২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার, ৩:৫৮

করোনায় মৃত্যু ২২ হাজার ছাড়াল

* হাঙ্গেরিতে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডরের মৃত্যু

* ইতালিতে আজও মৃত্যুর মিছিলে ৬৮৩

* স্পেনে মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৫

* যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হাজার ছাড়াল, আক্রান্ত ৭০ হাজার

* ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত ৬৬ লাখ!

* চীন তথ্য গোপন করায় এই মহামারি অভিযোগ যুক্তরাষ্টের

স্টাফ রিপোর্টার: সংক্রমণ শুরুর তিন মাসও পেরোয়নি, এরই মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ৬০ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৫৩ জন। মারা গেছেন ২২ হাজার ১৫৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে এ সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইতালিতে। এদিন দেশটিতে করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে অন্তত ৬৮৩ জনের, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২১০ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন, মারা গেছেন ৭ হাজার ৫০৩ জন।

এদিকে হাঙ্গেরিতে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডরের মৃত্যু হয়েছে। ইতালিতে আজও মৃত্যুর মিছিলে ৬৮৩জন। স্পেনে মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৫ জন। ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত ৬৬ লাখ। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হাজার ছাড়াল, আক্রান্ত৭০ হাজার। এছাড়া চীন তথ্য গোপন করায় এই মহামারি বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্টের। মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৫৬ জন, আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৫১৫ জন, মৃত্যু ৩ হাজার ৬৪৭ জনের। করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রেও। এদিন দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৬ জন, মারা গেছেন ১৪২ জন। সেখানে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৩৪২, মৃত্যু ৯২২ জনের। এছাড়া, ইরানে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৪৩ জন, নতুন রোগী ২ হাজার ২০৬ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৭ জন, মৃত্যু ২ হাজার ৭৭ জনের। ভয়াবহ পরিস্থিতি ফ্রান্সেও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২৩১ জন, আক্রান্ত ২ হাজার ৯২৯ জন। অর্থাৎ দেশটিতে মোট মৃত্যুর ঘটনা ১ হাজার ৩৩১টি, আক্রান্ত ২৫ হাজার ২৩৩ জন।

হাঙ্গেরিতে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডরের মৃত্যু: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাঙ্গেরিতে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডর স্টিভেন ডিক মারা গেছেন। মঙ্গলবার মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই মারা যান তিনি। ২০১৯ সালেল ডিসেম্বর থেকে বুদাপেস্ট মিশনের উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডিক। ২০০৫ সালে ব্যাংক অব স্কটল্যান্ডে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। সেখানে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর অভিবাসন অধিদপ্তরে যোগ দেন স্টিভেন ডিক। রিয়াদে ব্রিটিশ দূতাবাসে যোগদানের আগে প্রায় এক বছরের চেষ্টায় আরবি ভাষা শিখেছিলেন তিনি। এর আগে কাবুল দূতাবাসেও কাজ করেছেন ডিক। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। হাঙ্গেরিতে এপর্যন্ত অন্তত ২২৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০ জন।

ইতালিতে আজও মৃত্যুর মিছিলে ৬৮৩ জন: ইতালিতে করোনা ভাইরাসের তা-ব যেন কিছুতেই কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন আরও ৬৮৩ জন। এ নিয়ে সেখানে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ৭ হাজার ৫০৩ জন। এদিন ইতালিতে নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ২১০ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন। ইউরোপের দেশটিতে এপর্যন্ত ৯ হাজার ৩৬২ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ৫৭ হাজার ৫২১ জন। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।

স্পেনে মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৫: ইউরোপের দেশ স্পেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল। বিশ্বে ইতালির পর যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ৬৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়েছে। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আজকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৯ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১৮৮ জনে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনএর। গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে ৬৫৫ জনের মৃত্যু হলেও আগের দিনের তুলনায় তা কম। কেননা গতকাল বুধবার দেশটিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। চীনে উৎপত্তি হলেও ইউরোপ এখন করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত। সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সে।

১৪ মার্চ থেকে স্পেন লকডাউন। জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃস্থানীয় এক কর্মকর্তা গতকাল বুধবার বলেন, দেশে মহামারি প্রকট আকার এখন ধারণ করেনি। আরও অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাবেন এবং এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে ধারণা তার।

এদিকে দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর ব্যপারে সায় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো শানচেজের নেতৃত্বাধীন স্পেনের মন্ত্রিসভা। আজ বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে এ নিয়ে ভোটাভুটি হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট তার পাশে থাকবে বলে আশাবাদী তিনি। এছাড়া জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদও আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শানচেজ। এদিকে গতকাল দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী কারমেন ক্যালভো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পেদ্রো শানচেজের স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হন।

ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত ৬৬ লাখ : যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা জানতে কোভিড সিম্পটম ট্র্যাকার নামের একটি অ্যাপ চালুর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ সেটি ডাউনলোড করেছেন। এক সপ্তাহ পর এই অ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের অ্যাপে করোনার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে ব্যবহারকারীদের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিল। ব্যবহারকারীদের দেয়া তথ্য বলছে, দেশটিতে ইতোমধ্যে ৬৬ লাখের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। লন্ডনের কিংস কলেজের বিজ্ঞানীরা কোভিড সিম্পটম ট্র্যাকার নামের এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন। তারা বলেছেন, অ্যাপটি চলতি সপ্তাহেই চালু করা হয়েছে। এটি প্লে স্টোরে দেয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ ডাউনলোড করেছেন। ডাউনলোডের পর সাইনআপ করে অ্যাপটির জরিপে অংশ নেয়া ১০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ আছে বলে জানিয়েছেন। এই দশ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা জ্বর, সর্দি, কাশি এবং অবসাদে ভুগছেন।

ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত কারও করোনা পরীক্ষা করছে না। যে কারণে দেশটিতে ঠিক কতজন করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন তার প্রকৃত চিত্র উঠে আসছে না। এই অ্যাপের মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত মানুষের সম্পর্কে একটি পরিষ্কার চিত্র উঠে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কিং কলেজের বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনের ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের প্রত্যেক ১০ জনের মধ্যে যদি একজনও সংক্রমিত হন; তাহলে মোট সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৬৬ লাখ কিংবা তারও বেশি হয়। কিন্তু তা গোপন করা হচ্ছে। কোভিড সিম্পটম ট্র্যাকারের এই তথ্য প্রকাশের পর দেশটিতে গণহারে করোনা পরীক্ষা না করায় ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

তবে অনেকেই বলছেন, প্রত্যেকদিন অন্তত একবার ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করা উচিত। কর্মীরা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য নিরাপদ কিনা সেটি আগে নিশ্চিত করা দরকার। অ্যাপটির ডেভেলপার কিংস কলেজের অধ্যাপক টিম স্পেকটর দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমাদের প্রথম বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রত্যেক দশজনের মধ্যে একজনের শরীরে করোনার লক্ষণ রয়েছে। এই অ্যাপটি যারা ব্যবহার করেছেন তাদের মধ্যে ৬৫ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন অধ্যাপক টিম। কিন্তু দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫২৯ এবং মারা গেছেন ৪৬৫ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৩৫ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হাজার ছাড়াল, আক্রান্ত৭০ হাজার: যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও এখন ৬৯ হাজারের বেশি। বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ষষ্ঠ হলেও আক্রান্তের বিচারে তা তৃতীয়। খবর আলজাজিরা। আলজাজিরার প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩২ জন দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে শ্রমিক, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য সেবা খাতের জন্য ২ লাখ কোটি ডলারে একটি প্রণোদনা তহবিলে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির উচ্চকক্ষ সিনেট।

চীন তথ্য গোপন করায় এই মহামারি: করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চীন ‘নির্মম ও বিপজ্জনক প্রচারণায় জড়িত’ বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, চীনা কর্মকর্তারা যদি প্রথমদিকে করোনা ভাইরাসের ঘটনাগুলো ধামাচাপা না দিত তাহলে বিশ্ব এই মহামারি এড়াতে পারত। অভিযোগটি করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উডি জনসন। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমসে তার লেখা একটি মতামত প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের যে প্রতিশ্রুতি চীন ভয়ঙ্করভাবে তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা স্বচ্ছতার সঙ্গে মহামারি এই ভাইরাসটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশকে জানায়নি।’ উডি জনসন লিখেছেন, ‘প্রথমদিকে চীন সংবাদ গোপন করেছে। তারপর তারা তাদের নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষায় কাজ করেছে এবং বেছে বেছে গুরুতর তথ্যগুলো জানিয়েছে। যেমন জেনেটিক সিকোয়েন্স’র মতো বিষয়গুলো। অনেক তথ্য তারা জানায়নি, যা জানা গেলে পরিস্থিতি এমন হতো না।’

তার দাবি, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) তাদের সহযোগিতা, সেখানে প্রবেশাধিকার এবং আরও তথ্য চাচ্ছিল বারবার কিন্তু চীন বিশাল এক প্রাচীর তৈরি করে রেখেছিল। তারা সংস্থাটিকে কোনো ধরনের অনুমতিই দেয়নি।’ এটাই মহামারিটিকে বৈশ্বিক রূপ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলছেন, ‘চীন সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছে তার নিজের জনগণ বাঁচানোর জন্য এবং বাকি বিশ্ব তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, যার মারাত্মক এক ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। যখন সংকট শুরু হলো তখন প্রথম থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করা উচিত ছিল চীনের।

http://dailysangram.info/post/411377