৭ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৪৪

দ্বিতীয় দফা শৈত্য প্রবাহ

একদিনেই পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১০ থেকে নেমে ৬ ডিগ্রিতে

দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। সকাল-সন্ধ্যা বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। এবার পৌষের শুরু থেকেই বেশিরভাগ সময় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

গতকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে আজ মঙ্গলবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

কয়েকদিন ধরে এ জেলায় সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে কুয়াশাপাত। রাত ও ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। এর মধ্যেই বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। এই সময় হিমালয়ের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঠাণ্ডা বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন তারা। তাদের ঘরে অল্প কিছু শীতবস্ত্র থাকলেও তা দিয়ে শীত কাটছে না। তাই যখনি শীতের প্রকোপ বাড়ে তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের কাছে বসে উষ্ণতা নেন।

এদিকে, এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০ হাজার শীতবস্ত্র ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও এক লাখ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, পৌষের শুরু থেকেই পঞ্চগড়ের শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মেলে সকাল সাড়ে ৭টায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রাও বাড়ছে। তবে হিমালয় থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে চলেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারির শুরুতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় আবারো বাড়ছে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। দ্রুত তাপমাত্রা নিচের দিকে নেমে আসছে।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সামনে আরো তীব্র শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।

https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2020/01/07/859885