২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২:৫৮

বাতিল হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার রফতানি আদেশ

বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ নেয়া নভেল করোনা ভাইরাস কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে তৈরি পোশাকের রফতানি বা ক্রয়াদেশ এ পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ২৯১ কোটি ডলারের রফতানি আদেশ (বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা, বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)। তবে পোশাক শিল্পের ওপর থেকে কালোমেঘ ধীরে ধীরে কেটে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা রফতানিকারকদের। এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা চালানো যাবে। শিল্পকারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকার থেকে আসেনি। যাঁরা কারখানা চালাতে চান, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারাখানা চালাবেন।

গতকাল বুধবার সকালে রফতানি আদেশ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক। বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, প্রতি মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের ক্রেতারা ক্রয় আদেশ স্থগিত করছে। তবে আমাদের জন্য এটি স্থগিত নয় বাতিল। সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল সকাল ১০টা পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ৬৮টি কারখানার রফতানি আদেশ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ-এর সভাপতি বলেন, বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। একের পর এক পোশাক কারখানার ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে এ খাত ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। তাই কঠিন এ সংকটময় মুহূর্তে বায়ারদের ক্রয় আদেশ স্থগিত না করার আহ্বান জানিয়েন পোশাক মালিকরা।

পোশাক কারখার ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পোশাক মালিকদের এ নেতা জানান, এখন পর্যন্ত ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজারটি পোশাক পণ্যের আদেশ বাতিল হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ২ দশমকি ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা, বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)।

রফতানি আদেশ বাতিল হওয়া এসব কারখানায় ২১ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি।

দেশের রফতানি খাতের সিংহভাগ তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। তাই এ খাতের নেতিবাচক প্রভাব পুরো রফতানি বাণিজ্যে আঘাত হানে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের আট মাস (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সময়ে পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। একই সময়ে রফতানি প্রবৃদ্ধিও কমেছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এদিকে পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডা লকডাউন হয়ে আছে। ফলে প্রত্যেক দেশের ক্রয় আদেশগুলো স্থগিত করে বার্তা পাঠাচ্ছে সেসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে বড় সংকটের মুখে পোশাক খাত। ঝুঁকিতে পড়বে পুরো রফতানি বাণিজ্য।

চলমান এ পরিস্থিতির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা চালানো যাবে। শিল্পকারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকার থেকে আসেনি। যাঁরা কারখানা চালাতে চান, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারাখানা চালাবেন।

গতকাল বুধবার বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পোশাক কারখানার জন্য যে ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা দান নয়। এটি ২ শতাংশ সুদে দেয়া হয়েছে। সেটা সময়ের ব্যবধানে পরিশোধ করতে হবে। কীভাবে তা শ্রমিকদের কাছে দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কী সুযোগ আছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে আমরা করণীয় ঠিক করবো। আমরা তৈরি আছি, এই মুহূর্তে কমে আসার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিপদটা জানি। যখনই দেখব উন্নতি হচ্ছে চেষ্টা করব ব্যবসা বাণিজ্য সেই অনুযায়ী ঠিক করার।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে। যতদিন প্রয়োজন আর যতো প্রয়োজন সেনাসদস্য ততো দেয়া হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসকে প্রধানমন্ত্রী একটি যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমরা সৈনিক আমরা সবসময় যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। সেই প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সবসময় জনগণের পাশে থাকবো।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ছুটি চলাকালে জনগণ ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। ঘুরে বেড়ানোর জন্য এ ছুটি দেয়া হয়নি। ঘরে থাকার জন্যই এ ছুটি দেয়া হয়েছে। এই বার্তাটা প্রচারে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন।

এদিকে করোনার কারণে একের পর এক পোশাকের চলমান ও ভবিষ্যতের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হচ্ছিল। ফলে নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়া তো দূরে, কারখানা উৎপাদিত পোশাক নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন পোশাকশিল্পের মালিকেরা। তবে এই কালোমেঘ ধীরে ধীরে কাটবে সেই আভাস মিলছে।

সুইডেনভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম গত শনিবার তাদের মনোনীত কারখানায় ইতিমধ্যে যেসব পোশাক তৈরি হয়েছে সেসব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অনেকটা সেই পথেই হাঁটবে বলে পোশাক রপ্তানিকারকদের ইতিমধ্যে জানিয়েছে আরও কয়েকটি ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্র্যান্ড পিভিএইচ, স্পেনভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্র্যান্ড মাকর্স অ্যান্ড স্পেনসার (এমঅ্যান্ডএস), ফ্রান্সভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কিয়াবি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড টার্গেট।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় ক্রেতাদের মধ্যে অন্যতম এইচঅ্যান্ডএম। তারা বাংলাদেশ থেকে বছরে ৩০০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করে থাকে। এমঅ্যান্ডএস নেয় ১০০ কোটি ডলারের। ইন্ডিটেক্সও বাংলাদেশ থেকে ১০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পোশাক নেয়। কিয়াবি নিয়ে থাকে ৫০ থেকে ৭০ কোটি ডলারের পোশাক। ফলে প্রতিশ্রুতি দেয়া ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশী পোশাকের অন্যতম শীর্ষ ক্রেতা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মালিকেরা ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছেন।

একাধিক পোশাক রফতানিকারক জানান, পিভিএইচ বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এমঅ্যান্ডএস পণ্য নেওয়া ও অব্যবহৃত কাঁচামালের দাম দেয়ার কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তবে তারা কি পদ্ধতিতে অর্থ পরিশোধ করবে সেটি চলতি সপ্তাহে চূড়ান্ত করবে। ইন্ডিটেক্স মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেছে, তারা পণ্য নেয়া বন্ধ করবে না। টার্গেট উৎপাদিত পণ্য নেওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছে। ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ক্রয়াদেশের বিষয়ে বলছে, পরিস্থিতি উন্নতি হলে তারা নতুন ক্রয়াদেশ দেবে। তবে চীনের অবস্থা স্বাভাবিক হলেও কিছু ক্রেতা ক্রয়াদেশ দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছে।

কিয়াবির পোশাক সরবরাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের রাইজিং গ্রুপ। নয় বছর ধরে ব্র্যান্ডটির জন্য পোশাক প্রস্তুত করে এই প্রতিষ্ঠানটি। রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান জানান, কিয়াবি উৎপাদিত পোশাক ধাপে ধাপে নেওয়ার কথা আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল হওয়ার তথ্য সর্বপ্রথম ১৭ মার্চ প্রকাশ করে বিজিএমইএ। সেদিন সংগঠনটি জানায়, ২০টি কারখানার ১ কোটি ৭২ লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। স্থগিত হয়েছে ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশ। তারপর প্রতিদিনই ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিলের তালিকাটি দীর্ঘ হয়েছে।

ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ৪১ ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানকে ই-মেইল করেন। তিনি ক্রেতাদের অনুরোধ করেন, ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত করবেন না। উৎপাদন চলতে দিন। জরুরি অবস্থায় আমরা বিলম্বিত পরিশোধব্যবস্থা মেনে নেবো। তবে বর্তমানে যে স্টকগুলো রয়েছে তা নিয়ে নিন, যাতে উৎপাদন চলে এবং কর্মীদের সময়মতো বেতন দিতে পারি আমরা।

পরে বিজিএমইএর সভাপতি জার্মানির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষকমন্ত্রী গার্ড মুলারকে ই-মেইলে করেন। এতে তিনি জার্মানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তাঁর দেশের ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত না করে। একই আহ্বান জানিয়ে রুবানা হক এক ভিডিও বার্তায় ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের এই সংকটের সময় পোশাকশ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে। তারা আমাদের নিশ্চিত করেছে, উৎপাদিত ও উৎপাদনে থাকা পণ্য নিয়ে নেবে। তাদের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।

এদিকে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত রফতানি খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের বিষয়ে কিছু গাইডলাইন দিয়ে নীতিমালা প্রস্তুত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে। উৎপাদিত পণ্যের অন্তত ৮০ শতাংশ রফতানি হয় এসব প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে অর্থ নেওয়ার যোগ্য হবে। পাশাপাশি সংকট চলাকালীন সময় তথা এপ্রিল, মে ও জুন এ তিন মাসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমন কিছু গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। এসব গাইডলাইন দিয়ে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে তহবিল থেকে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশেই গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি না করে আরও যাচাই-বাছাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককেই নীতিমালা করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো গাইডলাইনে আরও বলা হয় যে, যেসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য অন্তত ৮০ শতাংশ রফতানি হয় তারাই এ তহবিল থেকে অর্থ নিতে পারবে। সংকটকালীন সময় তথা এপ্রিল, মে ও জুন এ তিন মাসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান রফতানির সাথে যুক্ত নয় তারা এ তহবিল থেকে ঋণ নেয়ার জন্য যোগ্য হবে না।

এর আগে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ঘোষণা দেন।

http://dailysangram.info/post/412102