১১ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ১২:১৪

এখনো নাগালে আসেনি পেঁয়াজ ॥ বাড়ছে ভোজ্য তেল ডিম ও এলাচের দাম

অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়া পেঁয়াজের দাম এখনো মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি। দেশী পেয়াঁজ এখনো বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা কেজি। দেশী নতুন পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। আর আমদানিকরা পেঁয়াজ ৭০-১০০ টাকায় বিক্রি হচেছ। এদিকে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বাড়ছে ভোজ্য তেল, ডিম ও এলাচের দাম। এলাচের দাম প্রতি কেজিতে ১৪০০-১৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও টিসিবি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল বাজারে গাজর বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো (আধা কাঁচা) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম (সাদা) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, নতুন আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। আঁটিপ্রতি কচুশাক ৫ থেকে ৭ টাকা, লালশাক ৮ টাকা, মুলা ১০ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিদরে।

সাহাবুল নামে এক ক্রেতা বলেন, সব সবজির দাম আরও কম হওয়া উচিত। সরকারিভাবে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে পেঁয়াজের মতো সবজিবাজারে অস্থিরতা থাকবে না। দাম কমে আসবে সব কিছুর।

এদিকে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি ২৬০ থেকে ২৬০ কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, বকরি ৭২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা। খোলা সয়াবিন (লাল) ১৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন ১০ টাকা বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটারে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিমে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়, ১০ টাকা বেড়ে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, মুরগি ১৫৫ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, আদা, রসুন, সরিষার তেল, দারুচিনি, মসলার দাম।

https://www.dailysangram.com/post/403071