৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ১১:৫৫

করোনাভাইরাস চীন থেকে এসেছেন ৮৩৯৬ জন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি এমন কারো মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যারা আক্রান্ত হবেন কেবল তাদেরই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া এ সময় যাদের সর্দি ও কাশি রয়েছে তাদেরও উচিত মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া। বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের আগে ব্যবহৃত মাস্কটি নিরাপদ স্থানে (ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন) ফেলে দিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা তাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ তত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মাস্ক কারা ব্যবহার করবেন এবং কাদের প্রয়োজন নেই এ নিয়ে একটি ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, ‘যারা সুস্থ আছেন তাদের মাস্ক পরার দরকার নেই। যারা সর্দি-কাশিতে ভুগছেন শুধু তারাই ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরবেন। তবে ঘরে ফেরার আগে ব্যবহৃত মাস্কটি মুখ ঢাকা বিনে ফেলবেন, যেন কেউ কুড়িয়ে আবার তুলে নিতে না পারে।’

কিন্তু সবাকেই ঘরে বাইরে থেকে আসার পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে বলা হয়েছে। কারণ সাবানে ভাইরাস মরে যায়। এমনিতেই ঘন ঘন সাবান হাত ধুয়ে নিলে ডায়রিয়াসহ অনেক অসুখ থেকেও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। মানুষের দেহে ৭০ শতাংশ জীবাণু প্রবেশ করে হাত দিয়ে।

গতকাল শুক্রবার আইইডিসিআরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, স্থানান্তরিত তিন বছরের শিশুসহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা ১১ জন এবং উহান ফেরত সব যাত্রীর অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি একজন উহান ফেরত যাত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পুনরায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এ দিকে গতকাল পর্যন্ত চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন আট হাজার ৩৯৬ জন। এ যাত্রীদের মধ্যে চীনা নাগরিকও রয়েছেন। বিমানবন্দরে তাৎক্ষণিক স্ক্রিনিংয়ে এদের কারো মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাদের সবার দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ছাড়া হয়। যেসব বাংলাদেশী নাগরিক চীন থেকে এসেছেন তাদের বিমানবন্দরের পাশে আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন (বিচ্ছিন্ন) করে রাখা হয়েছে। তারা এখানে ১৪ দিন থাকবেন। অন্য দিকে চীনা নাগরিকেরা তাদের কর্মস্থলে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করছেন। তাদের নিজ নিজ কর্তৃপক্ষ তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।

চীনের হোবেই প্রদেশের উহান থেকে বাংলাদেশীদের বিমানে করে আনতে বিমানের যে পাইলট ও ক্রুরা গিয়েছিলেন তাদেরও নিজ নিজ বাসস্থানে ১৪ দিন স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারাও নিজ নিজ বাসস্থানে আছেন বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে অবশ্য অন্তত একজন পাইলট সিঙ্গাপুরে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু সিঙ্গাপুর তাকে ভিসা দেয়নি। 

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/478745/