৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার, ১২:৫১

ভারতে আটকে পড়া আড়াই হাজার বাংলাদেশী ফিরতে পারছেন না

চিকিৎসা, শিক্ষা, পর্যটনসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে যাওয়া আড়াই হাজার বাংলাদেশী আটকা পড়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতজুড়ে লকডাউনের মধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা সফলতা পাচ্ছে না। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ভারতসহ অন্যান্য দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশী প্রতি বছর চিকিৎসা, পর্যটন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে ভারত যান। গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিন অর্থাৎ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে সব ধরনের গণপরিবহন (বাস, রেল, বিমান) চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বশেষ তথ্য মতে, এ মুহূর্তে বিভিন্ন কারণে ভারতে আটক পড়া বাংলাদেশীর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রবাসী ভারতীয়সহ সব বিদেশী আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভারত থেকেও কোনো বিদেশী নাগরিকের বহির্গমন নিরুৎসাহিত করছে। তা ছাড়া ভারতের আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও এ মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে।

এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা আটকে পড়া বাংলাদেশীদের সাথে টেলিফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আটকে পড়া বাংলাদেশীরা আর্থিক বা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে হাইকমিশন ও মিশনসমূহ তা সমাধানের চেষ্টা করছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পাঞ্জাবে আটকে পড়েছেন ৩৩২ শিক্ষার্থী : পাঞ্জাব রাজ্যের জালানধরের লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে আটকা পড়েছেন ৩৩২ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। লকডাউনের বন্দী জীবনে ফুরিয়ে গেছে টাকা-পয়সা। রয়েছে খাবারের সঙ্কট। অনেকেই গুরুদুয়ারা থেকে পাঠানো বিনামূল্যের খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন। অন্যরা হাতের কাছে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাই খাচ্ছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলেও বাংলাদেশে ফিরতে রাজি আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন জানান, আটকেপড়া বাংলাদেশীদের বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। লকডাউনের মধ্যে তাদের কোনো বিমানবন্দরের মাধ্যমে আনা হবেÑ এটা একটা সমস্যা। বিমানের ব্যবস্থা করতে পারলে আটকেপড়া বাংলাদেশীরা নিজ খরচে দেশে ফিরতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে টাকা-পয়সা পাঠানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহায়তা দিতে পারবে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/493348