২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:৫৬

তেঁতুলিয়ায় হাড়কাঁপানো শীত : শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত

তেঁতুলিয়া হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ বেড়েছে। ঠাণ্ডাজনিত রোগে মা ও শিশুরা নানামুখী রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এবার শীতের মওসুম পৌষ মাসে কয়েক দফায় মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। পৌষ মাস পেরিয়ে মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। গত রোববার বিকেলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গতকাল সোমবার সারা দিন তেঁতুলিয়ার আকাশে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। গতকাল সোমবার সারা দিন তেঁতুলিয়ার আকাশে কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

এ দিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে সহস্রাধিক শ্রমিক জীবন-জীবিকার তাগিদে নুঁড়ি পাথর সংগ্রহের জন্য মহানন্দা নদীতে নামে। পাথর শ্রমিকরা জানান, বরফ শীতল পানিতে কয়েক ঘণ্টা কাজ করলে হাত-পা অবশ (নিস্তেজ) হয়ে যায়। কিন্তু পাথর না তুললে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে চলব। তাই শরীরকে কষ্ট দিয়ে হলেও নদীর ঠাণ্ডা পানিতে পাথর তুলতে নামছি।

এ ছাড়া ঠাণ্ডার কারণে জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্মে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। হাটবাজার ও অফিস আদালতে জনসমাগম অনেকটা কমে গেছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি জড়সড়ো হয়ে গেছে। শীতজনিত রোগ বিশেষ করে সর্দিকাশি, জ্বর ও শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

তেঁতুলিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: মো: রুকুনুজ্জামান বলেন, ঠাণ্ডার কারণে হাসপাতালে, অ্যাজমা, সর্দিকাশি, জ্বর, শিশু ডায়রিয়াসহ মা ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতাল থেকে যাবতীয় ওষুধপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মা ও শিশু রোগীদের ঠাণ্ডা না লাগিয়ে সকালে কিছু সময় দেরিতে ওঠার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রহিদুল ইসলাম জানান গতকাল সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে রোববার ১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/473897/