১০ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ১১:৫৭

আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে কিছু কথা

ড. মো. নূরুল আমিন : গত ৮ মার্চ রোববার দুনিয়াব্যাপি জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। প্রতি বছরের মত এ বছরও জেনারেশন ইক্যুয়ালিটি অনুসরণে UN Women এর নতুন বহুমাত্রিক প্রচারণা ছিল। UN Women 2020 থিম-এ বলা হয় ‘আমি প্রজন্মের সাম্য : নারীদের অধিকার আদায় করছি’। গতবারের প্রতিপাদ্য ছিল Balance for Better তথা অপেক্ষাকৃত ভালোর জন্য ভারসাম্য।

বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলসমূহে এই দিবস উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা ও অনুষ্ঠান প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বিশেষ করে হত্যা, ধর্ষণ, পাচার ও অনৈতিক কাজে তাদের ব্যবহারের যেসব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে, তার আলোকে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস অনুষ্ঠান বিরাট তাৎপর্য বহন করে সন্দেহ নেই। দেশে দেশে নারীরা নির্যাতিত। তাদের অবস্থার উন্নয়ন অবশ্যই আমাদের কাম্য। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি সকল নারীর সাফল্য কামনা করি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তার মূল্যায়ন হওয়া দরকার বলেও আমি মনে করি।

পাঠকদের স্মরণ থাকতে পারে যে, তিন-চার দশক আগে জেন্ডার ডেভেলাপমেন্টের নামে উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কিছু চটকদার প্রোগ্রাম থ্রো করেছিল। এ জন্য তারা প্রচুর টাকা-কড়িও বিতরণ করেছে। জাতিসংঘের উদ্যোগে নেদারল্যান্ড, ডেনমার্কের কোপেন হেগেন, মিসরের কায়রো, চীনের বেইজিং-এ জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিপালন ও বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়। এসব সম্মেলনে বিভিন্ন পেশায় নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করে নারীদের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করার কথা উঠে এবং এ জন্য একশন প্ল্যানও তৈরি হয়। সকল দেশের মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্ত এজেন্সিগুলোতে জেন্ডার ফোকাল পয়েন্ট (Gender Focal Point) স্থাপন করে অগ্রগতি পরিধারণ ও মূল্যায়নের জন্য টাস্কফোর্স ভিত্তিক কাজ কর্ম শুরু হয়। সরকারি বিভাগ ও এজেন্সিসমূহের প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের জন্য স্থানীয়ভাবে এবং বিদেশে শিক্ষা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে জেন্ডারের উপর উচ্চতর ডিগ্রি তথা মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি করার জন্য অঢেল বৃত্তি প্রদান করা হয়। বলাবাহুল্য, যেসব দেশ এসব বৃত্তি ও ডিগ্রি প্রদানে এগিয়ে এসেছিল, সেসব দেশে নারী-পুরুষ সম্পর্ক, বিশেষ করে নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রদানের আদর্শ কোনও নজির ছিল না; বরং এ সম্পর্ক সেসব দেশে এতই তিক্ততায় পৌঁছেছিল যে, তারা নারী-পুরুষে বিয়ে সাদীর পরিবর্তে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধ করে নিয়েছিল। তথাপিও আমাদের দেশের ন্যায় বহু দেশের অনেক পুরুষ ও মহিলা শিক্ষা প্রশিক্ষণের এই সুযোগ গ্রহণ করেছে। অনেকে Consultancy Farm খুলেছেন। ভোগ-বিলাস ও স্বাচ্ছন্দ্য এতে বেড়েছে, সন্দেহ নেই; কিন্তু পারিবারিক শান্তি এতে কতটুকু এসেছে তা ভেবে দেখার বিষয়।
নারী দিবস উপলক্ষে পত্র-পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাসমূহ এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন আলোচনাসমূহের কিছু কিছু আলোচনা শোনার কিছুটা সুযোগ আমার হয়েছে। এই আলোচনাসমূহের যে দিকটি আমার কাছে পীড়াদায়ক মনে হয়েছে, সেটা হচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনুপস্থিতি এবং নারী-পুরুষ উভয়কে প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হিসেবে উপস্থাপন। আমাদের সমাজে নারী-পুরুষ কি পরস্পর পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী না পরিপূরক?

পরিবার হচ্ছে সমাজের ভিত্তি এবং প্রাথমিকভাবে স্বামী-স্ত্রী তথা একজন নারী ও একজন পুরুষকে নিয়ে পরিবার গঠিত হয়। এর সাথে স্বাভাবিকভাবে যুক্ত হন পিতা-মাতা, ভাই-বোন এবং পরবর্তীকালে সন্তান-সন্ততি। এখন একান্নবর্তী পরিবারে ভাঙন দেখা দেয়ায় (শহুরে জীবনে এর পেছনে যৌক্তিক কারণও রয়েছে) অধিকাংশ ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, ভাই-বোন আলাদাই থাকেন। ধর্মীয় আইনকানুন অনুযায়ীই আমাদের দেশে বিয়ে সাদী হয়। আমাদের দেশে যদিও সিভিল ম্যারিজের আইন আছে, তথাপিও আমার ধারণা, শতকরা ৯৯.৯ ভাগেরও বেশি ক্ষেত্রেই বিয়ে সাদীর বেলায় আমরা ধর্মীয় অনুশাসনকে মেনে চলি; মুসলমানরা মুসলিম আইন এবং হিন্দুরা হিন্দু আইন অনুসরণ করেন। দুই ধর্মের পাত্র-পাত্রীদের বেলায়ই শুধু সিভিল ম্যারিজ হয় এবং এটা বৃটিশদের করা আইন অনুযায়ী। সিভিল ম্যারিজে ধর্মকে অস্বীকার করা হয়। কিন্তু যেখানে ধর্মকে অস্বীকার নয় বরং ধর্মীয় অনুশাসন মেনেই বিয়ে সাদীর মাধ্যমে পরিবার গঠিত হয়, সেখানে ধর্মের অনুশাসন অনুযায়ী নারী-পুরুষের প্রাপ্য মর্যাদা থেকে তাদের বঞ্চিত করার প্রবণতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সামাজিক প্রথা ও কুসংস্কার এ ধরনের বঞ্চনার কারণ হতে পারে। এই উভয় অবস্থাই বর্জনীয় এবং উপযুক্ত জ্ঞান ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো যেতে পারে। এখানে কিছু দায়িত্ব আছে সমাজের তথা রাষ্ট্রের। আর কিছু দায়িত্ব আছে ব্যক্তির তথা পরিবার সদস্য হিসেবে প্রতিটি নারী ও পুরুষের। আমাদের সমাজের কথাই বলি। আল্লাহতায়ালা মানুষকে তার খলিফা হিসেবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। নারী পুরুষ উভয়েই তার সৃষ্টি এবং খলিফা, তাদের মধ্যে কোনও তফাৎ করা হয়নি। পবিত্র কুরআনে তাদের যেমন সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে তেমনি আদল ও ইনসাফের ভিত্তিতে তাদের দায়দায়িত্বও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

আমি আমার স্ত্রীকে তার প্রাপ্য অধিকার দেব না অথবা আমার ছেলের বউ আমার বাড়িতে এসে বাঁদী হয়ে থাকবে, মেয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে; ব্যক্তিত্বের বিকাশ কিংবা স্বাধীন সত্ত্বা হিসাবে বেঁচে থাকার তাদের কোনও সুযোগ থাকবে না, এটা কি করে হয়?

এ জন্য তো দায়ী আমি, আপনি সমাজ বা ধর্ম নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন কি এবং তা না মানার পরিণাম কি সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা কতটুকুই বা আছে? যদি থাকতো তাহলে কি অন্ধের মত অন্যের অনুসরণ করার বদনাম থেকে আমরা বাঁচতে পরিতাম না? প্রবীণরা প্রায়ই আক্ষেপ করেন, It’s more easier in this country to destroy then it is to rebuild. আমরা অব্যাহতভাবে আমাদের আদর্শ ঐতিহ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ প্রভৃতিকে ধ্বংস করে চলেছি, ক্ষমতায়নের নামে আমরা নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষদের এবং পুরুষদের বিরুদ্ধে নারীদের লেলিয়ে দিচ্ছি। দীক্ষা নিচ্ছি এমন এক সমাজ থেকে যে সমাজে পরিবার নেই, বিয়ে-সাদীর স্থান দখল করেছে লিভ-টুগেদার এবং দয়া-মায়া মূল্যবোধ অনেক আগেই পালিয়ে গেছে। একটি টিভি চ্যানেলে সেদিন এক মহিলা নারী স্বাধীনতা ও নারী অধিকারের বিষয় আলাপ করতে গিয়ে পাশ্চাত্যের ভূয়সী প্রশংসা করলেন।

আমি জানিনা পাশ্চাত্যের কোন কোন দেশে তিনি গিয়েছেন এবং সে দেশগুলোতে নারীদের স্বাধীনত সত্ত্বার কতটুকু তিনি দেখেছেন! নারী স্বাধীনতা এবং নারীর মর্যাদা বলতে যদি যৌন স্বাধীনতা বুঝায়, যখন তখন বিবস্ত্র হবার কথা বুঝায় এবং বারে, পাব এ পুরুষের সেবাদাসী হওয়া কিংবা কণ্ঠলগ্ন হওয়া অথবা বহুগামিতা কিংবা ঘর-সংসার ছেড়ে নিজের ইচ্ছানুযায়ী পেশা বেছে নেয়ার স্বাধীনতা ও অধিকারকে বুঝায় তাহলে পাশ্চাত্যের নারীরা তা অবশ্যই ভোগ করছেন। তবে তারা যে স্বেচ্ছায় তা ভোগ করছেন তা বলা যাবে না, বাধ্য হয়েই করছেন।
বৃটিশ কাউন্সিল, কানাডিয়ান সিডা, সুইডিস সিডা, বিশ্বে ব্যাংক, ইউএসএআইডি, এডিবিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বৃত্তির সৌজন্যে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের অনেকগুলো দেশের শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হবার আমার সুযোগ হয়েছে। দাতা সংস্থার নিয়মানুযায়ী, বিশেষ করে বৃটেনে, সেখানকার পরিবারে পেয়িংগেস্ট হিসাবেও আমি ছিলাম। ভাঙ্গা পরিবারে স্বাধীনতার স্বাদ তারা কিভাবে ভোগ করছেন তাদের বুকফাটা আর্তনাদের মধ্যে তা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। স্বামীও আছে, বয় ফ্রেন্ডও আছে, ত্রিপক্ষীয় মারামারিও আছে। এর মধ্যেই বড় হচ্ছে তাদের সন্তানরা। তারা মানুষ হতে পারছে না। ইউনিসেফ দুর্দশাগ্রস্ত ছেলে-মেয়েদের উপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যে বলেছে যে, ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে বউ পিটানোর হার আমাদের মত দেশের তুলনায় শতকরা ৮৮ ভাগ বেশী। আমার এক প্রাক্তন সহকর্মী রাশেদুল আলম (আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সরকারের আমলে সংস্থাপন সচিব ছিলেন) যুক্তরাজ্যের নরউইচের একটি পরিবারে থাকতেন যে পরিবারের কর্ত্রী স্বামীর পিটুনি খেয়ে ঘর-সংসারের সাথে পাঠ চুকিয়ে কুকুর নিয়ে বসবাস করতেন। কুকুরই ছিল তার রক্ষক এবং সাথী। এই সেদিনও একটি সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৪ ভাগ মহিলা তাদের স্বামীর তুলনায় কুকুরকে বেশী ভালবাসেন। আমাদের দেশের মহিলারা যখন নিজ কালচারের পরিবর্তে পাশ্চাত্য কালচারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে চান তার আগে তারা এ বিষয়গুলো ভেবে দেখলে কি ভাল হয় না? সুখ কোথায়, ঘরে না বাইরে, এ প্রশ্নটির জবাব কিছুদিন আগে লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স দিয়েছে। এলইসি তার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখিয়েছে যে, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশী সুখী। কারণ তাদের পারিবারিক বন্ধন। সিনহুয়ার সমসাময়িক এক জরিপেও দেখা গেছে যে, এশিয়ান দেশগুলো ইউরোপ-আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় অনেক বেশী সুখী। কারণ একটাই পারিবারিক বন্ধন। তারা এখন পরিবার প্রথা ও পরিবারিক মূল্যবোধে ফিরে আসার জন্য কান্নাকাটি করছে। আর আমরা তাদের ফেলে দেয়া বর্জ্য অথবা ধ্বংসের উপকরণ সংগ্রহে যদি ব্যস্ত হয়ে পড়ি তাহলে তাতে প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার কোনটাই প্রমাণ পাওয়া যায় না।

তারা জেন্ডার ইক্যুইটির নামে সমাজকে-পরিবারকে ধ্বংস করেছে। আমরা এই বড়িটি গেলার আগে ভালভাবে ভেবে-চিন্তে অগ্রসর হওয়া দরকার। কথাটা বেইজিং সম্মেলনে উঠেছিল। সব সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচী সকল দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। কেননা সব দেশের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও কালচার এক নয়, ভিন্ন ভিন্ন। নেদারল্যান্ডের বিশ^বিদ্যালয়ে জেন্ডার পড়ে বাংলাদেশের সমাজে তা বাস্তবায়ন করা যায় না। কেননা নেদারল্যান্ডে বিয়ে ও পরিবার নেই, বাংলাদেশে আছে। সেখানে সমলিঙ্গে বিয়ে বৈধ, বাংলাদেশে অবৈধ; এই কথাটা না বুঝলে সংকটের সমাধান হবে না। চকচক করলেই সোনা হয় না এই কথাটি বুঝতে হবে।

শেষ করার আগে একটা কথা বলি। আমাদের আদর্শ ইসলামকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, মুসলিম নামধারীরাও ছড়াচ্ছে। মানুষ এবং মানবিক সত্ত্বা হিসাবে ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কে অভিন্ন মর্যাদার আসনে আসীন করেছে। তাদের অধিকার সমান। কিন্তু মর্যাদায় মায়ের স্থান পিতার ঊর্ধ্বে। তথাপিও নারী-পুরুষের জীবনের একটি বাস্তবতা থেকে ইসলাম দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখতে পারেনি। এই বিষয়টি হচ্ছে জীবনাচার এবং কর্মক্ষেত্রের স্বাতন্ত্র্য। মা এবং পরিবারের প্রধান হিসাবে পিতার দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুনির্দিষ্ট পরিধিকে সামনে রেখেই নারী-পুরুষের মধ্যে স্বাতন্ত্র্যের এই সীমারেখা টানা হয়েছে। এই স্বাতন্ত্র্য অসমতার নয়। নারীর এই বিশেষ অবস্থানকে সামনে রেখে তার প্রতিভা বিকাশে এখানে কোনও বাধা নেই। তবে পরিহারের বিষয় হচ্ছে এই যে, এ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান ও ধারণা না নিয়েই এক শ্রেণীর নারীবাদী প্রগতির অন্তরায় হিসাবে ইসলামকে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। তারা যত শীগগির বাস্তবকে স্বীকার করবেন ততই মঙ্গল।

http://dailysangram.info/post/409479