১৯ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:১১

যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি: গোপনীয় প্রতিবেদন পুনঃতদন্তের আবেদন

যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় কেউ কেউ তাদের বিষয়ে উপস্থাপিত গোপনীয় প্রতিবেদনের পুনঃতদন্ত দাবি করেছেন। এসএসবি (সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেখা করে অনেকে মৌখিকভাবে, কেউ আবার লিখিতভাবে এ ধরনের আবেদন জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, যুগ্ম সচিব পদে আসন্ন পদোন্নতিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এ ধরনের আবেদন জানিয়েছেন। তারা ইতিমধ্যে এসএসবির সভাপতি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে দেখাও করেছেন। কারও কারও বিষয়ে বর্তমান সরকারের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীরা আধাসরকারি পত্রও দিয়েছেন।

কিন্তু সূত্র বলছে, যাদের বিষয়ে গোপনীয় প্রতিবেদনে নেতিবাচক মন্তব্য রয়েছে- শেষ পর্যন্ত তাদের বিষয়টি অমীমাংসিত থাকতে পারে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানার পর কেউ কেউ তাদের নেতিবাচক রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে পুনঃতদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন।

১০ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে লেখা ১০ম ব্যাচের একজন উপসচিবের এমন একটি আবেদনের কপি যুগান্তরের হাতে এসেছে। আবেদনকারী কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের সাবেক একজন মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন। অবশ্য তার আবেদনটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠির অনুলিপিসহ জনপ্রশাসন সচিবকে ১৫ মার্চ চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এ বিষয়ে প্রশাসনে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, ত্রুটিপূর্ণ ও অসত্য গোপনীয় প্রতিবেদনের কারণে অতীতে বহু কর্মকর্তা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। শুধু বর্তমান সরকার নয়, সব সরকারের আমলে এ ধরনের বেদনাদায়ক ঘটনার নজির রয়েছে।

তবে বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ এসএসবির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনেকে গণমাধ্যমকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, সন্দেহ করার মতো প্রশ্ন উঠলে এ ধরনের প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করে দেখা হবে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি শংকা প্রকাশ করে পুনঃতদন্ত চেয়ে লিখিত আবেদন জানান- তাহলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া উচিত।

তারা বলেন, এজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে দ্রুত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সহজ অনেক মাধ্যমও রয়েছে। কিন্তু যাচাই-বাছাই ছাড়া পদোন্নতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রশাসনে ভিন্ন বার্তা যাবে। সেটি নিশ্চয় সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে না।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/290571/