৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার, ১২:৪০

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ : এডিবি

বাংলাদেশে করোনার প্রভাব

নতুন করোনাভাইরাস ‘কোভিড-১৯’ এর প্রভাবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পাশাপাশি বাংলাদেশ ধারাবাহিক ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে বলে প্রশংসা করে সংস্থাটি বলছে, রাজস্ব আদায়ে স্বল্পতা এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২০ নামে সংস্থাটির শীর্ষ হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবিদেনে বলা হয়, বাংলাদেশে জিডিপি অনুপাতের কম রাজস্ব আদায় উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে সরকারি ব্যয়কে সহায়তার জন্য করের পরিমাণ বাড়ানো এবং সংস্থানগুলোকে আরও কার্যকর করতে হবে। ব্যাপকভাবে কর সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো দরকার।

করোনাভাইরাসের ফলে বাংলাদেশে লকডাউন চলছে। এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রবৃদ্ধি কমছে। তারপরও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী বলে মন্তব্য করে এডিবি বলেছে, করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে পারলে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি জোরালোই থাকবে। কমলেও সেটা শূন্য দশমিক চার শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

এডিবির প্রকাশিত আউটলুকে বলা হয়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে তা ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

এডিবির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেছেন, কোভিড-১৯ এই বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। তবে করোনার বিস্তার যদি আরও বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতি পরিমাণ হয়ত আরও বাড়তে পারে।

এডিবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত আট মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোই ছিল। কিন্তু, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে রফতানি ও প্রবাসী আয় কমে যাবে। মানুষের ভোগও কম হবে।

https://www.dailyinqilab.com/article/280558/