইট চূড়ান্ত হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল ফ্লাইট আসতে পারে বলে আভাস মিলেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্সেরর কোনো আবেদন জানায়নি অস্ট্রেলিয়া। উল্লেখ্য, এর আগে পৃথক ৪টি ফ্লাইটে ৩২৭ জন জাপানের নাগরিক, মালয়েশিয়ার ২২৫ নাগরিক,১৩৯ জন ভুটানের নাগরিক এবং ১৭৮ রাশিয়ার নাগরিক বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=221320&cat=1